সময়ের সাথে সাথে সবকিছু বদলে যায়।বদলে যায় মানুষ , বদলে যায় পারিপার্শ্বিকতা , বদলে যায় জীবনধারাও। আর তারই ছোয়া লাগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আর পালা-পর্বনেও। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বৈশাখী মেলা মানে ছিল – চৌরাস্তার মোড়ে মাঠের মধ্যে মাটির জিনিস আর খেলনা নিয়ে বাজার। সেই সাথে থাকতো ঘরে তৈরি মন্ডা – মিঠাই। এক আনা , দু আনা বা চার আনায় পাওয়া যেত অনেক কিছু। মাঠের এক কোনে লাগানো হতো ” চরক ঘুল্লি ” – ১৬ ঘুল্লি ৪ আনা !!! সন্ধ্যার পরও চলতো এই মেলা। জ্বলে উঠতো কেরোশিনের “কুপি ” বাতি।
সেই দিনগুলো এখন আর নাই। সময়ের গভীরে হারিয়ে গাছে। বেশিদিন আগের কথা নয় যখন কলেজে পড়তাম তখনও ঢাকাতে মঙ্গোল শোভাযাত্রার কোনো প্রচলন ছিলোনা। আজ সেই বৈশাখীর আমেজ আর মঙ্গোল শোভাযাত্রা আটলান্টিক পাড়ী দিয়ে পৌছে গেছে নর্থ আমেরিকাতে। এখন বৈশাখী মেলা টরন্টোতে এক দিনের অনুষ্ঠান নয় , এটি একটা মাসব্যাপি অনুষ্ঠান। বিভিন্ন সংঘঠন অটাকে উপস্থাপন করেন নিজেদের মত করে, আপন আঙ্গিকে।
এই পরিবর্তনের হাত ধরে “বৈশাখী ভোজন বিলাস – বর্ষবরণ ১৪২৫” এর আয়োজন করেছেন CBACH :- “কানাডা – বাংলাদেশ আর্ট , কালচার এবং হিউম্যানাটিস” গ্রুপ । তারা নূতনত্ব আনতে চান বৈশাখীর আয়োজনে। তাইতো সংগীত ও কাব্যিক আবহের সাথে থাকছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন প্রকার খাবার। আগামী ২২শে এপ্রিল ২০১৮ রোববার , সন্ধ্যা ৬:৩০মি : ৯ ডজ রোডে , বৈশাখীর এই আয়োজন। তবে এই আয়োজন দর্শনির বিনিময়ে। প্রবেশ মূল্য নৈশভোজ সহ ২৫/- ডলার।
শুভকামনা রইলো CBACH সাফল্যের জন্য।