আগমনী বসন্তের দুয়ারে বসে শেষ বেলায়—
সোৎসাহে গেয়ে উঠলো কোকিল
জানে না সে, সব সমারোহের পাশ কাটিয়ে—
নিদারুণ মনোবেদনায় এখনই বিদায় নিলো সূর্য!

আমাদের হৃৎপিণ্ডটাকে খুইয়ে ফেলতে—
মাঝে মাঝে কোনো পূর্ব সূত্রের দরকার হয় না!
ডাগর বৃক্ষের ছায়াতলে হঠাৎ ওঠা টর্নেডো,
সময়ের এক আমুদে খেলাই হয়তো!
সুপ্ত আঁধারের বুক চিরে কিছু ভুল তখন,
চেরাপুঞ্জির আকাশ হয়ে—
অবিরাম ঝরতে থাকে মনের উদোম ঘরে!

চকখড়ির দাগের মতো বুকের স্লেটে
চাইলেই তো একটা বিভেদ রেখা টেনে দেয়া যায়
সাতশত কোটি মানুষের ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া,
সেও তো যেকোনো দিনেরই এক মামুলি বিষয়
এপার-ওপারের মাঝে দূরত্ব টেনেও হওয়া যায় অদৃশ্য, চূড়ান্ত মূল্যে!
কিন্তু—
হৃদয়ের প্রাচীরটা যে খুব বেশি দূর্ভেদ্য তখনো
সময় বলিস আর ঈশ্বর, কারোরই যে শক্তি নেই
তোকে টেনে নিয়ে যায় সেখান থেকে!
কী লাভ তাই এমন চকখড়ির দাগ টেনে!?

ভালোবাসা যে এক অক্ষয়ী প্রতিবিম্ব—!!

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন