আচ্ছা… সৌন্দর্য ব্যাপারটি কী ? আমি আসলে বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা বলছি… মনোবিজ্ঞানীরা বলছে কোন মানুষ যদি নিজেকে সুন্দর ভাবে তাহলে সে সুন্দর।
একটু ব্যাখ্যা করি…
কোন মেয়ে যখন বড় হওয়া মাত্র চারপাশ থেকে শুনতে পায় যে সে সুন্দর তখন তার ইস্ট্রোজেনের নিঃসরণ বেড়ে যায়…এই হরমোনটি নিঃসরণ হবার সাথে সাথে সে আরো বেশি সুন্দর হতে শুরু করে…
যারা অনেক বেশি সুন্দর ; তারা এই সব কথা অনেক বেশি শোনে তাই তাদের এই হরমোনের নিঃসরণ মাত্রা প্রায় চার থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। যা তাদেরকে আরো বেশি সুন্দর করে তোলে…
আপনি যদি কোন সুন্দর মানুষকে প্রতিদিন দশবার ‘অসুন্দর’ বলেন তাহলে কিছুদিনের ভেতর তার চেহারা খারাপ হতে শুরু করবে ! কাজেই আশে পাশের কোন সুন্দর মানুষকে ‘ সুন্দর’ বলার পাশাপাশি অসুন্দর ( বাহ্যিক ভাবে) মানুষদেরও সুন্দর বলতে শুরু করুন।
প্রতিদিন সবার কাছ থেকে এই কথা শুনতে শুনতে তার ইস্ট্রোজেনের নিঃসরণ বেড়ে যাবে…
চেহারায় লাবণ্য ফিরে আসবে…
ব্যাপারটি আপেক্ষিক না ; ব্যাপারটি সাইন্টেফিক…
ঠিক একি ভাবে কাউকে যদি তার আশে পাশের মানুষ দেখা মাত্রই বলা শুরু করে ‘তোমাকে দিয়ে হবে না’
সবার কাছ থেকে এই কথা শুনতে শুনতে এক সময় সে ব্যাপারটি বিশ্বাস করতে শুরু করবে… মানুষ কখনো তার বিশ্বাসের বাইরে যেতে পারে না…
অনেক বছর আগে পড়েছি; লেখকের নাম মনে করতে পারছি না… তিনি গবেষণা করে প্রমাণ করেছেন মানুষ যা চায় মানুষ আসলে তাই পায়…
এখানে একটা শর্ত আছে… ! শর্ত হল তুমি যা চাইছো… তুমি সেটা পাবা…সেটা হবেই… এই ব্যাপারটা আগে তোমাকে বিশ্বাস করতে হবে !
মনে করুন আপনার ইচ্ছা হল ; আপনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন…!
এখন নিজেকে নিজে প্রশ্ন করেন… ‘ আপনি একদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন !’ এই ব্যাপারটা কী আসলেই আপনি বিশ্বাস করেন ?
মানুষ তার বিশ্বাসের বাইরে যেতে পারে না…
পূর্বপরিকল্পিত ভাবে স্বাস্থ্যবান এক মানুষকে তার আশে পাশের সব লোক দেখা মাত্রই বলা শুরু করল – ভাই আপনি এত রোগাটে হয়ে যাচ্ছেন কেন ?’
লোকটি হেসে বলল , আমি তো ঠিক আছি… আপনি ভুল করছেন…
এরপর লোকটি যেখানেই গেল আশে পাশের সবাই একি কথা বলা শুরু করল…
‘ আপনাকে এত রোগাটে দেখাচ্ছে কেন’
লোকটি ভাবল প্রত্যেকের নিশ্চয়ই ভুল হবে না… নিশ্চয়ই তিনি রোগাটে হয়ে গেছেন… নিশ্চয়ই তার অসুখ করেছে…
এর পরদিন থেকে সত্যি সত্যি তার শরীর খারাপ হতে শুরু করল…
মানুষ আসলেই তার বিশ্বাসের বাইরে যেতে পারে না…
আপনার চারপাশে কাউকে যদি দেখেন দিন রাত লিখা লিখি করছে… ছবি আঁকছে… গানের দল করছে… নাটক বানানোর স্বপ্ন দেখছে… সবার জন্য কিছু একটা করার কথা ভাবছে…
আপনি তাদের প্রশংসা করুন… বার বার করুন… একবার বিশ্বাস দাড় করিয়ে দিতে পারলেই দেশটা দাড় করিয়ে দেয়া যাবে…
ব্যাপারটি আবেগের না… মনোবিজ্ঞানের… !
খুব ভালো লেগেছে। আরো এ ধরনের লেখা পাব কি ?
সৌন্দর্য শব্দটাই আপেক্ষিক. সৌন্দর্যের প্রত্যখ্য বা পরোক্ষ রূপ নির্ভর করে কোন লেন্সে আমরা সৌন্দর্য দেখার চেষ্টা করি. অনেকটা সেই গানের মতই ” বন্ধ চোখে রূপ দেখি যার, দু চোখ মেলে পাইনা খুঁজে তারে”. অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য.