বিশ্বাসের মাদুলি এখন ঘুণপোকার উৎসবের শহর—
বোধের উজ্জ্বল নামতায়!
অকালে বৃন্তচ্যুত রক্তজবার দহন পড়ি দেবতার পদমূলে
কাবেরীর সান্ধ্য জলে শোকের ছায়ার মতো ভাসে আহ্নিক স্তুতি
ভোর আসে, উল্টো শিথানে
মানুষ হতে পারিনি কোনদিন উদৃত সভ্যতার চারু খাতায়
দৃশ্যমান জীবনের খোলা পাতায় দেখি সত্যের স্বরবর্ণের সৎকার
উপেক্ষার এক সিন্ধু বিষ পান করে করে চিনে নেই পাথর সময়
অশ্বত্থের পালা বনে চাঁদের সিম্ফনি তবু—
বিবাগী করে তোলে প্রান্তিক এই হৃদয়!
আদমের গন্ধম যদি হয়, প্রণয়িনী হাওয়ার নিষিদ্ধ কুঞ্জের নিবাস
মাথাপেতে নেই তবে বিরাগভাজন ঈশ্বরের সবটা অভিশাপ
এই পৃথিবীই হোক সব ভালোবাসার একমাত্র কারাবাস!
কথিত পুরুষ জানুক, শুধু তো দেহের রঞ্জন নয়—
ক্ষরণের কতোটা পথ—
শোভিত শিল্পের কতোটা চাষ শেষে
দুয়ার খোলে এক রমণীয় নাভীর কস্তুরী সুবাস!
খসে পড়া নক্ষত্রের প্রহর হারিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাসের অন্তিম ভাঁজে
আত্মহননের সব আলামত নিয়ে সাথী হই ফেরারী বাতাসের
জন্মান্ধ নই—
অন্ধ তবুও হৃদয়ের ঘোরে—!
তমসের গাঁয়ে আজন্ম তাই পথ হাঁটি—
একবার শুধু ছুঁয়ে যেতে তোর অমরা হৃদয়!