সপ্তা তিনেক আগে ব্যস্ততা, ঝামেলা আর শহরের কোলাহল ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম অনেক দুরে, বনে,… নদীতীরে। সময়ের অভাবে লিখা হয়নি।
প্রতিবছর গ্রীষ্মে অনেকবার করে ক্যাম্পিঙে আসা হয় এখানে। রাতে আগুনের পাশে হল্লা, তাঁবুতে ঘুমানো, দিনে বনে-মাঠে ঘুরে বেড়ানো, নদীতে মাছ ধরা, শুকনো ডালপালার আগুনে রান্না করা, চাঁদের আলোয় জলের ধরে বসে রাতপাখির গান শোনা…., সবই হয়। তবে এসব গ্রীষ্মের কথা !
ছবিতে দ্যাখা যাবে, প্রকৃতির সবেমাত্র ঘুম ভেঙেছে, গাছপালায় পাতা আসেনি এখনো, শুন্যতার প্রভাবই বেশি আপাততঃ। দু‘এক ধরনের ফুল, নদীতীরের নলখাগড়া আর বীবরের ধ্বংশাত্মক কার্যকলাপ ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পড়ে না। গত হেমন্তে কোনো বালিকার ফেলে যাওয়া পুতুল দেখে চের্নবিলের পরিত্যক্ত শহর প্রিপিয়াতের কিছু কিছু ছবির কথা অনিচ্ছাকৃতভাবে মনে এসে যায়! তবে মাসখানেক পর সবুজ আর বুনোফুলের পাগল করা রঙে ছেয়ে যাবে চারদিক।
পাখির কিচির মিচির মনে আনন্দ এনে দ্যায় বেশ! নীরবতা এখানে সবচাইতে দামী। তবে পাখির গান নীরবতা ভঙ্গ করে বলে আমি মনে করি না!