কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে কাবিননামা দেখাতে না পারায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের হাতে আবারও নাজেহাল হয়েছেন এক দম্পতি। এই শিরোনামের খবরটি দেশের অনেক সংবাদ মাধ্যমে চাপা হয়েছে। একটু আগে টেলিভিশনের একটি চ্যানেলেও খবরটি নিয়ে আলোচনা শুনলাম। শুনেছিলাম টুরিস্ট পুলিশ নিয়োগ হয়েছিল টুরিস্টদের নিরাপত্তার জন্য, কিন্তু দম্পত্তিদের কাবিন নামা চেক করবে এ কথা শুনি নাই। কোনো ক্রাইম হলে সেখানে তাদের ধীর গতি, আর একাজে তড়িৎ !! পার্শবর্তী দেশ নেপাল, ইন্ডিয়া পর্যটন থেকে কত আয় করেন, আমরাও তো সেটা করতে পারি কিন্তু নিজ দায়িত্ব বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের পিছনে লাগলে সেই খাতে আয়তো হবে না বরং আমাদের দেশের ট্যাক্স পেয়ারদের টাকা ব্যয় হবে আকামে ! Hopefully, truth will come out from the investigation.
দেখুন একটি পত্রিকার এক্সট্র্যাক্ট :
“বিয়ের কোন উপযুক্ত প্রমান দেখাতে নাপারায় ওই দম্পতিকে দীর্ঘক্ষন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আটকিয়ে রাখায় ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী।
সোমবার দুপুরে এমন অভিযোগ দায়ের করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
তিনি পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তার কাছে দম্পতি নাজেহাল হওয়ার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্যুরিষ্ট পুলিশের এসপি বরাবরে নির্দেশনা দিয়েছি।’
অভিযোগকারি মো. কায়েদে আজম পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, রোববার রাত ৮ টার দিকে স্ত্রীসহ আমি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বেড়াতে যাই। সেখানে পর্যটক চেয়ারে বসে আমরা সময় কাটাচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তা এএসআই মো. মাসুদ সহ ৩ জন পুলিশ সদস্য এসে আমরা স্বামী-স্ত্রী কিনা জানতে চান। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলে তাৎক্ষণিক কাবিন নামা দেখতে চাওয়া হয়। তা দেখাতে না পারায় আমাদের দীর্ঘক্ষণ আটকিয়ে রাখেন। সমুদ্র সৈকতে অন্যান্য পর্যটকদের সামনে আমাদের স্বামী-স্ত্রীকে নাজেহাল করা হয়। পরে আমাদের সংবাদ পেয়ে কক্সবাজারে অবস্থান করা আমাদের অপর দুই আত্মীয় এসে আমাদের স্বামী-স্ত্রী বলায় ২ ঘন্টা পরে আমাদের ছাড়া হয়।
কায়েদে আজম আরো জানান, দীর্ঘক্ষন আটকিয়ে রাখার এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ আমাকে বাড়ি থেকে স্বজনদের এনে পরিচয় নিশ্চিত করতে বলেন। অন্যথায় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি ধমকান।’
ভুক্তভোগী কায়েদে আজম বলেন, ‘পর্যটন নগরীর প্রধান আকর্ষণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাছে যদি বেড়াতে আসা লোকজন হেনস্তার শিকার হন, তাহলে পর্যটকরা কক্সবাজার বিমুখ হবেন। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে।’
এ নিয়ে অভিযুক্ত ট্যুরিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগের ব্যাপারে ট্যুরিষ্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পুলিশ সুপার ( এসপি ) মো. জিল্লুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, এ ধরণের অভিযোগের ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”