রাহুর গ্রাসে চন্দ্রের পতনেও যে মন সৌন্দর্য খোঁজে, হয়তো হতে পারতাম তাদেরই একজন।
আমি বলতে পারতাম একভোর শিশিরের গল্প, বাবুইদের ব্যাস্ত গৃহস্থালির খুঁটিনাটি,
সদ্য চোখ মেলা ক্রিসেনথিমামের সাথে—
রঙিন ডানা প্রজাপতির কথোপকথন…
বলতে পারতাম এমন অনেককিছুই
কিন্তু পারিনি!
কবিরা বিষাদ লিখে
আমি কবি নই
তবু কেন যেন এই সবকিছু আজ এক বিষাদী গাঁথা হয়ে ঝরে পড়ে হৃদয়ের অতল ঝুড়িতে!
ঘামের দামে নিত্য কেনা জীবন
সূর্য মানে এখানে কোনো হাসি নয়
রাত্রি মানে অন্ধ বলয়ে এক নির্ঘুমের আকাশ বন্দনা
বিলাসী মন ও মেঘের সংঘর্ষে চাপা পড়ে যায়
অবশিষ্ট বোধের খুচরো আনা-দু’আনা!
সিদরাতুলমুনতাহার গল্প টানে না এখন আর কিছুই
স্বপ্নের সিঁড়ি পথে পৃথিবীই তো ছিলো শুধু এক ঘর
মেনে নিয়ে আপোষী অভিধান,
শান্তির অন্বেষায় নত হতে হতে এ দেহ আজ এক সদা কুর্নিশ গ্রস্ত অবয়ব
আগুনের সাথে সখ্যতায় সকাল-সন্ধ্যা কাটে যার হাপরের জীবন, ভয় কি জাহান্নামে!
বিস্মৃতি কেড়ে নিক সব এই হরিদ্রাভ দুঃখ, তীরের ফলার মতো অবজ্ঞা, সন্ধ্যার উপকূলে দাঁড়িয়ে সারাদিনের কাঙালপনায় সঞ্জীবিত ভালোবাসা…
পথ খুঁজে নিক সব ওরা শ্মশানের!
ভুলে যাবো সব…
বিষণ্ণ রাতের তার ছুঁয়ে একবারও যদি বেজে ওঠে সেই সুর—
পরিত্যাক্ত তোর বীণায়!!