নরওয়ে থেকে:-
বিগত ১১ বছর ধরে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নরওয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখলেও বাংলাদেশ আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। জীবনে সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, একজন সুশিক্ষিত মানুষ তার ব্যাক্তি জীবনে নিজের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নিজে নিজেই অনেক কাজ করতে পারেন। জীবনে চলার পথে টাকা পয়সা থাকাটা অনেক জরুরি হলেও বর্তমানের এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে টাকা পয়সার সাথে সাথে সুশিক্ষা না থাকলে বারে বারে থমকে দাঁড়াতে হয়। তাই সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদেরকে সঠিকভাবে সুশিক্ষিত করবার ব্যাপারে মনোযোগী হন।
স্কুলে থাকা অবস্থা থেকেই আমি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে যেকোনো আবেদন পত্র লিখতে পারি, সেটা পারি কেননা আমি গুছিয়ে কিভাবে লিখতে হয় সে ব্যাপারটা রপ্ত করবার জন্য বারে বারে চেষ্টা করতাম। তাই সেই ছাত্র জীবন থেকে যেকোনো আবেদন পত্র লেখার জন্য আমাকে কক্ষনো কারো কাছে যেতে হয়নি এবং যেকোনো জায়গায় যখনি কোনো আবেদন পত্র পাঠিয়েছি তখনি কোননা কোনো সঠিক প্রতিফল পেয়েছি। বিগত কয়েকদিন আগে এখানে দক্ষিণ নরওয়ের জেলা প্রশাসকের কাছে একটা ব্যাপারে লিখেছিলাম। ফলাফল কি জানেন ?? ১০০% সফল।
জীবনে দারিদ্রতা থাকবেই, তবে দারিদ্রতাকে জয় করে সসম্মানে সামনে এগিয়ে যেতে হলে সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
বর্তমানের বাংলাদেশী তরুণ সমাজ আমাদের থেকে হাজারগুন স্মার্ট, শিক্ষিত এবং দক্ষ। বাংলাদেশী তরুণ সমাজকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিয়ে কাজে লাগাতে পারলে দেশ এগিয়ে যেতে বেশিদিন লাগার কথা নয়। তবে নিজের উন্নয়নের জন্য নিজেদেরকেই সুশিক্ষিত হতে হবে,, হতে হবে দেশপ্রেমী, সৎ এবং নিষ্ঠাবান একজন মানুষ।