সবাই যখন নিজের সন্তানদের জিপিএ ৫ নিয়ে খুব আনন্দিত। আমিও আমার মেয়ের রেজাল্টে আনন্দে আত্মহারা।
গত জানুয়ারীতে আমার স্কুল কমলাপুর হাইস্কুল ফরিদপুর, যেখানে আমার প্রাথমিক ও হাইস্কুলের সোনালী দিন গুলো কেটেছে, আমার বন্ধু নাসিমা আহমেদ সে এই স্কুলের হেড মিস্ট্রেস, তার রুমে বসা। একটা মেয়ে তার মায়ের সাথে স্কুলে এসেছে, আর পড়তে পারবে না, চায়ের দোকান করা বাবার পক্ষে সম্ভব না তার স্কুলের বেতন চালানো। ওর চোখের উজ্জ্বল আশ্রুসিক্ত চাহনী দেখে বুঝতে পারলাম। আহারে এই সোনার মতো মেয়েটি পড়তে চায়। আমি ওর মাথায় হাত রেখে বললাম মা তুমি কোন চিন্তা করো না। আমি তোমার সব খরচ চালাব। ওর চোখে যে আনন্দ দেখেছি লক্ষ টাকা দিয়ে ও সেটা কেনা যাবে না। আমার সেই কন্যা মিমি নবম শ্রেনীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আমি বলেছি খুব এক্সিলেন্ট হতে হবে না। মানুষ হও।
আমরা যদি সবাই এভাবে একটু দায়িত্ব নেই দেখবেন হাজারো স্বপ্ন পুরন হবে। ওরাও মানুষ। আর ওদের সারা বছরের পড়ার খরচ আপনার সন্তানের এক মাসের ফুচকা খাওয়ার টাকা। আপনার এলাকার স্কুলটিতে খোজ নিন। দেখবেন এর চেয়ে ভালো লাগার আর কিছু নেই।
আর অন্য সোনা মনিদের আব্দার ছিল কেডস পরে স্কুলে আসবে। আমি ৭০ জোড়া জুতা কিনে দিয়ে যে আনন্দ পেয়েছি সেটা বলে বোঝাতে পারব না। এসব আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে করা।
এবার আশা করছি আমরা কমপক্ষে আমাদের এলাকার ২৫ জন দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীর দায়িত্ব নিতে পারব। আর সেটা হবে আমার “মা আর বাবার নামে” ” বেগম হাজেরা শফিউদ্দিন ” কল্যান ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে। এজন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।