ঘরবন্দি সময়কে কাজে লাগানোর মধ্যে যেমন বই পড়া, বাচ্চাদের নিয়ে খেলা করা, নেটফ্লিক্সে মুভি দেখা, ঘর পরিষ্কার করা, বাগান করা (সামারে) ইত্যাদি কাজের সাথে সাথে পছন্দমত খাবার দাবার তৈরী করাও একটি ভালো উপায়। বিগত বছরে কমুনিটির মধ্যে সেটি খুব ভালোভাবে দেখা গেছে। পাশাপাশি অনেক অনেক টক-মিষ্টি শো থেকে অনেক নতুন কিছুও জানতে পেরেছি।
আজকে আমাদের স্পেশাল ছিল বাসায় বানানো পিজ্জা। আমরা সাধারণত মাসে একবার পিজ্জা খাই কিন্তু গত মাসে মিস হয়ে গেছে তাই আজকে সেটা করা হলো। বাসায় বানানোর সুবিধা হলো আপনি পছন্দমতো খামি (dough) ব্যবহার করতে পারবেন, ভালো অলিভওয়েল, লাইট চিজ, চিনি ছাড়া নিজের বানানো সস এবং ইচ্ছামতো সবজি ব্যবহার করতে পারেন।
যে যেমন ইচ্ছা তেমন করতে পারেন, এবং সর্বোপরি সস্তা। আজকাল ইউটিউবের বদলে সবাই সব কিছু করতে পারে, কিন্তু আমার এই জিনিসটি শেখা ফিনল্যান্ডে পড়াশুনা করার সময় কুষ্টিয়ার বড়ো ভাই শামীম আর রতন ভাইয়ের দোকানে অবসর কাটানোর সময় থেকে। উনাদের দোকানে প্রায়ই যাওয়া হতো, সেখানেই মূলত হাতে খড়ি এবং পিজ্জা খাওয়ার অভ্যাস। শুধু পিজ্জা নয় ভালো বাংলাদেশী খাবার বলতে যা তা আমরা উনাদের কাছেই পেতাম। দূর দেশে আত্মীয়স্বজন ছাড়া উনাদের কাছ থেকে অনেক আদর স্নেহ পেয়েছি। আল্লাহ তালা উনাদের মঙ্গোল করুন।
Happy Weekend !!
পূর্ববর্তী পিজা রেসিপি-