এক।।
খাঁচায় থাকা পাখিটাও উড়তে চায়,কিছু বলতে চায়…
বলতে না পারায়,
সব কথা দীর্ঘশ্বাস হয়ে উড়ে যায়!
দুই।।
তুমি আছো মেঘে
আছো বৃষ্টিতেও,
তুমি আছো জলে
আছো হাওয়াতেও,
তুমি আছো বন্যাতে –
আছো খরাতেও।
তুমি আছো সূর্যোদয়ে
আছো সূর্যাস্তেও,
তুমি আছো নক্ষত্রে
তুমি আছো পূর্ণিমাতে
আছো অমাবস্যাতেও।
তুমি আছো চোখে-ঠোঁটে
আছো অশ্রুতে-হাসিতে।
তুমি আছো ঘুমে
আছো স্বপ্নতে আর দুঃস্বপ্নেও।
তুমি আছো আমার লাজুকতাতে,
আছো দ্বিধাতে-শঙ্কাতেও।
তুমি আছো অভিমানে,
আছো আমার কষ্টে-আনন্দতে।
তুমি আছো মনে,
আছো বাস্তব-অবাস্তব ছবিতে।
তুমি আছো কবিতা আর গানে
আছো আমার গল্পতে।
তুমি মিশে আছো সম্পূর্ণ আমাতে,
তুমিও আমায় রাখো সম্পূর্ণ তোমাতে।
তিন।।
যদি প্রকৃতি হয় আষাঢ়ের,
তবে মন কেন অসাড়!
ও আষাঢ়ি,কোথায় তোমার ইলশেগুঁড়ি?
আষাঢ়ির মন ফেটে চৌচির অভিমানী খরায়,
সে যে বসে আছে শ্রাবণের অপেক্ষায় –
যখন আসবে শ্রাবণ,
তখন অভিমান গলে হবে অবিরাম বর্ষণ।