যুথিকা বড়ুয়া
কয়েক বছর আগে দেশে গিয়ে ছিলাম বেড়াতে। তখন ছিল আশ্বিন মাস। চারিদিকে পূজো পূজো রব। গ্রামে-গঞ্জে, ট্রেনে-বাসে, শহরের রাজপথে সর্বত্রই দেখি, বিশার কালার পেপারে অয়েল প্যাষ্টেলে পায়ে ঘুঙ্ঘরু পড়া আঁকা ছবি সহ খ্যাতনামা কমেডিয়ান লাজবন্তীর বিজ্ঞাপনের জয়যাত্রা। সেই সঙ্গে পুরো উদ্যমে চলছে, আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসবের আনন্দমেলার প্রস্তুতি পর্ব। মেলা মানেই তো সূঁতোয় বাঁধা কাঠপুতুলের নাচন থেকে শুরু করে তালপাতার বাঁশীর অপূর্ব মূর্ছণা, দর্শণীয় যাদুঘর, চিড়িয়াখানা, নাগর দোলা, আরো কত কি! খুশীর পাল তুলে রাজ্যের শিশু-কিশোর-কিশোরী, নবীন, প্রবীণ সকলেই মেতে ওঠে শারোদৎসবের মিলন মেলায়।
প্রতি বছরের মতো সেবারও শহরের সড়ক পথের সংলগ্নে ব্যাঙের ছাতার মতো বিরাটাকারে সারি সারি তাবু গেঢ়ে বসেছিল, পুতুলনাচন, দর্শণীয় যাদুঘর, চিড়িয়াখানা এবং কিছু ঐতিহাসিক চিত্রকলার স্লাইট্ শো-এর প্রদর্শণী। সেই সঙ্গে চলছিল, রসালো হাস্য-কৌতূকে ভরপুর জনপ্রিয় লাজবন্তীর নৃত্য ও গীতিনাট্য প্রদর্শণী। প্রতিদিন তিনটে করে শো। প্রতিটি শো তিনঘন্টা করে। নৃত্যগীতের তালে তালে একক নাট্যাভিনয়ের এক আনন্দময় অভিনবত্বের পসরা নিয়েই লাজবন্তীর নিরন্তর পদযাত্রা।
সেদিন ছিল দূর্গাষ্টমী। ননষ্টপ একটানা তিনঘন্টা আত্মমুগ্ধতায় মেলার মিলনায়তনের উন্মত্ত দর্শক শ্রোতাদের চুম্বকের মতো আবিষ্ট করে রেখেছিল, লাজবন্তীর অনবদ্য উপস্থাপণার মাধ্যমে। সেই সঙ্গে মে ওর বিচরণ ছিল অত্যন্ত বিস্ময়কর এবং আনন্দদায়ক। সে এক নিদারুণ অঙ্গ ভঙ্গিমার চমকপ্রদ মাধুর্য্যে নারী চরিত্রের বান্তব রূপ ও তার নৃত্যকলা সমগ্র দর্শক শ্রোতাদের হৃদয়ে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে যে রেখাপাত করেছিল, তা একেবারে নিঃসন্দেহ। কথায় কথায় সাবলীলভাবে উর্দু বলার ঢং, বাকচাতুর্য্যরে মহিমা, কখনো নৃত্যগীতের অপূর্ব মূর্ছণা, কখনো বা ভূতের মতো কালো রঙের বিচিত্র পোশাক পরিহিত লাজবন্তী আচমকা আর্বিভূত হয়ে চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া শুধু বিস্মিতই নয়, সমগ্র দর্শক-শ্রোতাদের অত্যন্ত চমকৃতভাবে দৃষ্টি আকর্ষিত করে রাখে তার কলা-কাব্যের নিখুঁত পরিবেশনায়।
কিন্তু পর্দার আড়ালে তাদের ব্যক্তিগত জীবন সর্ম্পকে আমাদের কখনও কোনো ভাবান্তর হয় না। হবার কথাও নয়। কারণ আমাদের জীবনটাই একটা মেলার মতো। মেলায় কত রকমের মানুষ আসে আর যায়। কে কাকে মনে রাখে। শুধুমাত্র নিতান্ত প্রয়োজনে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে অন্ন-বস্ত্রের মতো মনের খোরাক মিটাতে যে আনন্দটুকু আমরা পাই, স য় করি, শুধু সেটুকুই রয়ে যায় আমাদের স্মৃতির গ্রন্থিতে, অদৃশ্য এক অনুভূতিতে। যা চিরতরে গেঁথে থাকে আমাদের মনের মনিকোটায়।
মানুষ্য জীবন বড়ই বিচিত্র। জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ কি না করে! কত ত্যাগ, বলিদান দেয়, যা কখনো কল্পনা করা যায় না। যখন নিষ্ঠুর নির্দয়ের মতো স্বয়ং স্র ষ্টা তাঁর নিজ হাতে গড়া বিশেষ করে যারা অসহায় দুর্বল মানুষ. যাদের সুখ-শান্তি ও আনন্দময় জীবনের পরিবর্তে খেটে খাওয়ার শক্তিটুকু ছিনিয়ে নেয়। এমনকী হাত-পা এবং মস্তিস্ককে বিকলাঙ্গ করে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেয়।
লোকে বল-‘এসব পূর্ব জন্মের অপকর্মের ফল।’
বিখ্যাত কমেডিয়ান লাজবন্তী এমনই একজন হতভাগা, যার জন্ম লগ্নে বাকশক্তি ছিনিয়ে নিয়েছেন বিধাতা। দৃষ্টিশক্তিও কম, চোখে স্পষ্ট দেখতে পারে না। যার ফলে প্রাথমিক বিদ্যাটুকু অর্জন করার মতো ক্ষমতা তার ছিল না। তবু ভাগ্য বিড়ম্বণায় জীবনের বহু জটিলতা থেকে কিছুটা মুক্ত হয়ে শুধু চেয়েছিল, কারো গলদঘর্ম না হয়ে, কারো উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজে সাবলম্বী হতে। চেয়েছিল, অধিকতর উন্নতমানের জীবন ও চিন্তা-ভাবনার চেয়ে নূন্যতমই বেঁচে থাকতে। শান্তি সুষ্টভাবে জীবনযাপন করতে। কিন্তু ভাগ্যের পরিক্রমায় জীবন ও জীবিকার তাগিদে লাজবন্তীর টক্-শো-এর প্রতিদিন টানা ন’ঘন্টা কি কঠিন বাস্তবতার সংঘাতে কবলিত হয়ে প্রতি মুহূর্তে জীবনের সাথে কিভাবে লড়াই করে তাকে বেঁচে থাকতে হয়, তা কেউ জানে না। কেইবা রাখে তার সে খবর!
সেদিন দূপুর থেকেই গুমোট মেঘান্ন আকাশ। একটু হাওয়া নেই, বাতাস নেই। পশু-পাখীর কলোরব নেই। গাছের একটা পাতা পর্যন্তও নড়ছে না। যেন থমকে দাঁড়িয়ে আছে গোটা পৃথিবীটা। কিন্তু মানুষ তো আর থেমে নেই। রুজী-রোজগারের অণ্বেষণে সকলেই ধাবিত, উদ্যত। নদীর স্রোতের মতো চলছে অনবরত, অবিশ্রান্ত। তন্মধ্যে কেউ কেউ আসন্ন ঝড়-বৃষ্টি-তুফানি পবনের অস্থিতিশীলতার বিরূপ চিত্র আনুমান করেই তাদের চিত্র প্রদর্শণী সেদিনকার মতো স্থগিত ছিল। শুধুমাত্র লাজবন্তীর টক্-শো যথারীতি প্রদর্শিত হচ্ছিল। যেটি ছিল ওর শো-এর শেষ দিন। যা স্বপ্নেও কখনো কল্পনা করতে পারেনি লাজবন্তী।
সেদিন লাজবন্তীর একক নাট্যাভিনয়ের একটি দৃশ্য প্রতিবিম্বের মতো বাস্তব ঘটনার স্বরূপ চিত্র ওর মুখমন্ডলে এতোটাই ফুটে উঠেছিল যে, মোহাবিষ্ট দর্শকমন্ডলীর জোরালো করতালির পর মুহূর্ত্যইে অত্যাশ্চর্য্যজনকভাবে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যার পূর্বাভাষ ক্ষণপূর্বেও বোধগম্য হয়নি লাজবন্তীর। যেন মরার উপর খাঁড়া।
অভিনয় চলাকালীন হঠাৎ রুদ্ধ হয়ে যায় ওর কণ্ঠস্বর। থমকে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা লাজবন্তী গলা বাড়িয়ে গ্রীণরুমের দিকে পলকমাত্র দৃষ্টি হেনেই ক্ষমা প্রার্থীর মতো অসহায় দৃষ্টি মেলে সমগ্র দর্শকমন্ডলীর দিকে হাঁ করে চেয়ে থাকে। ইতিপূর্বে উত্তেজিত কিছু দর্শক চিৎকার করে ওঠে, -‘কি হলো রে ভাই? নাটক বন্ধ হয়ে গেল কেন?’
কিংকর্তব্যবিমূঢ় লাজবন্তী পাথরের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকে। কি করবে কিছুই স্থির করতে পারছে না।
পিছন থেকে কে যেন ফিক্ করে হেসে বলে,-‘এই রে, বেচারা সংলাপই্ ভুলে গিয়েছে বোধ হয়!’
কিন্তু তখন যে ওর বিপন্ন সময়ে চরম সমস্যার জট ক্রমশ পাকিয়ে যাচ্ছিল, তা কে জানতো! কে জানতো, হতভাগ্য লাজবন্তীর ভাগ্যবিড়ম্বণার কথা, ওর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কথা। কেই বা জানতো, জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শক শ্রোতাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে ক্রমাণ¦য়ে চলছে লাজবন্তীর অপপ্রয়াস। যাযাবরের মতো যার জীবন। নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা নেই, বাসন্থান নেই। নির্দিষ্ঠ সংস্থানের কোনো নিশ্চয়তাই নেই। ঘুরে বেড়ায় দেশ-বিদেশ। রজনী অতিবাহিত করে পথেঘাটে, শহরের জনবহুল এলাকার একখন্ড ভূমিতে।
অভাবনীয়ভাবে আচমকা বিভ্রান্তিকর ও বিরূপ পরিস্থিতির কবলে পড়ে অপ্রস্তুত লাজবন্তী ভয়-ভীতিতে থরথর করে কাঁপতে শুরু করে। অপারগতা ও অক্ষমতার কারণে অপরাধীর মতো ওর চোখেমুখে বিভীষিকা আর আকুতি। অথচ চমকপ্রদ রমণী অবয়বে পায়ে ঘুঙ্ঘরু আর কাঁধে কলস চেপে ক্ষণপূর্বে যাকে গ্রাম্য বধূবেশে অত্যন্ত সাবলীল ও স্বাচ্ছন্দ্যভাবে নৃত্য পরিবেশন করতে দেখা গিয়েছিল, সে যে একজন মধ্যবয়সী উজ্জ্বল গৌরবর্ণের সুঠাম সুদর্শণ সুপুরুষ, তা বোঝারই সাধ্য ছিল না।
বিশৃঙ্খল একটা পরিবেশ। দর্শকের হৈ-হট্টোগোলে বিচলিত হয়ে পড়ে লাজবন্তী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবার চেষ্টা করলেও উপায়ান্তরহীন হয়ে তৎক্ষণাৎ ম ছেড়ে দ্রুত ছুটে যায় গ্রীণরুমে। ততক্ষণে সব শেষ।
স্বভাবসুলভ কারণে আমরা কয়েকজন দর্শক কৌতূহল দমন করতে পারিনি। ওর পিছে পিছে গিয়ে ঢুকে পড়ি গ্রীণরুমে। ঢুকেই দেখি, সে এক অবিশ্বাস্যকর ঘটনা। রীতিমতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যা অত্যন্ত দুঃখদায়ক, বেদনাদায়ক। যা ভাষায় বিশ্লেষণ করা যাবে না।
নেপথ্যে প্রক্সি দিতে দিতে হঠাৎ হৃদক্রীয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লাজবন্তীর (ওরফে কালিচরণ দাস) বিকলাঙ্গ স্ত্রী ম্যানকা। কি হৃদয়বিদারক সেই দৃশ্য। উইলচেয়ারেই মুখ থুবড়ে পড়ে আছে ম্যানকা। মুখ দিয়ে ফ্যানা পড়ছে। চোখের মণিদুটো উল্টে গিয়ে বীভৎস লাগছে দেখতে। অথচ স্ক্রীফ্টের কাগজটা তখনও ওর হাতে ধরা ছিল।
আচমকা বিপর্যয়ে পতিত হয়ে বুদ্ধিভ্রষ্ঠ লাজবন্তী শিশুর মতো ফ্যাল্ ফ্যাল্ করে চেয়ে থাকে ওর সদ্য মৃতা স্ত্রী ম্যানোকার বিবর্ণ মুখের দিকে। ভিতরে ভিতরে বুকের পাঁজরখানা ভেঙ্গে যেন গুঁড়ো হয়ে গেল। জীবনের শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে গেল। হারিয়ে গেল ওর বেঁচে থাকার সাধ, অবলম্বন, ইচ্ছাশক্তি। চলে গেল ম্যানোকা। বিকলাঙ্গ শরীর নিয়ে দুদিনের এই ভবে এসে ক্রমাণ্বয়ে জীবন যুদ্ধে লড়াই করতে করতে নীরবে নিঃশব্দে চিরবিদায় নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল ম্যানোকা। চলে গেল অসহায় কালিচরণের জীবন সঙ্গিনী। থেমে গেল ওর জীবননদীর খেয়া। নিভে গেল ওর আশার প্রদীপ। ভেঙ্গে গেল দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত অভিনীত জীবনের রঙ্গম । ওকে একেবারে নিঃসম্বল করে দিয়ে গেল। কালিচরণ এখন বাঁচবে কি নিয়ে? কাকে নিয়ে? বিদায়বেলায় কিছুই তো বলে যেতে পারেনি ম্যানোকা। কত শখ্ ছিল, কত আশা ছিল ওর, দামী শাড়ি নয়, গহনা নয়, শুধুমাত্র একটি মুক্তার নোলক, নাকে পড়বে। মারা যাবার কিছুদিন আগেই স্বামীর কাছে আবদার করে চেয়েছিল। কালিচরণ সাবেগে মাথা নেড়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, গড়িয়ে দেবে। কিন্তু ম্যানোকার শেষ ইচ্ছা তো পূরণ হলো না। পূরণ করতে পারলো না কালিচরণ। করার সুযোগই পেলো না। তেরো বছরের বিবাহিত জীবনে দুবেলা দুমুঠো ভাত-কাপড় ছাড়া কিইবা পেয়েছে ম্যানোকা। কিছুই পায়নি। শুধুমাত্র মৌলিক চাহিদা মিটাতেই কালিচরণকে কত বেগ পেতে হয়েছে, কত হিমশিম খেতে হয়েছে। কি হবে ওর ভবিষ্যৎ? কি হবে ওর শেষ পরিণতি? কোথায় ওর মঞ্জিল? কোথায় ওর শেষ ঠিকানা ?
হঠাৎ চাপা আর্তনাদ করে বুক চাপড়িয়ে হাউ হাউ করে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়ে শোকে কাতর বিহ্বল মুহ্যমান কালিচরণ। এমতবস্থায় সমগ্র দর্শক মর্মাহত, শোকাভিভূত। ওকে শান্তনা দেবার মতো, সমবেদনা জানাবার মতো একটা শব্দও কেউ উচ্চারণ করতে পারেনি। তখনও কানে বাজছিল, ক্ষণপূর্বের চমকপ্রদ বাদ্যযন্ত্রের শব্দ-তরঙ্গে কোলাহল মুখরিত সেই শ্রুতিমধুর সুর ও ছন্দের ঐক্যতানের গুঞ্জরণ। প্রাচীন লোকসঙ্গীতের অপূর্ব মূর্ছণা, ‘বৃন্দে গো, কি জ্বালা জ্বালাইলো আমার নন্দে। ’
মুহূর্তে সব অতীত হয়ে রয়ে গেল ধরিত্রীর বুকে সদা চ ল প্রাণবন্ত ও উচ্ছাসিত তরুণ যুবক লাজবন্তীর হৃদয় উজার করা আনন্দ বিতড়ণের এক অনবদ্য স্মৃতি।
কিন্তু মানুষের জীবননদীর প্রবাহ সদা চল ও বহমান। একই স্থানে কখনো থেমে থাকেনা। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সময়ের নিমর্মতা কাঁধে চেপে অন্তবিহীন পথ পেরিয়ে আমরণ এগিয়ে চলে আপন ঠিকানায়, তার নিজস্ব গন্তব্যে স্থলে। এক নতুন দিগন্তে নতুন সূর্য্য ওঠা একটি সুন্দর সকালের আশায়।
তেমনিই জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রখ্যাত কমেডিয়ান লাজবন্তী (ওরফে কালিচরণ) তার ভাগ্যবিড়ম্বণায় জীবননদীর স্রোতের টানে সে যে কোন মোহনায় গিয়ে আঁটকে আছে, কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে, তা কে জানে! জানবেও না কেউ কোনদিন! শুধুমাত্র আমাদের হৃদয়পটে বহুদিন লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে, সেদিনের সেই বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় এক অনবদ্য শ্রুতিমধুর সুর ও ছন্দের তালে তালে উচ্ছাসিত লাজবন্তীর নৃত্যগীতের মধুর গুঞ্জরণ। সেই সঙ্গে রয়ে যাবে ওর মৃতা স্ত্রী ম্যানোকার জীবনাবসানের সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্যপটের একখন্ড স্মৃতি। যা চিরতরে রয়ে যাবে, ঋতুর মতো পরিবর্তিত জীবনযাত্রায় পথ চলতে চলতে ক্ষণিকের সি ত মাবনপ্রীতি ও ভালোবাসার আনন্দঘন মুহূর্তের কিছু স্মৃতি। যা আমার প্রাত্যহিক জীবনে স্মৃতির পথে অম্লান পাথেয় হয়ে থাকবে।
সমাপ্ত
যুথিকা বড়ৃয়া- টরন্টো প্রবাসী গল্পকার, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী।
(ছবি:-সৌজন্যে uv kurier)