ক্রান্ত আকাশে উড়ে বেড়ানো ইচ্ছে
আমার পূর্বসুরীদের!
আমিও ডানা মেলে উড়বো,
পাখিরা কোন কালাকানুন মানে না।
হ্যাংলো ছেলে মতোন কোন মেয়ের পিছনে ফেউ,
ঠিক মানিক ভাইয়ের সমান সমানে;
এ জন্যেই একটি এলবাট্রসের রূপ নেবো।
প্যাসিফিক সমুদ্রে ” Oasis of the Seas” এর নিতম্বে থেকে নাবিকের প্রিয়ার মন খারাপের ঢেউয়ে
টুপ করে, এক ডুবে স্রোত ভেঙ্গে ধরে আনবো
শাদা পেটির ব্লু সার্ক।
সে রকম প্রতিবাদে সিয়ার্স টাওয়ার থেকে
আমি লাফিয়ে পড়বো?
নাকি বুরর্জ খালীফা থেকেই দেবো একমাত্র ঝাঁপ!
দ্বিধা দ্বন্দ্বে ঠিক করেছি, আইফেল টাওয়ারে প্লেন থেকে সরাসরি নামবো!
নেতাজীর মতো আমারও আছে চশমা, ওর সাথে আমি দ্যাখা করেছিলাম ডেটনে আর সাথে রাইট ব্রাদার্স। দেখবো বার্লিন দেয়াল। আর ধংস্বস্তুপ থেকে বেঁচে যাওয়া,
আধ পোড়ানো গীর্জায় বাঁজিয়ে দেবো ঘন্টা!
এরপর ভবে দেখবো, ডিকবাজী দিয়ে ন্যাংটো কৈশোরে যেমন কাঠের পুলের উপর দিয়ে
যেরূপ দলবেঁধে করেছি মাতলামি,
ঠিক ও রকম একটা গ্যানজাম পাকিয়ে ফেলবো।
দ্বিধা দ্বন্দ্ব আমাকে দিখন্ডিত করে,
আমাকে প্রলুব্ধ করে নিস্ক্রিতায়।
স্বস্তি নাই এক মুহূর্ত। মাঝে মাঝে টার্মিনেটর শোয়াজনেগারের মতোই ভেঙ্গে ভেঙ্গে গুড়িয়ে যেতে না যেতেই শীরদাড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকি।
আমাকে আরও হাজারো মাইল দিতে হবে পারি।
ঢের ভালো হবে নিষিদ্ধ দ্রোনের পা ধরে জুরিখে নেমে পড়া। এরপর স্টারবাক্স কফি খেয়ে সুউচ্চ আল্পস পর্বত শৃঙ্গ “মন্টে বিয়াংকো” থেকেই স্কী খেলে নেমে যাবো রাজপথে।
তাকে আমি খুঁজছি, কে সে জন? প্রতিদিনই বিশাল অংকের ডলার পাবে? ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও সেটা চলবে!
আমাদের শাওয়ার দিয়ে জলের বদলে কি তরল সোনা ঝোরবে?
চিন্তা আর প্রসরিত হতে চায় না। তবুও থেমেই থেমেই
এগোতে হবে হাজার বছর ধরে।