ভারতের রাজস্থান এর জয়পুরে আমার প্রথম গাধা দর্শন। ভেলোর “সি এম সি” থেকে বোষ্টমীর চিকিৎসা শেষে চেন্নাই হয়ে লম্বা ট্রেন ভ্রমনে জয়পুর । জয়পুরকে বলা হয় পিঙ্ক সিটি । ঘোরাঘুরি কেনাকাটা, আর মাঝখানে ভলভো বাসে আজমীর শরিফ গিয়ে জিয়ারত করে আসা ।
এবার ফিরতে হবে। রাতের ট্রেনের টিকিট নিলাম, জয়পুর টু শিয়ালদহ। উদ্দেশ্য হলো কলকাতা শহরে ঢুকবো না। শিয়ালদহ স্টেশন থেকেই লোকাল ট্রেন ধরে বনগাঁ, সেখান থেকে ট্যাক্সিতে বাংলাদেশ সীমান্ত ।
কোন তাড়াহুড়ো নেই, প্যাকিং শেষ করে, বিকেলে দুজনে রিকশায় ঘুরতে ঘুরতে উপশহরের দিকে চলে এলাম। রাস্তার পাশেই বেশ বড় একটা খোলা মাঠ । রিকশা ছেড়ে দিয়ে মাঠের এককোণে একটা গাছের কাটা গুড়ির উপর বসে আছি, একটু দূরেই দেখা পেলাম। দুটি গাধা ঘাস খাচ্ছে । বোষ্টমীকে ইশারায় বসতে বলে এগিয়ে গেলাম। আমাকে দেখে একজন দৌড় দিলো, আর একজন ঠাঁই দাঁড়িয়ে আমাকে বুঝতে চেষ্টা করছে। আমি আস্তে আস্তে কাছে গেলাম, পিঠে আর লম্বা গলায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আর ভাবছি, নিরীহ ভারবাহী পরিবর্তিত গৃহপালিত এই পশুকে নির্বোধের সংজ্ঞা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয় কেন ?
আদর পেয়ে গাধাটা গলা উঁচু করে দিয়ে আরামে চোখ বন্ধ করে আছে।
হঠাৎ মনে হলো, আমিও তো এমনই ।