গতকাল আমরা ফিশিংয়ে যাই, just kid’s fun. এই আউটিং এর সব থেকে উপভোগ্য বিষয় ছিল আমাদের ভাতিজা, টোকন ভাইয়ের পুত্র জায়ানের উৎসাহ আর অভূতপূর্ব উদ্দীপনা দেখে। প্রিতিটি catch এর পরেই তার উল্লসিত চেহারা, হাসিমাখা মুখ, আর National Geographic এর মত ওই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাছ নিয়ে বর্ণনা অত্তান্ত উপভোগ্য ছিলো। সে ভুলে গিয়েছিলো তার ট্যাবলেট, টিভি বা অতি প্রিয় খেলনার কথা। তার ওই আনন্দ উৎফল্লিত ছোটাছুটি দেখে কিছু সময়ের জন্য হলেও দৈনন্দিন জীবনের কোনো সমস্যার কথা মনে ছিল না এবং মনটা বেশ ভালো হয়েছিল।
যাহোক, আমাদের সবারই উচিৎ মাঝে মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে outdoor এক্টিভিটিসে যাওয়া, যদি এফোর্ড করা যায়; কারণ ওরা হাইস্কুলে যাওয়া শুরু করলেই আস্তে আস্তে আমরা না চাইলেও বাস্তবতার কারণে আমাদের থেকে দূরে চলে যাবে। এই এক্টিভিটিসগুলিতে তাদের শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে, এবং পরিণত বয়সে তাদের এই অভিজ্ঞতাগুলিই মনে থাকবে। এর প্রমান আমি দেখি FBএ বিভিন্ন গ্রূপের সাইটে অনেকের লেখা থেকে। খুব কম লোকই তার বাবা মা তাকে সুন্দর একটি খেলনা বা সুন্দর একটা জামা দিয়েছিলো এই কথা স্মৃতিচারণ করেন, বরং তারা লেখেন/বলেন তাদের ছোটবেলায় বাবা মার্ সাথে কাটানো স্মৃতিময় মধুর সময়গুলির কথা। আর এই অভিজ্ঞতার কথা ধনীগরীব সবাই বলতে পারবেন। এই অভিজ্ঞতাগুলির আর্থিক মূল্য খুব বেশি না হলেও আন্তরিক মূল্য অনেক অনেক বেশি।
সামারের এখনো কিছুদিন বাকি আছে, তাই দেরি না করে সময় সুযোগ বুঝে আপনার বাচ্চাদের নিয়ে বেরিয়ে যান এবং তৈরী করুন কিছু মধুময় স্মৃতি। তাছাড়া বাঁচা-মরার কথা তো বলা যায় না; সময় প্রতি মুহূর্তই চলে জাস্ছে।
ভালো থাকুন সবাই।
বি. মুকুল