বিবর্ণ, বিষন্ন কবি এক বসে আছেন
স্তব্ধ কলম তার, চোখে অনন্ত জিজ্ঞাসা-
কি চেয়েছিলেন আর কি পেলেন!
চশমার মোটা ফ্রেমের ভিতরেই চোখ তার ঝাঁপসা
তিনি নাকি কবি!
আজ বড় অসহায় বোধ করছেন তিনি
কোনো কবিতা মনে আসছে না তার
শব্দরা পালিয়েছে কোথায়!
কবির খাতা ধু ধু সাদা
একটি অক্ষর আজ লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না তার।
তাকে বলা হয়, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
বাঁশি হাতে নিলেই নাকি হাজার হাজার ‘ইঁদুর’ ঘর ছেড়ে বেরোয়-
তিনি ব্যর্থ মনোরথে বসে আছেন
‘ইঁদুরগুলো’ কেমন বখে গেছে
বাঁশিওয়ালা তার বাঁশি খোঁজেন
দু’হাতে হাতড়ে বেড়ান ব্যাগের ভিতর।
কোথায় বাঁশি তার, কোথায়?
বাঁশিতে দম লাগাতে যান- খক খক কাশি আসে তার
অনেকে দূরে সরে যায় যক্ষা সংক্রমণের ভয়ে-
বাঁশিওয়ালা দেখেন আর বাবড়ি চুলে বিনুনি কাটেন!
তাকে আমি বলি হাসির জাদুকর
অথচ সেই হাসি নেই মুখে তার
তিনি উদাস চোখে তাকিয়ে দেখেন
কেউ পাশে নেই
অথচ অনেকে ঘিরে আছেন তাকে
আবেশি চুম্বকের মতো তার কাছ ছাড়া হন না।
কবি, বাঁশিওয়ালা অথবা জাদুকর
তার মনে কিসের যাতনা এতো!