মাস্ক ১০০% নিরাপদ না, এবং এই মাস্কের দ্বারাই একজন স্বাস্থকর্মী বা সাধারণ মানুষ অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে। কথাগুলি কেন বলেছি। তার ব্যাখ্যা শুনুন। আমরা যখন মাস্ক নিয়ে এতো মাতা মাতি করছি, তখন এই মাস্কের দ্বারাই একজন স্বাস্থকর্মী বা সাধারণ মানুষ অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে করেছে। মাস্ক লাগালেই সব ল্যাঠা চুকে গেলো তা ঠিক না। আমি জানি না কতজন এই সমন্ধে ভালো করে জানেন বা WHO এর এই বিষয়ের ছোট নির্দেশনাটি দেখেছেন। আমার মনে হয় অনেক স্বাস্থকর্মীই এটি ভালো করে জানেন না।


মাস্ক পরা, হ্যান্ড গ্লোবস পরা, ধুলাবালি আর ময়লা ঠেকানোর জন্য এক রকম, আবার এই ভাইরাস সংক্রামণ ঠেকানোর জন্য অন্য রকম। এই বিষয়ে শুধু WHO নয় আপনার স্থানীয় পাবলিক হেলথ ডিপার্মেন্টের নির্দেশনা থেকে সেটি জানতে পারেন, কিন্তু আমাদের অনেকেই কুঁড়েমি করে সে কাজটি করনে না। কেউ কেউ আবার মাস্ক কে ফ্যাশন হিসাবে নেন।

আমার কাজে, অর্থ্যাৎ আমাদের অফিসে অনেক সময়ই ক্লাইন্ট এর সাথে মিটিংয়ের সময় মাস্ক এবং গ্লোব ব্যবহার করতে হয়, সেটি কোরোনার সময় এবং অন্য সময়েও, তবে এখন বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে প্রতি বছরে ২/১ বার আমাদের ডাক্তার/নার্সরা আমাদেরকে একটি ছোট ট্রেনিং দেন। সম্প্রতি কোরোনার কারণে আমাদেরকে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হচ্ছে, কারণ আমাদের অনেক ক্লায়েন্ট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকতে পারে। সেই জন্য আমাদের অফিসের প্রত্যেককে একটি ছোট ট্রেনিং দিয়েছে।
এখন দেখা যাচ্ছে, যদি আপনি সঠিকভাবে মাস্ক বা গ্লাভস না পরেন বা না খোলেন তাহলে আপনি আপনার অজান্তেই আপনাকে বা অন্যকে বিপদে ফেলতে পারেন। তাহলে ব্যাপারটা হিতে বিপরীত হলো না !
আমি ইদানিং বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে দেখি যে মানুষ ভুলভাবে মাস্ক পড়ছেন বা ব্যবহার করছেন। এখানেও আছে কিছু কিছু। যেমন গতকালকেই আমি এক UPS ড্রাইভারকে আমাদের বিল্ডিংয়ের লবিতে দাঁড় করিয়ে তার ভুল মাস্ক ব্যবহারের ব্যাপারটি বললাম।
আমি সাথে আমাদের ট্রেনিং থেকে নেওয়া একটি ছবির মাধ্যমে শুধু একটি কমন ভুলের দৃশ্য দেখাচ্ছি। আমি দেশের TV তে অনেক স্বাস্থকর্মীকেই এই ভুল করতে দেখেছি।
সাথে বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট স্বাস্থ-বিশেষজ্ঞ এবং কিছু পুলিশের এই ভুলের ছবি দিচ্ছি যাতে ব্যাপারটি আপনাদের জন বুঝতে সুবিধা হয়। ভুল মাস্ক বা গ্লাভস ব্যবহারের থেকে কিছু না ব্যবহার করা কিছুটা বেশি নিরাপদ কারণ সেটি আপনাকে কোনো ফলস প্রটেকশন বা সিকিউরিটি দিবে না। আমাদেরকে বলা হয়েছে কখনই যেন মাস্কটি হ্যাঙ্গিং না হয়, অর্থ্যাৎ কথা বলার সময় বা পানি বিড়ি খাওয়ার সময় যেন মাস্কটিকে নিচে নামিয়ে না রাখি, এবং পরে আবার সেটিকে উপরে তুলে না দেই। এটা করা ঠিক না।
নিচের ছবিতে ডান পাশে দেখবেন বলা হয়েছে কখনই আপনি মাস্কটিকে হ্যাঙ্গিং করবেন না। আমি শুধু একটি বিষয় দেখলাম। এগুলির ব্যবহার ভালো করে জানতে হলে WHO গাইডেন্স বা আপনার স্থানীয় পাবলিক হেলথের নির্দেশনাবলী দেখুন।
আশা করি ব্যাপারটি সবাই খেয়াল করবেন এবং নিজে ও অন্যকে নিরাপদ রাখবেন।
ধন্যবাদ।
মুকুল,হেলথ কেয়ার প্রফেশনাল।
টরন্টো

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন