হত্যা বা খুন নিয়ে যে পর্বমূলক লিখছি আসলে আর বাড়াতে চাইছি না। কেন জানেন???
মনে হচ্ছে পাশচ্ত্য দেশের Star Plas অথবা Star jalsha tv এর নাটকগুলি যেমন রাবারের মত টানতেই থাকে কেন জানি আমার নিজেরও তাই মনে হচ্ছে সেই রকম টানাটানি competition এ আছি।
একটা মানুষ যখন আরেকজন মানুষকে হত্যা করে তখন সে আর মানুষ থাকে না। মানুষ রুপি জানোয়ার হয়। আমার আগের লেখাগুলায় আছে নারীর তুলনায় পুরুষরাই হত্যার কাজে নিয়োজিত। নারীরাও হত্যা করেছে বা হয়ত করছে কিন্তু তার পিছনে মারাত্মক কোন অকল্পনীয় কাহীনি আছে।
কিন্তু ঘরে,বাহিরে, রাস্তায়, শহরে, গ্রামে, দেশে, সারা বিশ্বে হত্যার ব্যাপারে পুরুষরাও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে আসছে।
মানসিক এবং শারীরিকভাবে।
আজকাল একটা মেয়ে চাকরি করে মনে করে আমি স্বাধীন। নিজেরটা নিজেই পারি। সত্যি কি তাই?
পিছনে কেউ না কেউ থাকে। হয় বাবা হয় ভাই না হলে স্বামী। প্রত্যেকেই বিশ্বাস করা হয়। কিন্তু এদের মধ্যে শেষ ব্যাক্তি অবিশ্বাস এর কাজ করলে পৃথিবী পাল্টে যায়।
তেমনি আবারও নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক, কারন খুলনার যারা আছেন তারা এক নামেই চিনবে।

একজন ডাক্তার। তার ব্যবহার দেখে কেউ ধরতেই পারবে না সে কখনও কোন খারাপ কিছু করতে পারে। অথচ ৫০ বছর বয়সে অল্প বয়সি এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে পুরা পরিবারটাকে হত্যা করে। সব থেকে আরও খারাপ এটা যে তার এই ভিন্ন রুপটি ধরতে পেরেছে তারই নিজের সন্তান।
পরিবারটির হত্যার মূল নাটের গুরু পুরুষ লোকটি।

৮/ ৯ বছর আগের আমাদের বাসায় ফরিদা নামে একটি মেয়ে কাজ করত। অনেক হাসি খুশি ছিল। স্বামী নামের শাসন কর্তাটি কিছুই করতেন না। মেয়েটি নিজের পরিশ্রম এর টাকায় একটি ছোট হোটেল ও দেয় আমাদের বাসার একটু দূরে। যা উপার্জন করতো দুই ছেলেকে পড়াত, সংসার চালাত আর ঐ মহারাজার হাত খরচ হিসাবে ব্যয় হত। এভাবেই চলছিল। আর তার একটু ব্যতিক্রম হলেই মারতে মারতে মাটির সাথে মিলিয়ে দিত। তারপরও ফরিদা তাকেই ভালোবাসত।
এক কোরবানির ঈদ। ঐ তার সাথে আমার শেষ দেখা। কোরবানির ঈদের মাংস নিয়ে ও ওর বরের সাথে দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়ী যায়। ওটাই ওর শেষ।
ঈদের তিন দিনের দিন জানতে পারি ফরিদা বু আর নেই। টাকা সব দেবার পরও ঐ শয়তানটা মনে করে যে তাকে সব দেওয়া হয়নি তাই ওকে ধরে মারতে মারতে একটা পর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে এক কোপে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফরিদা বুর মস্তক।
ওর ছোট ছেলে নামটা এখনও মনে আছে আমার আজাজুল, আমর পিছপিছ ঘুরত, খুব আদুরে ছিল। ও ওর মায়ের মৃত্যু নিজে চোখেই দেখেছে।
আজও আমার অজানা এমন মানুষকে কি করে ভালোবাসতো ফরিদা? আর যাকে ভালোবাসত সেই ওর মৃত্যুর যমদূত।
নারী পুরুষের মধ্যে পুরুষরাই সব দিক থেকে নারীদের হত্যা করে আসছে / আর হয়ত আজ কিছু নারীও ঔ সুপ্ত কোন লুকানো কষ্টের ফলে তারাও খুনি।


সারা বাংলাদেশে অনেক নেতা মারা গেছেন। তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের হত্যাকারী নারী নয় পুরুষ।
খুলনার:-
(১) আবুল কাশেম —-National communist party
(২)শাহেদ ইকবাল বিথার —- আওয়ামীলীগ।
(৩) এ্যাডভোকেট মন্জুরুল ইমাম —- আওয়ামীলীগ।।।।
এরা প্রত্যকেই ভালো মানুষ ছিলেন। অথচ এদেরকে political কারনবশত হত্যা করা হয়। এদের হত্যার বিচার আজও হয়নি। এদেরকে কোন নারী হত্যা করেনি, করেছে পেশাদারী পুরুষ খুনি।


আজও মেঘ হয়ত অপেক্ষা করছে তার মা-বাবার হত্যার বিচার হবে। হয়ত সে এখন অবুঝ থেকে অনেক কিছুই বোঝে। আজও সারা বাংলাদেশের মানুষ মনে মনে প্রশ্ন করে /
সব হত্যার কি সত্যিই বিচার হবে ???
আজও অপেক্ষমাণ সাংবাদিক দম্পতী সাগর ও রুনীর হত্যার বিচার।।।
তাদেরকে কোন নারী হত্যা করেনি \\\ তাদেরকে কোন পেশাদারি খুনিও হত্যা করেনি। তাদেরকে যে কেন এবং কারা অপেশাদারি খুনির মত হত্যা করেছে সেই প্রশ্নের আজও কোন উত্তর মিলেনি। আজও হত্যাকারীর হদীস পাওয়া যায়নি,,, বিচার হয়নি,,,, সেই ২৪ ঘন্টা আজও পার হচ্ছে।


খুন বা হত্যা আজও চলছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। সব ধরনের খুন। এর শেষ আজও হয়নি। এর সমাধানও কারো জানা নাই। ঘরে বাহিরে হত্যার বিচার কখনই হয় না। শুধু মৃত্যুর পর কিছুদিন তড়তাজা খবর এর কাগজের শিরোনাম হয় আর মনের মৃত্যুর কোন কিছুই হয় না।
বিচারতো দূরেই থাক।।।।
আজও নারীদের তুলনায় পুরুষ ছলে বলে কৌশলে হত্যা করে আসছে, পরিবার, প্রিয়জন, সমাজ, দেশ।।।।।
এর কি কোনই সমাধান নাই?
নরপিশাচদেরই জয়জয়োকার হবে সারাজীবন?
বাকি যেসব ভালো মানুষ তারা কি সারা জীবন শুধু দর্শক এর ভূমিকাই পালন করে যাবে ?
এই পৃথীবির বুকে কখনই কি কোন বিচার হবে না?
একজন পুরুষ ধষর্ক অন্যায় করে দিব্যু আনন্দে আরো খারাপ কিছু করার জন্য তৈরি হচ্ছে, একজন পুরুষ নেশা বা পেশার জন্য আবারও খুন করার জন্য তৈরি হচ্ছে ।

আমরা কতটা সভ্য দেশে বসবাস করি,,, কতটা স্বাধীন যে রাস্তায় বিশ্বজীৎ এর মত ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করছে আর আমরা দর্শক হয়ে দেখছি।।।।। বাংলাদেশে যখন খেলা হয় তখন সারা দেশের মানুষ এক হয়ে জাগো বাংলাদেশ জাগো এক কন্ঠে উচ্চারিত হয় অথচ এই সব হত্যার ব্যপারে আজও বাংলাদেশ জাগতে পারেনি।

এ হত্যা চলছে, চলবে হয়ত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। এর বিচার বা সমাধান অনিশ্চিত ****।।।

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন