কোন অস্ত্র দিয়ে করলেই খুন হয় তা কিন্তু নয়।
এমন কিছু খুন আছে যা বেঁচে থাকে কিন্তু মৃত্যুর যন্ত্রণার স্বাদ গ্রহণ করতে পারে।
মনের খুন করলে কেউ দেখে না। যে খুনি তাকে খুন করে একমাত্র সেই বুঝে যন্ত্রণাটা কতটুকু হয়। বন্ধু বন্ধুকে খুন করে, স্বামী -স্ত্রী কে খুন করে, ভাই- বোনকে খুন করে, প্রেমিক – প্রমিকাকে খুন করে, এমন কি শ্বাশুরি বৌকে করে আবার বৌ শ্বাশুরিকে খুন করে।।।। এখানে মনের খুনও আছে আবার শারীরিক ভাবেও আঘাত করে খুন করতে পারে।
খুনের মূল লক্ষ্য হিংসার বশবর্তী হওয়া।
একজন আরেকজন এর প্রতি যখনই হিংসার পাল্লা ভারী হবে বা স্বার্থসাধন এ ব্যাঘাতক ঘটবে তখনই এই নোংরা জাতীয় কাজে জড়িত হবে।
এ যাবত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ মূলক সংবাদ অনুযায়ী খেয়াল করে দেখলাম বেশির ভাগ ছেলেরাই খুন এর কাজে নিয়োজিত থাকে।
কোন কারন বশত কিছু হলেই খুন নামক এই অতি কঠিন কাজটি তারা অতি সহজ উপায়ে সমপন্ন করে।
কিছুদিন আগে একটা সংবাদ দেখলাম এবং তা যাচাই এর জন্য প্রশ্ন করলাম পাশের বাসার তামিল পরিবারকে।
শ্রীলংকা এক শপিংমলে হঠাৎ করে একটা ছেলে একটা মেয়ের কাছে যেয়ে তাকে এলোপাতারি ছুরির আঘাত করে এবং ঘটনাস্থলে মেয়েটি মারা যায়। এবং সেই ছেলেটি নিজেও তার গলায় ছুরি চালায়। ছেলেটি মরেনি তবে তার অব্স্থা আশংকাজনক।
জানা গেছে প্রেম ঘটিত ব্যাপার।
পরের দেশের আর কি বলব নিজের দেশেই কত এমন আছে / যারা এক কথায় এক কোপে সব শেষ করে দেয়।
আমার কাছে মনে হয় খুন করা একধরনের মানসিক রোগ। অনেকের এটা পেশা আবার অনেকের এটা নেশা।
খুব কম আছে যে একজন মেয়ে হয়ে ছেলেকে খুন করেছে।
কিন্তু একজন পুরুষ এর কোথা থেকে এত শক্তি আসে যে অন্য একজন কে খুন করে।
ছেলে হয়ে মা/ বাবাকে খুন করে। কতটা কুলাঙ্গার না হলে এই জঘন্য কাজ করতে পারে না।
আজকের মত এতটুকুই…
যান্ত্রিক দুনিয়ায় মানুষের একাকিত্ব বাড়ছে, বাড়ছে হতাশা। সব মিলিয়ে মানসিক চাপ আর সেই মানসিক চাপ থেকে এধরনের দুস্কর্ম হয়তোবা। আমার মনে হয়, যান্ত্রিকতা ছেড়ে আরেকটু মানবিক হওয়া দরকার আমাদের, আর নিয়মিত সাইকিয়েট্রিস্ট এর সাথে সেসন রাখা।