শুধু খুঁজেই যাচ্ছি সমস্তক্ষণ অনিকেত এক পথের রেখা।
পথ নয় তো, যেন মরীচিকা— গভীর অন্তরে গোপন।
চারদিকে তার স্বর্ণলতার বেষ্টন, গোধুমের প্রান্তরেখা ছুঁয়ে
সে হারিয়ে যায়; যেখানে এলোচুল সুতনু রাত্রির রং আঁকা।
দুচোখ জুড়ে অবিরাম ঊর্ধ্বারোহী সিড়ি শূন্যআকাশ পানে।
তবু জীবনের শ্রাবণবেলা বহন করেই যাচ্ছে এ কবন্ধ-তনু।
এক মেঘডাকা দুপুরবেলায় যার স্বচ্ছ-অবলোকনে ভাসে
সত্তার গোপনপথ, শৈশবনীড়ের সৌরভ ছড়িয়ে কে জাগে!
এখন প্রতিদিন কখনও বিরল শূন্যতায় রিক্ত অবেলায়
কখনও হ্যাঁচকা টানে পৌঁছে দিচ্ছে সময়ের অয়নদীপ্ত রথে।
মর্মর মুহূর্তগুলো পথের ধুলোয় পড়ে থাকা শুকনো পাতা
মায়াবী অনুভবে আর্দ্র, ঝিলমিল অরুণাভ মন খুঁজে পায়।
আজন্ম খুঁজে-ফেরা সত্যিকার এক আনন্দধাম, স্বপ্নালোকে
জ্যোৎস্না আঁকে; কত রাত নির্ঘুম পথের টানে একলা জাগি
উত্তরে না দক্ষিণে, পূবে না পশ্চিমে যাই, দ্বিধায় মন উচাটন সকালে খুঁজে-ফেরা পথ সে কি অবশেষে সন্ধ্যারথেই ভাসে!