লেখাটা কোন বিষয় নিয়ে শুরু করবো ভাবছি। চিন্তা করি এক, লেখা হয় অন্যরকম। আসলে আমাদের ভাবাভাবিতে কিছুই হয়না। প্রতিটি মানুষ তার জীবনে ভাবে এক, হয় আর এক। স্কুল জীবনে পরীক্ষার খাতায় “এ্যাম ইন লাইফ” খুব সুন্দর করে সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখে ৬ এর মধ্যে ৫ পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। কিন্তু বাস্তব জীবনে?? দিল্লি দূরস্থান।
আমি- তুমি- সে- তিনি।
সবাই উঠতি বয়সে আপন মনে যার যার অবস্থান থেকে একটা এ্যাম ইন লাইফ তার কল্পনায় সাজায়। সে কল্পনায় সবকিছু সুন্দর থাকে সাজানো গোছানো থাকে
কিন্তু? বাস্তবের মহাসড়কে পা দিয়ে মানুষকে সেভাবেই চলতে হয়, সড়কটা যে ভাবে গিয়েছে, তখন আর তার নিজের ইচ্ছে বলে কিছু থাকে না। এই চলার পথে জীবনের প্রয়োজনে, গতির প্রয়োজনে তাকে জীবনের পদে পদে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে ভিন্ন ভিন্ন চেহারায় নিজেকে উপস্থাপন করতে হয়, ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক।
এটাই বাস্তবতা, আর এই বাস্তবতার ছক তার নিজের তৈরি নয়। কারণ তার এ্যাম ইন লাইফ এর কল্পনায় এই বাস্তবতা ছিলো না। সেখানে সবকিছু সুন্দর ছিলো, সাজানো গোছানো ছিলো।
যদি বলি সব পূর্ব নির্ধারিত। এটা বলাই যায়,
অবশেষে আমরা সেটাই বলি, মেনে নিয়েই বলি।
আত্মসমর্পণ??
হ্যাঁ, আত্মসমর্পণ করতেই হয়।
নিয়তির কাছে, নিয়তির আধিকারিকের কাছে।
……… অনেক দিন আগে শোনা একটা সায়ের মনে পড়ছে………

“ও জিস তারা ছে ম্যাইনে,
জীবন সাজা লিয়া,
হার বার এক নয়া চেহারা লাগা লিয়া।
তকদির কি লেকিরে
হাতো মে রূখ গেয়ী,
কদমো কি আহাদ ঢুঁডছে
মঞ্জিল ঠের গেয়ী,
আপনো কি আরজু কো,
হার পাল মিটা দিয়া।
হার বার এক নয়া চেহারা লাগা লিয়া”।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন