ব্রেকাপের পর ব্যাসিক ৩ টা স্টেজ থাকে।
১ – মানুষটিকে পাওয়া হয় নি, এই জন্য না… খারাপ লাগবে মানুষটি তার বিশ্বাস ভেঙ্গেছে এই জন্য।
২- ভাল সৃতি গুলোই কাঁদাবে। কবে তারা সিঁড়ি ঘরে জড়িয়েছিল চুপচাপ… কবে নেভালে বসে পেঁয়াজু খেয়েছে… সব মনে পড়বে…
৩ – যদিও তাকে দেখে মনে হবে সে খুব চুপচাপ… কথা বলছে না… তবে সে আসলে অনেক বেশি কথা বলতে চায়। সব খুলে বলার জন্য কাছের দু একজন মানুষকে বেছে নিবে।
মজার ব্যাপার হল এই সব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ বেছে নেয় বিপরীত লিঙ্গের কাউকে !! এরকম কেউ আপনাকে রাত দুটা বাজে ফোন করলে, ভুলেও তাকে কোন জ্ঞান দেবার চেষ্টা করবেন না। জ্ঞানের দরকার হলে সে বই ম্যাগাজিন পড়ত;
সে আপনার কাছে পরামর্শের জন্য আসে নি; কাঁদতে এসেছে। কথা বলে হালকা হতে এসেছে। পৃথিবীর সব থেকে বড় সাইকো থেরাপি হল – মন দিয়ে কারো কথা শোনা…
আচ্ছা… কেউ চলে চলে এই যে হঠাৎ রাতে বুকের মাংস পেশী তে চিনচিন করে… এর থেকে মুক্ত হতে কত সময় লাগে ? এ নিয়ে সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই তবে মনোবিজ্ঞানীরা ব্যাথার প্রথম স্তর কাটিয়ে উঠাকেকেই গুরুত্ব দিয়ে গেছে। বাকী সব কিছুর জন্য চোখ বন্ধ করে সময়ের উপর বিশ্বাস রাখতে বলেছে !
এই সময়ে মানুষ অনেকটা OCD তে আক্রান্ত রোগীর মত আচরণ করে… এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা একি জিনিস বার বার চিন্তা করে… একি কাজ বার বার করে…
একটা চিন্তা শুরু থেকে শেষ করে সেটা আবার প্রথম থেকে শুরু করবে…
এই রোগ থেকে মুক্তি চান ?
প্রথমে একটি খাতা কলম নিয়ে সব লিখে ফেলুন.. আপনার ক্রোধ , ঘৃণা্, হতাশা আপনার মস্তিস্ক থেকে লিখার ভেতরে চলে এসেছে…
তারপর লিখাটি ছিড়ে ফেলে দিবেন… একি সাথে ঘৃণা্ এবং হতাশাও প্রথমে মন থেকে কাগজে তারপর কাগজ থেকে ছিড়ে ড্রেনে হারিয়ে গেল… !
শুনতে হাস্যকর শোনালেও এই ফর্মুলা অনেক কার্যকরী…
এই ফর্মুলা আমি কোয়ান্টাম মেথডেও পেয়েছি। বিখ্যাত সাইক্রিয়াটিস্ট এলিজাবেথ
ব্রডবেন্ট ও এই হাস্যকর কাজটি করতে বলেছেন।
আমার প্রেসক্রিপশন হল – প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ভরা পেটে দুই টা ট্যাবলেট খাবারের বদলে দুই পৃষ্ঠা করে লিখুন… যত কুৎসিত হোক , ভহাবহ হক… আপনি কিছুই লুকাবেন না…
কোন কিছু নিজের ভেতরে রেখে দেবার চাইতে ‘এ’ ফোর সাইজের কিছু কাগজকে দিয়ে দিন।
কাগজ কথা বলতে পারে না…শুধু কথা নিতে পারে… এই জন্যই লিখলে আমাদের মন শান্ত হবে।
যিনি লিখছেন তিনি কথা বলছেন; কাগজ কথা শুনছে…সাইকো থেরাপির কাজ চলছে…!