Selfie কথাটা কোথা থেকে আসলো ?
Australian রা গর্ব করে বলে যে Selfie তাদেরই আবিষ্কার।একজন অস্ট্রেলিয়ান যুবক তার ২১তম জন্ম বার্ষিকীতে Drunk অবস্থায় তার নিজের একটা ছবি নিজেই তোলেন আর তা পোস্ট কোনো দেন তার সোশ্যাল মিডিয়ায় । পত্রিকায় হেড লাইন আসে Australian man “Invented selfie after drunken night out ” -Telegraph .
যদিও অনেকে বলেন Robert Cornelius’ self portrait the first ever “selfie (1839).
সেলফি কে আবিষ্কার করেছিল তা নিয়ে আমার একটুও মাথা ব্যাথা নাই। তবে গ্যারান্টী দিয়ে বলতে পারি ওই যুবকের জন্ম জন্য যদি ভারতবর্ষে হতো, তা হলে এত দিনে সে ” সেলফি বাবা ” হয়ে যেতো। তার চারিপাশে সল্প বাসনা রমনীরা সব সময় সেলফি তোলার জন্য ঘুরে ঘুরে করতো।
সেল ফোনে ক্যামেরা সংযোজনের পরে , ডিজিটাল ক্যামেরার প্রস্তুতকারকদের ভাত মারা গাছে। সেই সাথে জয় জয়কার চলছে সেলফির। মাঠে,ঘটে , পথে , টয়লেটে ,অফিসে , বাসে, ট্রেনে – সব খানেই চলছে সেলফি। সেলফির জন্য মানুষ পানিতে ডুবেছে , ট্রেনে কাটা পড়েছে , বাঘের পেটে গেছে , তবুও ” সেলফির যাত্রা চলবে”…”সেলফি বাবা জিন্দাবাদ। ”
এই শহরে আমার জানা মতে কয়েকজন মহিলা আছেন , যখনি কোনো অনুষ্টানে যাবেন , সাথে সাথে ওনাদের সেলফি স্টিক ঝান্ডা হিসাবে ওনাদের আগমনী বার্তা ঘোষণা করবে। যতক্ষণ ওনারা অনুষ্টানে থাকবেন ততক্ষন “সেলফি বাবা জিন্দাবাদ। ”
তবে এই সেলফি তোলার শখ কিন্তু আমাদের প্রধান মন্ত্রীর ও আছে। পার্লামেন্ট হিল থেকে শুরু করে সাবওয়ে স্টেশন , যেখানেই উনি জাননা কেন , কোনো সেলফি তোলার অনুরোধকে উনি না বলতে পারেন না। ওনার গত ফিলিপিন সফরের সময় একজন ফিলিপিনো মহিলা ওনার সাথে সেলফি তুলতে চাইলেন। মহিলার অনুরোধ রক্ষার্থে তিনি ঘনিষ্ট ভাবে মহিলার পাশে দাঁড়ালেন। হিতে বিপরীত আঁনন্দের অতিশয্যায় মহিলা বেহুশ ….
হয়তো আমাদের প্রধান মন্ত্রীর হওয়া লেগেছে আমাদের গায়ে। আজকাল যখনি ডানফোর্থে যাই , পরিচিত কারো সাথে দেখা হলে বলে “অনেক দিন পরে দেখা হলো আসোনা একটা সেলফি তুলি , ফেসবুকে দেবো “…..!!! ( এড়িয়ে যাবার জন্য বিনয়ের সাথে বলি “আমার ছবিটা ফেসবুকে দিয়োনা , এটা রাতের বেলা বাচ্চারা দেখলে ভয় পাবে “) তবুও নিস্তার নাই।
আমার মনে হয় সেলফি তোলার সময় সব পুরুষ নিজেকে মনে মনে Justin আর মহিলারা নিজেকে Sophie ভাবেন ….
“জয় বাবা ভোলানাথ , সেলফি বাবার জয় হোক।”
-কালাবাবা , টরন্টো।