একটি নিরবিচ্ছিন্ন সকাল, শান্ত
শিশিরের স্বপ্ন ভাঙে বিমূঢ়তার প্রচ্ছদের নিচে
কলমকে বলি হাঁটো, যেদিকে মন চায় হাঁটো
সে থমকে দাঁড়ায়, অনুভবে সিক্ত হয়
স্থীর এক নিবিড় নীরবতায় সে থমকে থাকে!
এমন সব সকালেরা কেমন হারিয়ে যায় দুপুরের কোলে, দুপুরগুলো সন্ধ্যার কাছে
একটা গোটা দিন কী সুনসান ঘুমিয়ে পড়ে রাত্রির অন্ধকারে মাথা রেখে
তাতে তো কারোর কোনো আক্ষেপ থাকে না!
তাহলে!?—
কলম তবু তার পথ চলে না
ডুবে যেতে যেতে সে নতজানু হয় কোনো এক অনন্তের প্রজ্ঞার কাছে, তুলে আনে ব্যাথার সুপ্ত বীজ!
এক নিমেষের ও ভগ্নাংশে যে প্রলয় লিখে গেলো মহাকাল
ছায়াহীন এক আলোর ঘরে দিনমান কলম শুধু তারই শুশ্রূষায়!—
আমাদের বোধগুলো কি সব-ই আকাশ ছুঁতে ব্যাথার আভায় উদ্ভাসিত হয়?
একজীবনে কোনোকিছুরই তো কোনো মৃত্যু নেই, যদি তা জেগে থাকে ভালোবাসায়!
এতো গতি, এতো আয়োজন, এতোগুলো সকাল দুপুরে হারায়
কিন্তু কলম যে তার পথ চলে না
সে তাকিয়ে থাকে নির্নিমেষ
নিস্তব্ধতার নিগুঢ় এক পাতায় সে দেখে-
একটা জীবন্ত বর্তমান নীরব আর্তনাদে কেমন-
শুধুই অতীতে হারিয়ে যায়!
(‘নক্ষত্রহীন রাতের আকাশ’ এর একটি উপস্থাপন / A presentation from ‘Starless Night Sky’)
______ ফরিদ / আগস্ট ২৩, ২০২৩