গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে মামুদ উল্লাহ-র চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার দলের কাছে বড় ব্যাবধানে হেরে টুর্নমামেন্ট থেকে সটকে পড়লো মাশরাফির ঢাকা প্লাটুন দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা প্লাটুন দল ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৪৮ রান করে। পরে, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার হেসে খেলে ১৪ বল হাতে রেখে অনায়াসে সেই টার্গেট অতিক্রম করে। ঢাকার পক্ষে, হেসে উঠেনি তামিমের ব্যাট। ১০ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে আউট হয়েছেন তামিম। পাকিস্তানী অল রাউন্ডার সাদাব খানের ৪১ বলে ৬৪ রান ও মমিনুলের ৩১ বলে ৩১ রানের উপর ভর করেই মূলত ঢাকা প্লাটুন ১৪৪ রানের একটি সম্মানজনক রান করেছিল। ব্যাটিং-এর পাশা পাশি বল হাতেও ক্যাপ্টেন মাহমুদ উল্লাহ বেশ চমক দেখান। ২ ওভার বল করে মাত্র ৫ রান দিয়ে ১ টি উইকেট নেন। রুবেলের ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট ও তরুণ নাসুম আহম্মেদের ২ ওভারে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ঢাকার ব্যাটিংয়ে ধস নামান। জবাবে, মাহমুদ উল্লাহ -র মাত্র ১৪ বলে ৩৪ রান দলের জয়ের মুখ্য ভূমিকা রাখে। মাত্র এক ওভার করতে আসা শ্রীলংকান অল রাউন্ডার থিসেরা পেরেরা-র করা ১২ তম ওভার থেকে মাহমুদ উল্লাহ-গেইল জুটি ১৪ রান রান তুলে নেন যার ১ টি ৬ ও ১ টি ৪ ছিল মোহাম্মদ উল্লাহর। শুধু তাইনা, ১৮ তম ওভারে পাকিস্তানী সাদাব খানের করা ওভারে পর পর ২ টি ৬ মেরে অপরাজিত থেকে বীরের মতো সঙ্গীকে নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেন ক্যাপ্টেন মাহমুদ উল্লাহ । আজকের ম্যাচেও মাশরাফিকে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি। আগের ম্যাচে ক্যাচ ধরতে যেয়ে আঘাত পাওয়া মাশরাফি হাতে ১৪ টি সেলাই নিয়ে গতকাল মাঠে নেমে ৪ ওভার বল করে উইকেট শূন্য ছিলেন। এ ম্যাচে, চট্টগ্রাম দলের পক্ষে মাহমুদ উল্লাহ ছাড়াও ইমরুল কায়েসের ২২ বলে ৩২ ও জিয়াউর রহমানের মাত্র ১২ বলে ২৫ দলের জয়ে বিরাট অবদান রাখে।

দিনের অপর ম্যাচে, মুশফিকের খুলনা টাইগার্স রাজশাহী রয়্যালসকে বড় ব্যাবধানে পরাজিত করে প্রথম কোয়ালিফায়ার দল হিসাবে ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করলো। এই ম্যাচে খুলনা টাইগার্স আগে ব্যাট করে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলে রাজশাহী রয়্যালস কে একটি মাঝারি টার্গেট দেয়। এই রান তুলতেই পুরো ২০ ওভার খেলে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় এই টুর্নামেন্টে বেশ ভালো খেলা রাজশাহী রোযালস দল। তবে, পরাজিত হয়েও টুর্নামেন্টে এখনো টিকে আছে রাজশাহী রয়্যালস। আগামীকাল এই টুর্নামেন্টে আরেক লড়াকু দল মোহাম্মদ উল্লাহ-র চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার দলের সাথে আরেকবার শক্তির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে রাজশাহী রয়্যালসকে। গতকালের এই ম্যাচে রাজশাহীর পক্ষে এই টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ছিলেন নিষ্প্রভ। বৃথা যায় সোয়েব মালিকের ৫০ বলে খেলা ৮০ রানের একটি কাব্যিক ইনিংস। অপরদিকে, খুলনার পক্ষে আগের ম্যাচেও ভালো খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত গতকালও খেললেন ৭৮ রানের একটি লড়াকু ইনিংস। খুলনার বোলারদের মধ্যে বিধ্বংসী বলার ছিলেন পাকিস্তানী আমির, যিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৬ টি উইকেট নিয়ে রাজশাহী রয়্যালসের ব্যাটিংকে মাটিতে নামিয়ে ফেলে।

আগামীকাল ভোর সাড়ে সাত টায় (ইস্টার্ন টাইম) শুরু হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও রাজশাহী ওয়েলসের মধ্যে এটাই মূলত, সেমি ফাইনাল। এই ম্যাচে পরাজিত দলকে বিদায় নিতে হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে। অপরদিকে, জয়ী দল আগামী ১৭ তারিখে ফাইনাল খেলবে মুশফিকের খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে।

দেশের খেলার খবর জানতে চোখ রাখুন পরবাসী ব্লগের খেলার পাতায়।

 

পূর্ববর্তী নিবন্ধদৃষ্টি সমাচা…
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু বিপি এল ২০১৯-২০: রাজশাহী রয়্যালসের শিরোপা জয়
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন