উপরোক্ত ভিডিও ক্লিপটি আমাদের ২০১০ সালের নেপালের পোখারা ভ্রমন কালিন সময়ের কিছু স্থিরচিত্র এবং ভিডিওর সমন্বয় করা। অবশ্যই ক্লিপটি একটি সাধারন এবং আনপ্রফেশনাল হাতে করা তাই ত্রুটি মার্জনীয়। Window Movie Maker -এর বদৌলতে করা হয়েছে।
পোখারা কাঠমুন্ডু থেকে প্লেনে প্রায় ঘন্টা খানেকের পথ। আর বাসে ৮ ঘন্টা যদি আবহাওয়া ভাল থাকে। তবে বাসে গেলে শুধু One Way তে বাস ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি কারণ ২ বার ঐ রুট ব্যাবহার করলে শুধু বোরই হবেন না, আপনার মাজার খিল ২/১ টা খুলে যেতে পারে। তাই বাসে গিয়ে প্লেনে ফেরা ভাল। ভাড়া খুব বেশি নয়।
পোখারাতে অনেক কোম্পানি আছে তারা এই প্যারাগ্লাইডিং সার্ভিস পরিচালনা করে। খরচ খুবই বহনযোগ্য বা আওতার মধ্যে। আপনি পোখারা শহরে যে কোন হোটেলে থেকে ঐ প্যারগ্লাইডিং-এ যেতে পারেন। পোখারা শহর থেকে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার দুরে সম্ভবত ২০০০ মিটার উপরে সারাংগোট পর্বত। এই পর্বতের উপর থেকেই আপনি উড়বেন প্যারগ্লাইডিং-এ এবং ওড়া শেষে ওরা আপনাকে নামিয়ে দিবে পোখারার ফিড লেকের কাছে একটি উপত্যাকায়। তার নিকটেই ওদের অফিস, সেখানে আপনাকে নামিয়ে দিবে।
দেখে যতটা কঠিন বা একটু স্ক্যারি মনে হয় আসলে তা নয়। তাছাড়া আপনার সাথে থাকছেন একজন অভিজ্ঞ পাইলট। আপনি যে কোন একটি কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে তাদের অফিসে যাবেন, তারপর তারা আপনাকে উড়াবে। আপনি এক ঘন্টার জন্য ও উড়তে পারেন অথবা আধ ঘন্টার জন্যও উড়তে পারেন।
আপনি হিমালয়ের পোখারা অংশের উপর দিয়ে, পোখারা শহর, ফিট লেক এবং নদীর উপর দিয়ে উড়বেন। পাখির মত ডানা না থাকায় উড়ার ক্ষমতা না থাকলেও আমি অন্তত পাখির মত উড়তে পারলে কেমন লাগতো সে অভিজ্ঞতা আপনি এই প্যারগ্লাইডিং-এর মাধ্যমে পেতে পারেন।
তাই কখনো নেপালে গেলে এই অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না। এসব দেশে বা অন্য পশ্চিমা দেশেও এ ব্যবস্থা আছে, তবে তা অত্যন্ত খরচ স্বাপেক্ষে। আপনি উপরে যখন উড়বেন তখন এক অদ্ভুত অনুভুতি। চারিদিকে খোলা আকাশ, খোলা বাতাস, নিচে পর্বত মালা, লেক, নদী এবং সবচেয়ে ভাল লাগবে অনেক পাখি আপনার পাশ দিয়ে অথবা সংগে সংগে উড়ে যাবে। অনেকে খাবার নিয়ে যায়, সে খাবার হাতে ধরলে পাখি আপনার হাতে বসে বা হাত থেকে নিয়ে খাবে। বাংলাদেশের অতি কাছের দেশ নেপাল যান। তাই ওখানে গেলে আপনি অতি সহজেই ক্ষনিকের জন্য পাখি হয়ে যেতে পারেন। এ বিষয়ে আপনার যদি আরো কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে এই ব্লগের মাধ্যমে লিখতে পারেন অথবা নিচের ইমেল-এ যোগাযোগ করতে পারেন।
মুকুল বি. জামান