প্রথম খন্ডেই বলেছি মানুষ মানুষ হয়ে কিভাবে খুন করে তা আমরা নিজেরা কেউ এর উত্তর জানি না।
জানি না এ খুন কবে শেষ হবে । নাকি মৃত্যুর আগে মূহুর্ত পর্যন্ত দেখতে হবে চোখের সামনে এ নির্মম করুন চিত্র।
প্রথম খন্ডে বলেছিলাম শ্রীলংকার কাহীনি। এ ধরনের কাহীনি আমাদের দেশে অহরহ ঘটছে।
এখানেও একজন পুরুষ খুনি।
স্কুলে যাবার পথে বিরক্ত বা উতক্ত সেখানেও পুরুষের ভূমিকা অতুলনীয়।
সুযোগ পেলেই এরা মেয়েদের দোষ জারি করে। হয় বলবে মেয়েটির চলন বাঁকা, নয় মেয়েটির পোষাক ন্যাকা। সর্বজনীয় শালিসিতে মেয়েটির দোষ সাব্যস্ত করা হয়।
এক পর্যায়ে হয় স্কুল যাওয়া বন্ধ নয়ত রাতের অন্ধকারে মেয়েটির সাথে অন্যায় আচরণ।
পরিশেষে হয় তাকে খুন বা হত্যা করা হয় নয়ত সে নিজেই নিজেকে খুন করে।
আর এর পিছনে বিশেষভাবে রয়েছে পুরুষ এর ভালো মুখোশধারী কালো রুপ।
হয়তোবা কেউ বলতে পারে, তোমার বাবা একজন পুরুষ, তোমার ভাই একজন পুরুষ, তোমার বোনের জামাই একজন পুরুষ, তোমার একনিষ্ঠ কেউ হয়তবা একজন পুরুষ, তোমার বন্ধু একজন পুরুষ। এত পুরুষের মাঝে থেকেও তুমি বলছ যে পুরুষ খারাপ ???
বলতে বাধ্য হচ্ছি আমাদের চারপাশে এত পুরুষের মাঝেও ঐ ভালো রূপ ধারি মুখোশ পরা মানুষ গুলো ঘুরে বেরাচ্ছে আর নির্দ্বিধায় মানসিকতা আর শারীরিকতার খুন করে যাচ্ছে।
ভালোবেসে বিয়ে করেও খুন করছে। সেটা মানসিক ভাবেও করতে পারে বা শারীরিক ভাবেও।
শারীরিক ভাবে করলে মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু মানসিকভাবে করলে বেঁচে থেকেও মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে।
আজ পর্যন্ত ছেলেরাই বেশি খুন করে যাচ্ছে।।। এটা তাদের নেশা নাকি পেশা এর উত্তর অজানা।
আমাদের দেশের স্বনামধন্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জান কে সকলেই চিনে। এই গুনি অভিনেতার কথা বললাম যেহেতু তাকে সকলেই চিনে। তাকেও কিন্তু কেউ একজন জীবিত রেখেই খুন করেছে। কোন বাবা যখন দেখে যে তার এক পুত্র সন্তান অন্য পুত্র সন্তান কে ঘরে খুন করে। তখন যাকে খুন করা হয় সে তো মরেই যায় আর যে বা যারা বেঁচে থাকে তারা অর্ধ মৃত হয়ে যায়।
যে ছেলে বা পুরুষ একটা পরিবারকে ধংস্ব করে মানসিক আর শারীরিক অবস্থা থেকে সে কি একজন খুনি নয় ???
অথচ এই খুনিরাই আমাদের চারপাশে মুখোশ পরে ঘুরে বেরায়। কারো বিচার হয় আর কারো উপর লোকের বদৌলতে আরো খুন করার নেশায় আকৃষ্ট হয়।।।।।
২য় খন্ড এ পর্যন্তই –