খেলাঘর বাংলাদেশের শিশু কিশোর সংঠনগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ এবং সর্বপ্রাচীন সংগঠন। ১৯৫২ সালের ২ মে খেলাঘর এর জন্ম। শিশু কিশোররা আমাদের আগামী দিনের ভবিষৎ। শিশুকিশোরদের সচেতন, সুশৃঙ্খল ও সুন্দর জীবন গঠনে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে খেলাঘর। বাংলাদেশে খেলাঘরের পথচলা প্রায় ৭০ বছরের হলেও কানাডাতে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ৩ নভেম্বরে ২০১৯ তে ।
জামিল বিন খলিল, ক্লাস সিক্সে পড়া অবস্থায় শাখা পর্যায়ে খেলাঘরের সাথে যুক্ত হয়ে যিনি কেন্দ্রীয় পর্যায়েও খেলাঘরের সাথে যুক্ত ছিলেন তার একান্ত প্রচেষ্টায় ৫ সদস্যের একটি টীম সেদিনের সেই যাত্রার শুরু করে ছিলো । পরবর্তীতে ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে কিছু সংযোজন আর বিয়োজনের পরে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয় এবং সেই কমিটিই এখন পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ কবি আসাদ চৌধুরীর পরিচালনায় BCS মিলনায়তনে খেলাঘর কানাডার প্রথম অনুষ্ঠানের আয়োজনটি করা হয়েছিল। সেদিন ৮২জন শিশুকিশোর অংশগ্রহণ করেছিল ঐ অনুষ্ঠানে। টরন্টোতে খেলাঘর কানাডার এটাই ছিল প্রথম আয়োজন।
আজ ৩১ জানুয়ারী ২০২১ খেলাঘর কানাডার ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠান ” আমরা তো জীবনের তূর্য ” দেখলাম। একটা অসাধারণ আয়োজন। আমন্ত্রনটা পেয়েছিলাম শহরের জনপ্রিয় একজন উপস্থাপক ফারহানা আহমেদের কাছ থেকে। এজন্য ধন্যবাদ জানাই ফারহানা আহমেদেকে। তা না হলে বঞ্চিত হতাম শিশু কিশোরদের একটা সুন্দর আয়োজন থেকে।
অনুষ্ঠানের শুরু হয় জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী তৃয়াশার গান দিয়ে। অনুষ্ঠানে আরো সংগীত পরিবেশন করে বিনীতা ,নাজিয়া, নির্ঝর , নম্রতা । পল্লীগীতি ও লোকগীতি পরিবেশন করে প্রাঙ্গন। মাধুর্য পরিবেশন করে একটি হাসন রাজার গান। নৃত্য পরিবেশন করে শখ। শিল্পীদের তবলায় সহযোগিতা করে তৃদীব ও বিপ্লব এছাড়া কবি ও আবৃত্তিকার হোসনে আরা জেমী পুঁথি পাঠ ও কবিতা আবৃত্তি করেন। এই সব শিশু কিশোররা কিন্তু অনেকেই জাতীয় ও বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্ত। অনেকেই জড়িত আছে মডেলিং সহ অন্যান সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে। “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী ” ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তৃয়াশার গাওয়া এই গানটির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
প্রায় দেড় ঘন্টার এই প্রাণবন্ত আয়োজনটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছিল ফারহানা আহমেদের উপস্থপনা ও প্রাক্তন খেলাঘরিয়ান হোসনে আরা জেমীর বিশেষ উপস্থিতি ।অন্তজাল সমস্যার কারণে অনুষ্ঠানের কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও সব মিলিয়ে ছিল একটা পরিছন্ন আয়োজন। একটি সুন্দর সকাল আর একটি সুন্দর আয়োজন উপহার দেবার জন্য খেলাঘর কানাডার সকল (নাম না জানা) সদস্যদের আর অংশগ্রহণকারী শিশুকিশোরদের পরবাসী ব্লগের পক্ষ থাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খেলাঘর কানাডা’র পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা এই আয়োজনের সাথে থাকায় এবং এতো চমৎকার করে প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের জন্য। সবার সমর্থন, সহযোগিতা আর অংশগ্রহণই খেলাঘর কানাডা’র চলার পথে সবচেয়ে বড় পাথেয়। সবাইকে সাথে নিয়েই খেলাঘর কানাডা শিশুদের জন্য পাড়ি দিবে অনেকটা পথ— এই আমাদের প্রত্যাশা, লক্ষ্য ও প্রত্যয়।