ফাঁকিবাজী করার মাঝে আলাদা একটা মজার অনুভুতি হয়। এ রসালো অনুভূতি তারাই বুঝবে যে একবার হলেও পড়তে বসে ফাঁকিবাজী করেছে।
পড়ার বই উপরে রেখে নিচে সমরেশ মজুমদার বা শীষেন্দু মূখোপাধ্যায় বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বই পড়ার এক অসাধারন অনুভূতি।
আমার মত ফাঁকিবাজ আর একটাও আছে কি না সন্দেহ আছে।
পড়তে বসে না পড়ে টিকটিকির সাথে গল্প। পড়া আর পরীক্ষা মানে জ্বর। বাকি সময়টা আনন্দের.।।।
ইংরাজি পড়তে গেলে মাথা ঘোড়ে। পেটের মধ্যে ইংরাজি ঘোরে মুখে বের হয় না। অংক করতে গেলে মাথা ব্যাথা করে। বাংলা সাহিত্য পড়তে গেলে নিজেই সাহিত্য রচনা করে ফেলি।
তাও রচনা এক গরু ছাড়া মাথায় কিছু আসে না। ইতিহাস মাথায় ঢোকে না। সাল মনে থাকে না। অর্থনীতি নিয়ে অর্থ নিয়োগ এবং বিনিয়োগ অনেক ঝামেলা মনে হয়। সমাজে ভালো কিছু করলেই সমাজের কল্যাণ হয়ে গেল আলাদা করে সমাজ কল্যাণ পড়ার কি দরকার…
পড়ার কোন শেষ নেই —–
পড়তে পড়তেই জীবন শেষ। Grammar দেখলেই ঘুম আসে। Translation করতে গেলে কান্না পায়।
সব থেকে ভালো হল রচনা।।।। সেটা গরু বা cow যাই বলি না কেন****** আপনারা মনে করেন না যে রচনা ব্যানাজীকে স্মরন করছি। ।।।
এমন কেউ বলতে পারবে না যে সে একবারের জন্যও গরুকে পরীক্ষার হলে স্মরণ করে নাই।
আমরা একদল মানুষ আছি। যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি না কিন্তু বিপদে পড়লে ঠিক সুর সুর করে নামাজের পাটি নিয়ে বসি।
ঠিক সারা বছর ভালো ভালো রচনা পড়ে পরীক্ষার হলে common রচনা না পড়লে গরু ছাড়া আর উপায় নাই। তখন গরু নিয়ে বসতে হয়।
আসলে গরু ই ভালো। পড়তে পড়তে একটা সময় মনে হয় নিজেরাই গরু হয়ে যাচ্ছি।
এত পড়ার কি দরকার ???
যতটুকু প্রয়োজন তার অতি মাত্রার কি দরকার?
পড়ার কি শেষ আছে??? রাস্তায় বের হলেও পড়তে হয়। সাইনবোর্ড, ডান পাশে বা পাশে,,, সোজা কিভাবে কোন দিকে হাঁটতে হবে। দোকানদারী করতে গেলেও পড়তে হবে? গাড়ী চালাতে গেলেও পড়তে হবে?
পড়ার রঙ্গমঞ্চে আমরা প্রতেকেই এক এক সময় এক এক অভিনেতা – অভিনেত্রী।
পড়ায় এতই চাপ দেয়া হয় যে পড়তে পড়তে গরুই মনে হয়। মনে হয় মাথায় কিছুই নাই সব গোবর হয়ে গেল।
স্যার বা আপারা এক সময় পড়াতে পড়াতে এত পরিমান পড়ায় যে অনেকেই আছেন একটা সময় গরুর অনুভূতিই আসে। মনে হয় কিছুই মনে নাই।
জীবন চালানোর জন্য কাজের প্রয়োজন। আর কাজ করলেই অর্থের হিসেব করতে হবে। বাবা তাহলে ঐ হিসেবটা করলেই তো হয়। পিতা আর পুত্রের বয়স নিয়ে পাটীগনিত করার দরকার কি? এখনও মনে হয় ৪/৫/৬ ক্লাস এ এই একই অত্যাচার ছেলেমেয়েদের উপর হয়।
ভাবখানা এমন যে সবাই গনিত এ পন্ডিত অলিম্পিক এ যোগদান করবে।
যুক্তিবিদ্যা বিষয়টা একটা বিরক্তিকর মনে হয়।
এই বিষয়টি মেয়েদেরকে না পড়লেও হয়। কারন মেয়েরা এমনিতেই কোন একটা বিষয়ে যুক্তি দাড় করায় দেয়।।।
অযুহাত করতে ছেলেদের থেকে মেয়েরা পারদর্শী।।। তবে আজকাল ছেলেরাও মেয়েদেরকে হারিয়ে জিতবার চেষ্টায় আছে।
সত্যি বলতে পড়ায় প্রচুর চাপ সৃষ্টি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি। স্যার বা আাপারা এক একজন এক একটা বিষয় নিয়ে পড়ে বা পড়ায় কিন্তু আমরা সব বিষয় নিয়ে পড়তে যেয়ে গরু হয়ে যাই।
মানে একটা সময় হয়ত একটু হলেও মনে হয় আমরা প্রত্যেকেই গরুকে অনুভব করি। তখন ঐ মূহুর্তে মনে হবে যে আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না।
তারপরও চেষ্টা,,,,,,,,,, কারন তুমি একা এ শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারবে না / পড়ার লড়াই করতেই হবে *
সূদুর চীনে গেলেও।।।। 🙁 ******** 🙂