বিরাট কলহ !!
রিতিমত কঠিন দাম্পত্য কলহ !! কারণ অজ্ঞাত। সন্ধ্যা থেকেই চলছে তু তু মে মে ।
একসময় থেমে গেল , যেমনটা সবারই থামে ।
স্ত্রী খাবার টেবিলে ডাকলো,
স্বামীর ঝাড়া জবাব,” না খাবো না, পানিও না” ।
স্ত্রীর চোখে কৌতুক, মনে মনে বললো,
খিদে লাগলে বাঘেও ধান খায়,
তুমিও খাবে নিত্যানন্দ । ???? ????????
তিনি খেয়ে উঠে শেষ কথাটা বললেন, ” কেউ যেন খেয়ে নেয়, আর বাকিটা ফ্রিজে তুলে রাখে ।
গভীর রাত । স্বামী ড্রইংরুমে বসে টিভি দেখছে । গরম মাথা আস্তে আস্তে ঠান্ডা হয়ে আসছে, সেই সাথে খিদাও বাড়ছে । বার বার সে বেডরুমের দিকে তাকাচ্ছে । ভাবখানা এমন যে, “আর একবার সাধিলেই খাইবো” ???? কিন্তু সে রকম সম্ভাবনা আছে বলে মনে হচ্ছে না ।
ইতিমধ্যে পোষা বিড়ালটা তার পা ঘেষে বসলো ।….তুই কি চাস্ ? ভাগ এখান থেকে । বিড়ালটা ক্ষণকাল ভদ্রলোকের চোখে চোখ রেখে বললো….. ম্যাঁও । প্রচন্ড ক্ষুধপিপাসায় আক্রান্ত নিত্যানন্দের কানে এলো….. খাঁও ????
ব্যাস আর যায় কোথায় !! বিড়ালটা কোলে নিয়ে চিৎকার !! কেউ কি শুনছে ? এই যে অবলা বিড়াল, সেও আমাকে বুঝে???? খাওয়ার জন্যে সাধে , অথচ….,????????????
স্ত্রী বালিশে মুখ লুকিয়ে হাসি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে, আর নিত্যানন্দ খাবার টেবিলের দিকে এগুচ্ছে ????????????????????????????
এই তো কিছুদিন আগে, দিল্লি গিয়েছিলাম ট্রেড ফেয়ারে । হোটেল রুমের সোফায় বসে একটা ইকুইবমেন্ট ক্যাটলগ এর পাতা উল্টাচ্ছি । দরজাটা আধখোলা, হঠাৎ চোখে পড়লো নাদুসনুদুস খুব সুন্দর একটা বিড়াল । গলায় বাহারী বেল্ট।
দরজায় দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমিও প্রশ্রয় চোখে ভ্রু নাচালাম ।
সে বললো…….. ম্যাঁও ।
যেহেতু এটা দিল্লি, সেহেতু আমার মনে হলো,
সে হিন্দিতে আমাকে বলছে, ” মে আঁও ? ( আমি কি আসবো ? )
ইয়েস, বলতেই লাফ দিয়ে সোফায় উঠে আমার পাশ ঘেষে বসলো । আমি তার মখমল শরীরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আর ভাবছি ….
পৃথিবী এখনও সুন্দর,
সংসার এখনও সুন্দর ।