DINSA-Development For International & National Students’ Association, কানাডাতে বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক ও দেশী ছাত্রদের একটি সংঘটন। এম ডি শাকিল ও ইফতেখার কামাল শাওনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সকলের একান্ত সহযোগিতায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে নিবন্ধনকৃত এই অলাভজনক সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয় । কানাডাতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী ছাত্র/ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতাই সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য।
বর্তমানে সংগঠনটি বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষাদান খরচ ও অন্যান্য খরচের জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন। তবে এই আর্থিক সহোযোগিতাটি বিনা সুদে ফেরত যোগ্য।
সংগঠনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জনাব এম ডি শাকিল জানালেন, অধিকাংশ ছাত্র/ছাত্রী তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারে আসে অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েন। এবং সময় মতো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে শিক্ষাদান খরচটি জমা করতে পারেন না। তবে এটি সকল ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ঘটে না। অবশ্য এই অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের পিছনে অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে। যেমন দেশে পরিবারের অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা বা দেশে রেখে আসা ঋণের বোঝা। এই কারণে অনেকেই মানসিক ভাবে বিষন্নতায় ভোগেন। এটি প্রত্যক্ষভাবে তার পড়াশুনা ও মানসিক অবস্থার ক্ষতি করে। সপ্তাহে ২০ কাজ করে যা উপার্জন হয় অনেক সময় তা থেকে দেশে ঋণের টাকা পরিশোধের পরে সময় মতো পরবর্তী সেমিস্টারের শিক্ষাদান খরচ জমা দেয়া যাই না। এই সময় এই সকল ছাত্র/ছাত্রীদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য অর্থ যোগান দিচ্ছেন DINSA .
কথা প্রসঙ্গে জনাব শাকিলকে প্রশ্ন করলাম,তারা যে এই অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেন সেই অর্থের উৎস কোথায় ?
উনি জানালেন শুরুতে ২০-৩০ জনের একটা টীম প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থ DINSA তহবিলে জমা করেন , তবে এটা দান নয়। চাইলে এই সদস্য তার প্রদত্ত অর্থ যেকোনো সময় তুলে নিতে পারেন। বর্তমানে নিয়মিত ভাবে এই অর্থ জমাদানকারী সদস্য সংখ্যা ৪০জন। এ ছাড়াও টরোন্টোর বাংলাদেশী কমুনিটির বিভিন্ন পেশার অনেকেই এই সংঘটনটিকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করছেন।
জনাব শাকিল জানালেন এটি কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য দানকারী সংঘটন নয় , এটি একটি কমিউনিটি সার্ভিস। আগামী বছর জানুয়ারী সেমিস্টারের জন্য DINSA ২৫ জন ছাত্র/ছাত্রীকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করছেন।
জানতে চাইলাম অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে ওনারা এই সকল ছাত্র/ছাত্রীদের সহযোগিতা করেন কি না ?
জনাব শাকিল জানালেন অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও, মানসিক স্বাস্থ বিষয়ক দিকগুলি বা কাজ পাবার বিষয়েও DINSA সহযোগিতা করে আসছে। আরো জানালেন ভবিষ্যতে মানসিক স্বাস্থ বিষয়ক একটি বিশেষ শাখা খোলার আশা রাখেন।
DINSA -র পথ চলার আগামী ৫ বছরের ভবিষ্যতবিনী করতে গিয়ে জানালেন, ২/৩ বছরের মধ্যে কানাডার সকল বিশ্ববিদলয়/কলেজগুলিতে DINSA-র প্রতিনিধি ও সাংগাঠনিক কার্যক্রম থাকবে।
বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক ছাত্র/ছাত্রীরা DINSA সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগ করতে পারেনঃ-
এম ডি শাকিল / ফোনঃ-৬৪৭ ৮২৩ ৩১৪০