(পাঠকের পরামর্শক্রমে আগের পর্বের ‘ভাবী’ শব্দের পরিবর্তে এখন থেকে প্রতিটি পর্বে ‘মহিলা’ শব্দটি ব্যাবহৃত হবে )

“আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই। বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই একই সাম্যবাদী নজরুল আবার আরেক জায়গায় নারীকে অধিকতর সম্মান দেখাতে যেয়ে গেয়েছেন “পুরুষ এনেছে দিবসের জ্বালা তপ্ত রৌদ্রদাহ, কামিনী এনেছে যামিনী-শান্তি, সমীরণ, বারিবাহ”। আর সে কারণেই হয়তো নারী তাঁর কোমলতা দিয়ে, মমতাময়ী স্নেহ স্পর্শ দিয়ে কাস্টমার সার্ভিস সেক্টরে নিজেদেরকে অধিষ্ঠিত করেছেন, প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং আলোকিত করেছেন। আর সে করনেই হয়তো আমরা দেখি অন্যন্য মহিলাদের মতো আমাদের বাংলাদেশেরর মহিলাদের একটি বড় অংশ প্রবাসে বছরের পর বছর ধরে কাস্টমার সার্ভিস সেক্টরে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। এই পেশার সুবিধার দিক হচ্ছে দেশের মাঝারি ধরণের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও কম অভিজ্ঞতা এমনকি কোনোরকম পূর্ববর্তী চাকুরীর অভিজ্ঞতা ছাড়াও এধরণের চাকুর পাওয়া যায়। কিন্তু আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো একটি সুন্দর রেজুমি তৈরী করা। প্রয়জনে চাকুরীতে Apply-এর আগে আপনার নিকটস্থ এমপ্লয়মেন্ট বিষয়ক কমিউনিটি বেসড কোনো অর্গানিজসনে যেয়ে উনাদের সাহায্য নিয়ে একজন অভিজ্ঞ প্রফেশনাল কর্মী-র কাছ থেকে গুছিয়ে আপনার রেজুমি তৈরীকরে নিন।

রিজুমি নিয়ে এর আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে। ভালো চাকুরীর ক্ষেত্রে হার্ড স্কিল, সফ্ট স্কিল দুটোই জরুরি। কাস্টমার সার্ভিস ধরণের রিজুমির জন্য হার্ড স্কিল-এর চেয়ে সফ্ট স্কিল বেশি জরুরি। হার্ড স্কিল হচ্ছে যা প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জন করতে হয় এবং সহজেই সনাক্ত করা যায়, কিন্তু সফ্ট স্কিল চেনা যায় আপনি যখন কারো সঙ্গে কথা বলবেন। তবে কাস্টমার সার্ভিস ধরণের চাকুরীর জন্য আপনার রেজিউমিতে সফ্ট স্কিলের উল্লেখ থাকা বেশি জরুরি। কাস্টমার সার্ভিস ধরণের চাকুরীর জন্য কিছু সফ্ট স্কিল আপনার মধ্যে না থাকলে আপনাকে অবস্যই রপ্ত করতে হবে : মনোযোগ দিয়ে কথা শুনা (Effective listening) ,  ইংরেজিতে দক্ষতা  (Excellent communication skills ), হাসি-খুশী থাকা (Smiling face) , দেহ ভঙ্গি (Body language), ইতিবাচক মনোভাব (Positiveness),  ধৈর্য (Patience),  সহ মর্মিতা (Empathetic) , সমস্যা সমাধান (Problem solving ) । এছাড়াও, আপনার রেজিউমিতে “High level of literacy in reading, writing, math and technology উল্লেখ থাকলে ভালো হয়.

অনেক সময় গভর্নমেন্ট লেভেলেও কলিং সেন্টারে কাস্টমার  সার্ভিস  পজিশন লেভেলে জব থাকে। সেক্ষত্রে এধরণের জব  পেতে হলে আপনাকে অবস্যই গভর্নমেন্ট জবের  ওয়েবসাইট   যেয়ে লগ ইন করতে হবে । এক্ষেত্রে আপনার রেজুমি আরো  Mature  হতে হবে। কাস্টমার সার্ভিস সেক্টরে অন্তত ২/৩ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে.    দ্রুত বিন্যস্ত পরিবেশে ( fast-paced environment) কাজে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । চমৎকার কাউন্সেলিং স্কিলস   থাকতে হবে সম্ভবহলে https://www.aoda.ca/free-online-training/ ওয়েবসাইটে যেয়ে  AODA (Accessibility for Ontarian with Disability Act ) ফ্রি ট্রেনিং করে রাখতে পারেন। ইন্টারভিউ-এর জন্য ডাক পেলে এক্ষেত্রে আমি অবস্যই পরামর্শ দিবো,  টরেন্টোতেই অনেক ভাই/বোনেরা আছেন যারা ইতিমধ্যে গভর্মেন্ট জবে বা সিটিতে কর্মরত আছেন, উনাদের সাথে যোগাযোগ করে ভালোভাবে ইন্টারভিউ-এর প্রস্তুতি নিন।

প্রবাসে কাস্টমার সার্ভিস সেক্টরে আমাদের দেশের মহিলারা সবচেয়ে বেশি ইনভল্ভড থাকে ওয়ালমার্ট ও টিমহর্টনে। আবার আমাদের পাশের্বর্তীদেশের অনেক মহিলাদের দেখা যায় অন্যান্য গ্রোসারি স্টোর যেমন : nofrills , food Basic s,  ইত্যাদি। আবার বিভিন্ন শপিংমলে নামিদামি ব্রান্ডের দোকানেও সেলস পারসন হিসাবে কাস্টোমার সার্ভিসের জব থাকে। অধিকাংশ স্টোরগুলিতে ব্যাক্তিগত ভাবে যোগাযোগকরলে ওদের একটি নির্দিষ্ট ফর্ম থাকে ওটা ফিলাপ করে রেজুমি সহ ম্যানেজার-এর হাতে জমা দিতে হয়। কেবল ব্যাতিক্রম ওয়ালমার্ট জব। তাই, আমি এ লেখায় ওয়ালমার্ট জব-এর বিস্তারিত বিবরণ নীচে তুলে ধরলাম:

ওয়ালমার্টে কাস্টমার সার্ভিস সেক্টরে প্রাথমিক লেভেলের জবগুলিকে অনেকসময় আওয়ারলি পজিশন জব বলে থাকে। যেমন: ক্যাশিয়ার, প্রডিউস এসোসিয়েট, রিটেইল স্টোর এসোসিয়েট, মার্কেন্ডেয়জিং এসোসিয়েট ইত্যাদি। এসব পজিশনের মধ্যে কেবল ক্যাশিয়ার পজিশন ছাড়া অন্যান্যগুলি কমবেশি লিফটিং করতে হয় যা মহিলাদের জন্য একটু কঠিন হতে পারে। ক্যাশিয়ার পজিশন হচ্ছে আমরা যখন শপিং শেষে যেসমস্ত মহিলারাদের আমরা পে করে থাকি, এনারা আমাদের জিনিসপত্র স্ক্যানিং করে, ক্যাশ হ্যান্ডেল করে এবং ক্রয়কৃত জিনিসপত্র ব্যাগিং করে থাকেন। অনেক সময় এনারা আমাদের ওয়ালমার্ট মাষ্টার কার্ড-এর জন্য তাগিদ দিয়ে থাকেন। আমাদের দেশের অধিকাংশ মহিলারা সাধরণত ক্যাশিয়ার পজিশনে জব করে থাকেন।আবার একটু এগিয়ে থাকা মহিলারা যারা একটু কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা আছে, কম বেশি ম্যানেজেরিয়াল পজিশনে কাজের অভিজ্ঞত্যা আছে উনারা সরাসরি কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার (CSM) পজিশনে Apply করতে পারেন।

ওয়ালমার্ট জবের জন্য  Apply করার নিয়মাবলী হলো : ১. প্রথমে মন স্থির করুন।
২. https://www.walmartcanada.ca/careers ওয়েবসাইটে যেয়ে Apply online- এ ক্লিক করুন উপরের দিকে ক্যারিয়ার সেকশন অথবা জব সার্চ সেকশন দুইভাবেই দেখতে পারেন। আপনি কানাডাতে যে প্রভিন্সে থাকেন তার নাম, চাকুরীর পজিশন , লোকেশন ইত্যাদি দিয়ে সার্চ করলে দ্রুত কাঙ্খিত পজিশনের অনেক লিস্ট দেখতে পারবেন। শেষের দিকে লেখা থাকে ,” Apply to Job ” . এখানে ক্লিক করুন। ৩. আপনার যদি আগে থেকে user name and password থাকে তবে লগ ইন করুন অথবা না থাকলে Create a log in, এখানে ক্লিক করুন আর পরে ইন্সট্রাকশন মেনে চলে Apply করুন. user name and password কোথাও সেভ করে রাখুন অথবা নিজেকে ইমেইল করে রাখুন যা পরবর্তীতে কাজে লাগবে। ৪. Apply করার পর পরেই আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি ইমেইল করা হবে যেখানে আপনার রেফারেন্স নম্বর দেয়া থাকবে এবং অতিসত্তর আপনাকে আরেকটি ইমেইল করে জানাবে আপনাকে একটি অনলাইন ভিত্তিক এসেসমেন্ট করতে হবে যা ইমেইল পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অবস্যই সাবমিট করতে হবে। যদিও ইমেইলে লেখা থেকে এটি করতে প্রায় ২০ মিনিট লাগবে, কিন্তু একটু বেশি হলেও কোনো সমস্যা নেই। পুরা এসেসমেন্ট ১০০টির মতো প্রশ্ন থাকে যা একটু চিন্তা করে উত্তর লিখবেন। একধরণের প্রশ্ন থাকে , আপনার ব্যাক্তিত্ব নিয়ে। যেমন: কাজের সময় শেষ হওয়া মাত্রই আপনি হাতের কাজ অসমাপ্ত রেখে বাড়ি চোলে যাবেন অথবা সময় শেষ হলেও হাতের কাজ শেষ হতে যদি সামান্য সময় লাগে সেটা শেষ করে বাড়ি যাবেন ইত্যাদি জাতীয় প্রশ্ন। আবার সিনারি ভিত্তিক বেসিক প্রশ্ন করা থাকে যেমন: আপনার সহকর্মী কোনো কাজে ভুল কিছু করছে যা আপনি দেখলেন, এখন আপনি কি উনাকে সরাসরি বলবেন এবং ভুল শুধরে দিবেন , না অন্য কোনো সহকর্মীকে ব্যাপারেটি বলবেন, না সরাসরি সুপারভাজারকে বলবেন ইত্যাদি। একটু মাথা খেটে চিন্তা করলে এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আর যদি কোনো শব্দ বুঝতে অসুবিধা হয় পাশে থাকা কাউকে জিজ্ঞাসা করে নিন অথবা গুগল সার্চ করে সঠিক মানে জেনে নিন। আমার মনে হয়না সময় একটু বেশি লাগলেও কোনো সমস্যা হতে পারে। ৫. যদি আপনার এসেসমেন্ট ফলাফল ভালো হয় ওয়ালমার্ট থেকে আপনাকে আপনার ফোন নাম্বারে ডাইরেক্ট ফোন করা হবে জব ইন্টারভিউ-এর জন্য। এক্ষত্রে যেটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ সেটা হলো অবস্যই আপনার সেল ফোন আপনার কাছে রাখবেন যাতে কোনো ফোন মিস না হয়। যদি কোনো ফোন কল নাও পেয়ে থাকেন তবে আমি বলবে যে স্টোরের জন্য Apply করেছিলেন সেখানে আপনার রেফারেন্সস নাম্বার, রেজুমি নিয়ে যেয়ে স্টোর ম্যানেজার-এর সাথে দেখা করে বলুন আপনি অমুক পজিশনের জন্য Apply করেছিলেন, এসেসমেন্ট শেষ করেছেন কিন্তু কোনো ফোন কল পাননি। অনেকসময়, আপনার কোথায় convinced হয়ে আপনার ফোন নম্বর নিয়ে রাখবে অথবা আপনাকে অমুকদিন আসতে বলবে ইন্টারভিউ-এর জন্য। ইন্টারভিউ-এর দিনে নির্দিষ্ট সময়ের কিছু আগে উপস্থিত হয়ে ধীর স্থির ভাবে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিন, ইনশা আল্লাহ চাকুরী আপনার হবেই। যদি নাও হয় আস্থা হারাবেন না। আপনার দেয়া উত্তরগুলি নিয়ে পরিচিত যারা ইতিমধ্যে এ লাইনে কাজকরছেন তাদের সাথে আলাপ করুন অথবা নিকটস্থ এমপ্লয়মেন্ট কমিউনিটি বেসড অর্গানিজশন-এ যেয়ে উনাদের সাথে আলোচনা করুন এবং পরবর্তী ইন্টারভিউ-এর জন্য প্রস্তুতি নিন।

মনে রাখবেন কাস্টমার সার্ভিস জাতীয় জব পাওয়ার চেয়ে টিকে থাকাটা বেশ চ্যালেন্জিং কারন ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে হরেকরকমের সহকর্মী এমনকি ম্যানেজমেন্ট ব্যাক্তি থাকেন যারা আপনাকে প্রথম দিকে ওয়েলকাম নাওকরতে পারেন। এমনকি আপনাকে হার্ড টাইম দিতে পারে। আপনার নিষ্ঠা , সততা কর্মদক্ষতা দিয়ে নিজেকে তুলে ধরবেন, দেখবেন একসময় যারা আপনার পিছনে লেগে থাকতো তারাই আপনাকে ভালোবাসতে শুরু করেছেবাংলাদেশী  আর যদি সে সুযোগ নাও হয় চোখকান বন্ধ রেখে শুধু নিজের কাজের দিকে ফোকাস করে কাজ চালিয়ে যেতে থাকুন অবশ্যই এর ফল পাবেন।

সবশেষে যত কোথায় বলিনা কেন প্রবাসে যেকোনো ধরণের চাকুরীর জন্য নেটওয়ার্কিং -এর কোনো বিকল্প নেই. ইদানিং অনেক বড় ভাইরা face book-এ  চাকুরী বিষয়ক অনেক তথ্য , অনেক টিপস দিয়ে থাকেন, মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।   এখন অনেক কমিউনিটি বেসড অর্গানিজশন আছে যেখানে বাংলাদেশী  জব কনসালটেন্ট স্টাফ আছে, উনাদের পরামর্শ মেনে চলুন ও উনাদের দিকনির্দেশনা মেনে চলুনন।  আপনার ইচ্ছা শক্তিই আপনাকে প্রবাসে একটি ভালো ক্যারিয়ার উপহার দিতে পারে।

 

 

পরবর্তী আকর্ষণ: মহিলাদের জন্য প্রবাসে ক্যারিয়ার ৩ : ডে-কেয়ার

পূর্ববর্তী নিবন্ধআত্মসমর্পণ
পরবর্তী নিবন্ধক্ষুধার তাড়ণায়
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন