বাবা মায়ের একমাত্র কন্যা সন্তান উশিন চায়না থেকে টরেন্টো এসে গ্রাজুয়েশন শেষ করে চাকুরী খুঁজছে এখন। চায়নায় পূর্বে ছিল এক সন্তান নীতি। সরকার বর্তমানে দ্বিতীয় সন্তান গ্রহণে অনুমতি দিয়েছে। উশিন মনে করে ভবিষ্যতে তৃতীয় সন্তান গ্রহণে রাষ্ট্র ও সরকার নমনীয় হবে।
পঠিত বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত চাকুরী না পেয়ে উশিন একটি চায়নীজ গ্রোসারী ষ্টোরে সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করে। তাঁর বাবা মায়ের ইচ্ছা গ্রাজুয়েশন শেষ হয়েছে তা’হলে দেশে চলে আসো। উশিনের ইচ্ছা বেশ কিছুদিন চাকুরী করে ক্যানাডায় রেসিডেন্স পারমিশনের জন্য আবেদন করবে। রেসিডেন্স পারমিশন পেলে ক্যানাডার নাগরিক হবার পথ ত্বরান্বিত হবে। উশিনের বাবা জানিয়েছে, দেশে ফিরে না গেলে তিনি কন্যাকে আর কোনো টাকা পাঠাবেন না। পিতা তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়।
তিন বেড রুমের এপার্টমেন্টের একটি বেডরুমের ভাড়া সাড়ে নয়শ’ ডলার। বাবা, মায়ের হৃদয়ের আকুলতা উপেক্ষা করে নাগরিকত্ব পাবার আকাঙ্ক্ষায় থাকা, খাওয়া ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য উশিনকে এখন অড জব করতে হচ্ছে। শীর্তাত সকালে মাইনাস পঁচিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস টেম্পারেচারে কাজে যাবার সময় জীবনের তাপে পুড়ে উশিন ভাবে, আমার জন্য কি তাদের মন পোড়ে? আমার শূন্যতায় তাঁরা কি কাঁদে? বাবা-মায়ের মতামত উপেক্ষা করলে কি জীবনের পথ বন্ধুর হয়ে যায়?