নরওয়ে থেকে:-
নরওয়েতে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদেরকে থাকা খাওয়ার খরচ নিজেদেরকে বহন করতে হলেও নরওয়েতে পড়ালেখা খরচ একেবারে ফ্রী। নরওয়েতে পড়ালেখা করতে আসলে নিজের সাথে করে আপনার স্বামী/ স্ত্রী কেও নিয়ে আসতে পারবেন। একজন ছাত্র/ ছাত্রীর সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজের অনুমতি থাকলেও ছাত্র/ছাত্রীর সাথে আসা স্ত্রী/স্বামী সারা বছর ফুল টাইম কাজ করবার অনুমতি আছে। B গ্রেডের সমমানের মার্কস, আইএল্টস এ ৬ কিংবা ৬ এর উপরে গ্রেড, ব্যাংকে ১২ লাখ টাকা থাকলে খুব সহজেই পড়ালেখার জন্য নরওয়েতে আসা যায়। আগে শুধু মাত্র মাস্টার্স প্রোগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল ছাত্র/ছাত্রী আসবার সুযোগ থাকলেও আগামী বছর থেকে ব্যাচেলর প্রোগ্রামেও বাংলাদেশ থেকে ছাত্র/ছাত্রীরা আসবার সুযোগ পাবেন। আগামীতে যারা বাংলাদেশ থেকে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আসবেন এবং ব্যাচেলর প্রোগ্রাম শেষ করে মাস্টার্সে ভর্তি হবেন তাদের জন্য আগামীতে নরওয়েতে প্রফেশনাল জব খুঁজে পাওয়া এবং এক পর্যায়ে নরওয়েতে স্তায়ীভাবে থাকতে পারা সহজ হবে বলে আমি মনে করি।
তবে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুলশান ২ এ অবস্থিত নরওয়েজিয়ান এম্বাসি বাংলাদেশী ছাত্র/ছাত্রীদেরকে ভিসা দেয়না এর একটাই কারণ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীরা পড়ালেখার চেয়ে কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন এবং পড়ালেখা শেষ হবার পর প্রফেশনাল জব খুঁজে না পেলে চুক্তি অনুযায়ী দেশে ফিরে যাবার কথা থাকলেও দেশে ফেরত যেতে চাননা ,, তবে মাস্টার্স প্রোগ্রামে যারা আবেদন করেন এবং নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রীন সিগন্যাল পান তাদের ক্ষেত্রে এম্বেসী থেকে ভিসা হবার নিশ্চয়তা শতভাগ থাকে।
আগামীতে নরওয়েতে পড়তে আগ্রহী বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো। এ ব্যাপারে আরো বেশি জানতে চাইলে নরওয়েতে বসবাসকারী ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে উপদেশ এবং দিক নির্দেশনা পেতে ( HigherStudyabroad@ChapterNorway) পেইজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আপনার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেতে পারেন।
সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।