করোনার কারণে গত এক/দেড় বছরে অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে আমাদের দৈনিন্দিন জীবন যাত্রা থেকে। না ছিল বাঙালি পাড়ার উৎসব মুখর ছুটির দিনগুলো , না ছিল কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন,পিঠা উৎসব, পহেলা বৈশাখের মতো বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্যের সাথে জড়িত অনুষ্ঠানগুলি। ২জুন প্রায় ২ মাসের “স্টে হোম” আদেশ শেষ হলো। এ যেন একটা গৃহবন্দী জীবন। সেই বন্দি জীবন থেকে বারিয়ে আসতেই স্বাদ মিললো বাচনিকের “যুগলবন্দী” র। একটি ভালোলাগা আয়োজন।
গত ৫জুন ছিল বাচনিকের “যুগলবন্দী”র দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন । এটি ছিলো একটি অন্তর্জাল আয়োজন। টরন্টোর সংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকগুলো ভালোলাগা সংঘঠনের মধ্যে আমার পছন্দের একটি নাম-বাচনিক। মেরী রাশেদীনের চিরাচরিত প্রানবন্ত সঞ্চালনার ২ঘন্টা ব্যাপি এই অনুষ্ঠানটি সবাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছিলেন। আর সেই সাথে বাচনিকের ২ জন স্বনামধন্য আবৃত্তিকার ফারহানা আহমদ আর ফ্লোরা নাসরিন ইভার আবৃওি সবাইকে মুগ্ধ করেছে। অসাধারণ একটি আয়োজন। বিশেষ করে এই দুজন আবৃত্তিকার তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে কোনো কার্পণ্য করেননি। কবিতার সাথে নতুন সংযোজন ছিল ছড়া আর পুঁথি পাঠ যেন একটা নতুন মাত্রার যোগ। বাচনিকের জন্মলগ্ন থেকেই ফারহানা আহমদ আছেন সংগঠনটির সাথে আর ফ্লোরা নাসরিন ইভা আছেন গত ৩ বছর। এই দুজন গুণী আবৃত্তিকার দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ থেকেই আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে জড়িত। বাচনিক পরিবারের সাথে অল্প দিনের পথচলা হলেও ফ্লোরা নাসরিন ইভা সেদিন ফারহানা আহমদের সাথে মিলে দুজনে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন।
একটি সুন্দর আর পরিছন্ন আয়োজনের জন্য বাচনিকের সকল সদস্য আর কলা কুশলী বৃন্দকে জানাই অভিনন্দন।