জুম্মার নামাজে গেছেন? যেতেই হলো? ঠিক আছে। কোন সমস্যা নেই।
এখন এক মিনিট শুনুন,,
.. মসজিদ থেকে ফিরে আপনি সুস্থ আছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আপনি সুস্থ আছেন কারণ আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু আপনার পরিবারের বৃদ্ধ বৃদ্ধা পিতামাতা, নারী এবং শিশুদের কি আপনার সমপরিমাণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে? আপনি কি সে ব্যাপারে নিশ্চিত?
.. আপনি মসজিদে গেলেন, কাতারে পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করলেন। আপনি কিন্তু জানেন না, আপনার দুই পাশে সামনে পিছনে ছ’ফুটের মধ্যে যারা রয়েছে, তাঁরা ভাইরাস মুক্ত কি না? বা তাঁরা করোনা ভাইরাসের সুপ্ত রোগী কি না?
.. ইমাম সাহেব কিন্তু বিপদমুক্ত দুরত্বেই আছেন।
.. আপনি নিজের অজান্তেই ভাইরাসের বাহক হয়ে গেলেন। যেহেতু আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, তাই আপনার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভব কম, কিন্তু আপনার বহন করা ভাইরাস বিভিন্ন ভাবে আপনার পরিবারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা যে কোন সদস্যকে সহজেই সংক্রমিত করবে এটা নিশ্চিত।
মনে করুন, আগামীকাল আপনার পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলো। আপনি সন্তুষ্ট হবেন এই ভেবে যে, যেহেতু আপনি মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছেন, সেহেতু আপনি আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হয়েছেন। আপনার উক্ত রোগ হয় নাই।
..কিন্তু না। আপনি নিজেই ঐ ভাইরাস সঙ্গে করে এনেছেন এবং তার থেকে আপনার পরিবারের রোগপ্রতিরোধে অক্ষম সদস্যটি আক্রান্ত হয়েছে।
..ফলাফল হলো, আপনি নিজের অজান্তেই আপনার পরিবারকে মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন। আর এভাবেই যে কোন গণ জমায়েত, গণ পরিবহন, কাঁচা বাজার এবং অসাবধানতা থেকেই ভাইরাস জ্যামিতিক হারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
স্পেনে এখন করোনা আক্রান্ত আপনজনের মৃতদেহ ঘরে ফেলে বাকিরা পালিয়ে যাচ্ছে।
ভাবা যায় এ চিত্র??
.. আপনার হাতে ইন্টারনেট সহ সেলফোন, সামনে টিভি। বিশ্বের ভয়াবহ অবস্থার আপডেট দেখুন।
তারপর সিদ্ধান্ত নিন, আপনি আপনার পরিবারের মৃত্যুর কারণ হবেন কি না?
…
নিশ্চয় মহান আল্লাহ বলেন নাই, “তোমরা আমার নাম নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দাও আমি তোমাদের’কে বাঁচাবো”।