নরওয়ে থেকে:-
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে গেলে অবশ্যই সুইডিশ রাজার প্রাসাদ দেখে আসবেন ,, তবে গ্রীষ্মকালে গেলে আপনার বেশি ভালো লাগবে। প্রাসাদের সামনে দিকে আছে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর বাগান, আর পেছন দিকে আছে অসম্ভব সুন্দর একটা লেক।
গ্রীষ্মে বাগানে অনেক ফুলফুটে, আর পেছনের দিকের লেকে অনেক পাক-পাকালির সমাগম হয়। গ্রীষ্মের ছুটিতে পৃথিবির ভিবিন্ন প্রান্ত থেকে যারাই সুইডেনের স্টকহোমে বেড়াতে আসেন তাদের বেশিরভাগই রাজার বাড়ি দেখতে আসেন। গ্রীষ্মে ( জুলাই-আগস্ট ) যেহেতু আবহাওয়া ভাল থাকে তাই গ্রীষ্মের সময়ই বেশিরভাগ ট্যুরিস্টরা স্টকহোমে বেড়াতে আসেন।
ষ্টকহোম শহরটা অসম্ভব সুন্দর একটা শহর যা অনেকগুলো দ্বীপের সমন্বয়ে স্থাপিত, শহরের যে প্রান্তেই তাকাবেন ব্যস্ততা দেখতে পাবেন,, দেখতে পাবেন মনোরম সুন্দর্য। নরওয়ে থেকে সুইডেন যেতে হাইওয়ের দুপাশে যে অপূর্ব সুন্দর্য অবলোকন করা যায় তা বর্ণনাতীত। তবে নরওয়ে থেকে সুইডেনে ঢুকলে চুখে হটাৎ করে কেমন খটকা লাগে,, নরওয়েতে সব কিছু লাল কিংবা সাদা রঙের আর সারা সুইডেন হলদে রঙের। যেদিকেই তাকান কেমন জানি হলুদের আলিঙ্গন।
স্টকহোমে বাংলাদেশ হাই কমিশন আছে,, বাংলাদেশ হাই কমিশন সম্পর্কে নানা খারাপ গুঞ্জন শুনলেও নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, সুইডেনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের লোকজনের আচার ব্যবহার তুলনামূলক অনেক ভালো, সেবাদান অনেক গতি সম্পন্ন। সবচে বড়ো কথা সুইডেনে বাংলাদেশ এম্বাসির এম্বেসেডর জনাব নজমুল ইসলাম ভাই অত্যন্ত সজ্জন এবং সদালাপী একজন মানুষ। আর যে অফিসের বস ই সজ্জন মানুষ সেখান থেকে ভালো কিছু অবশ্যই আশা করতে পারেন।