কিছু এলোমেলো এলোথেলো শব্দের ভীড়…
________কিছু স্মৃতি থাকে যতই বর্তমানের আর ভবিষ্যতের তাড়নায় দৌড়ে বেড়াই এদেরকে পিছে ফেলতে পারি না। চেষ্টা করি কিন্তু একটা নিকষ কালো জমাটের অন্ধকারে এসে ঘুরে ফিরে খুঁজে। সেই খুঁজে ফেরাটা অন্যায় নয়, কারন সেখানেই যে আমার প্রিয় প্রিয় এক একটা প্রিয়রা ঘুরে। আর আমি খোলা আকাশের উজ্জ্বল তারা গুনি আর ভাবি হয়ত তুমিও আছো কোন একটাতে। হয়ত তুমিও দেখছো আমাকে। দেখছ না ? কতটা দিন যাচ্ছে, কত রাত পাড় হচ্ছে, বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে আমি একলা তোমায় ছাড়া আছি বেঁচে। ভয় ছিলো, ভীষণ ভয় একা থাকার ভয়। এখনও ঐ ভয়টা কে জয় করতে পারিনি আমি। এখনও ভয় আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে নিঃশেষ করে। প্রিয় মানুষ হারানো যে কি যন্ত্রণা — এক একটা রাত কি অসহনীয় একমাত্র যে হারায় সেই হয়ত কিছুটা বুঝে। হয়ত বুঝে না, হয়ত না বুঝেই বোঝার ভান করে নয়ত আবার বুঝেও না বোঝার ভান করে… মানুষের কত নানান রুপ তাই না। এই রঙ্গমঞ্চে আমরা প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। চেষ্টা তাই না …
বৃথাই করছি দিন শেষ কিন্তু একবার হলেও মন ডুঁকরে কেঁদে উঠছে সেই পিছে পড়া নীলচে ভালোবাসার চাদরে। আবার ধাক্কা মেরে নিজেকে সতেজ করে নিজের সাথে নিজের সংগ্রামে বিজয়গাঁথার নেশায় নিজেকে নিজেই এরেস্ট করছি।
– আমি কি ভালো আছি ?
– তুমি কি ভালো আছো?
প্রতিউত্তরে তুমি বললে হ্যা আমি তো ভালো আছি। কিন্তু আর কত এই মিথ্যে মায়ার মিথ্যে যুদ্ধ। এই যুদ্ধে রাতের অন্ধকারে তুমি আমি পরাজিত সৈনিক। দিনের আলোয় মিথ্যে অভিনয়ে বাহবা কুড়ানো আর গভীর আধাঁরে নির্ঘুম বিষন্ন চিত্তে একমনে একলা ভেজা চোখের সাথে নিজেকে আড়াল করে।
ফ্যাকাশে মন, ধোঁয়াসা বিকেল , রূক্ষ ন্যেড়া বাদাম গাছ, বেড়ার উপর আছে বসে এক ক্ষুধার্ত বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া ডানাঝাপটা পাখি ।
-আমি যে নিজেই মত্ত, জানিনা তোমার শর্ত
যদি বা ঘটে অনর্থ, তবুও তোমায় চাই।।।
– ফিরে আসো, ফিরে আসো একবার আমি তো দেখতে চাই। যদী নাই ফিরো তবে আমায় নিয়ে যাও… কতটা বছর আর কত.. আব্বা বলে ডাকটা দেবার সাধ তো হয় বলো… কতদিন দেখি না, কতটা দিন একবার মন খুলে ডাকি না, কত দিন হলো কাছে বসে আদর করে বলো না, তোর কি মনটা খারাপ, কষ্ট হচ্ছে ভীষণ কষ্ট। আর আমি সুযোগে কাচুমাচু হয়ে বুকের ভিতর যেয়ে চোখ বন্ধ করে আদর নিতাম। সেদিন যখন তোমার কাছে গেলাম, মোনাজাত শেষ চুপ করে দাড়িয়ে ছিলাম তুমি আমায় দেখছিলে… আব্বা তুমি তো জানো সব, বুঝো সব… তোমার মত করে কেউ আমায় বুঝে না। একা লাগে যখন, তখন আমি তোমায় খুঁজি। তুমি যখন নিথর দেহে হাসপাতালের ঐ ২০ তলায় একটা রুমে একা থাকতে তখনও আমি তোমার সাথের সাথী ছিলাম। কথা না বললেও আমি জানতাম তুমি আছো।
সারাদিন একা সময় কাটলেও মন কে শান্ত রাখতাম এই মনে করে তুমি তো আছো। আজও সেই ভেবেই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। তুমি তো আছো… তোমার মত করে কেউ বুঝে না একটুও না, আগলে রাখতে পারবে না। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আর কতটা সময়, দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর গুনতে হবে আমার…
ভালো থেকো বোন, [ তৃষা, আজ ও ভুলিনি একসাথে খেলার দিনগুলো]
ভালো থাকিস বন্ধু, ভালো আছি তো… [ তোকে ভুলে যাওয়া কি সম্ভব… আবদার, বিরক্ত, খুনসুটি, বদমায়েশি, ভালো লাগার সব দিনরাত্রি ]
||| ভালো থেকো আব্বা |||
ভালোবাসা কি মরে যায় বলো তো ? ভালোবাসা তো বেঁচে থাকে গভীরে। তুমি আছো তেমনই আমার গভীরে। আমি তোমায় সকল জায়গায় খুঁজি, তোমার স্পর্শ, তোমার গায়ের গন্ধ হাতড়ে বেড়াই। আমার একলা কথার সঙ্গী। আমার প্রথম ভালোবাসা। আমার নীল চাদরে মোড়া এক টুকরো বেঁচে থাকার অবলম্বন। আমি তোমায় ভীষণ ভালোবাসি, ভীষণ ভালোবাসি আব্বা। বেঁচে থাকাকালীন যখন ছোট্ট শিশুর মত আবদার করতে আমার কতযে ভালো লাগতো। তুমি তো আমার ছেলে ছিলে, তোমার জ্বালাতন, আবদার সবটা জুড়ে ই ছিলো আমার ভালোবাসা।
বড্ড জ্বালাতে যখন বকতাম পরেই আবার গলাটা জড়িয়ে তোমায় বলতাম রাগ করোনা আব্বা, আমি তো ভালোবাসি। তুমি তোমার রুগ্ন কাঁপা হাতে আমায় জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করতে কিন্তু যখন পারতে না তখন
তারপরও তোমার চোখ দিয়ে আমায় বলতে
মারে আমিও তো ভালোবাসি।
কেনো চলে গেলে তুমি? আমায় জড়িয়ে ধরবে না বলো … আমার যে বড্ড একা লাগে আব্বা..
আব্বা আমি তোমার জিনিস গুলো নাড়াচাড়া করি, তোমায় খুঁজি… আমি যে তোমায় বড্ড বেশি ভালোবাসি।
মায়াবন বিহারিনী হরিণী,
গহনস্বপনসঞ্চারিণী,কেন তারে ধরিবারে করি পণ
অকারণ। থাক্ থাক্ নিজ-মনে দূরেতে,
আমি শুধু বাঁশরির সুরে তে
পরশ করিব ওর প্রাণমন অকারণ।
মায়াবন বিহারীনি ….. ( শুনতে কি পাও ! শুনতে
পাচ্ছো কি !
সময় :- বিকাল :- ৭:২৫
আছি খোলা আকাশের নীচে হিম হিম বাতাশে …
বার বার মাথা উঁচু করে খুঁজে মরি কিছু একটা আশাতে… ®
নীলিকা নীলাচল***