নিজেকে নিয়ে লিখলে মনে হয় আমার বলে আমার কিছুই আর রইল না।  নিজেকে আড়াল করতে এক ধরনের সুখ অনুভুতি হয়।যা সেই সুখের ভাগিদার আর কেউ না।আমরা কেন জানি নিজেকে আড়াল করেই ছোট বড় সম্পর্কে জড়িত হয়। এই সম্পর্কগুলি খুবই সূক্ষ্ম অথচ সীমাহীনপ্রায়। আমরা কেন এমন সম্পর্কে জড়িত হই আমরা কিন্তু নিজেও জানি না।  ধরা যাক,,,  আপনি প্রতিদিন যাওয়ার পথে বা নিজের কোন কাজের ক্ষেত্রে কখনও কারো সাথে দেখা হল,  আপনি যদি ছেলে অথবা মেয়ে হন তবে সে বিপরীতমুখী।

এখন রোজ দেখতে দেখতে হঠাৎ যদি দেখা না হয় আপনি অথার্ৎ আপনার সেই অতৃপ্ত চোখ দুটি তৃপ্তি পাবার নেশায় চারিদিকে চোখের একধরনের ছোটাছুটি শুরু হবে।

এই সম্পর্কের কোনই নাম নাই ।শুধু চোখের একটা তৃপ্তির জন্য কিছু একটা খোঁজা।

 আমরা কিছু অপরিচিত মানুষের সাথে পরিচিত হই।  কেন হই?  কি কারনে হই?  কি দরকারে হই?  আমরা কিন্তু কেউ জানি না।  কিন্তু  পরিচিত হই।পরিচিত হয়ে কথা বলতে থাকি। কেন বলি?  কি কারনে বলি?  কি দরকারেই বা কথা বলি আমরা কিন্তু কেউ জানি না।।।  অথচ বলি।  হয়ত বা এর পিছনে কিছু ভালো লাগা থাকে।  কিছু সুন্দর অনুভূতি থাকে।  নতুন কিছু অদৃশ্য ছোট সম্পর্ক তৈরি হয়। হঠাৎ করে যদি এই সম্পর্কের কেউ একজন হারিয়ে যায় হয়ত সে ধরাছোয়ার বাহিরে থাকে কিন্তু ঐ চোখ দুটি তাকে খুঁজে।  হয়ত অপেক্ষা করে যদি আবার কথা বলে – যদি চোখের সেই তৃপ্তি হয় একবার দেখায়।

ঐ যে শুধু চোখের একটা তৃপ্তির জন্য কিছু একটা খোঁজা।।

রোজ বিকালে হাঁটতে হাঁটতে একটা ব্রীজ পাড় হলেই দূরে যদি দূর থেকে অসহায় বৃদ্ধ মানুষকে দেখতে থাকেন।  হয়ত কথা বলার কোন সুযোগ না থাকলেও শুধুই চোখের একটা তৃপ্তি ।  দেখাতো হয়েছে।  কিন্তুু হঠাৎ যদি হারিয়ে যায় দেখা না হয়।  আপনি তাকে খুঁজবেন নিজের অজান্তেই শুধু চোখের একটা তৃপ্তির জন্য।

Internet এর কারনে মানুষ এখন মানুষের খুব কাছে।  কি করছে?  কি পড়ছে?  কি খাচ্ছে?  টাইপ করে ম্যাসেজ এর মাধ্যমে সব কিছুই জানতে পারে। জানতে জানতেও এখানেও একধরনের ছোট্ট সূক্ষ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।  হয়ত বা কেউ আপন ভাবে। আবার দূর থেকেই দূরেই হারিয়ে থাকে।  অপর প্রান্তে হয়ত কেউ ঐ চোখের একটা তৃপ্তির অপেক্ষা করে সেটা অজানাই থেকে যায়।  কথার মাঝেও চোখের এক দারুন অদৃশ্য তৃপ্তি। কিন্তু হঠাৎ হারিয়ে গেলে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। শুধু খুঁজবেন চোখের তৃপ্তির জন্য।

 নিজের পরিবারের যদি কেউ দূরে থাকে তবে একটি বার দেখার জন্যও একধরনের আকুলতার সৃষ্ট হয়।  দেখতে পেলে চোখের তৃপ্তি। আর যদি দেখতে না পান অতৃপ্ত চোখদুটি তৃপ্তিহীনতায় ভুগতে থাকবে।

আমাদের শরীরের প্রতিটা অঙ্গ প্রতঙ্গ খুবই জরুরি।  এর যে কোন একটা যদি বিকল হয়ে যায় আমরা অসহায়।  কিন্তু চোখ/?/?/?/?/?/?

যার চোখ নাই সে কতটা অসহায় একবার কি কখনও ভেবে দেখেছেন /?/?/?

এই সুন্দর পৃথিবী সে দেখতে পায় না। প্রিয় মানুষ গুলোকে সে দেখতে পায় না।  কিন্তু তারপরও দেখতে না পাওয়ার মাঝেও সে কিন্তু কিছু খোঁজে। তার অনুভবের অনুভূতি দিয়ে। অনুভূতির চোখ দিয়ে। আর যখন যাকে খুঁজে তখন যদি খুঁজে না পায় সেও একধরনের তৃপ্তিহীনতায় ভুগে।

আমরা সবাই চোখের ভাষা পড়তে পারি না।  হয়ত মন দিয়ে পরলে পরা যায়।  আবার হয়ত চোখের ভাষা বলেই কিছুই নাই।  শুধু একপক্ষ মায়া।।। মায়া খুবই কঠিন জাল।  এ জালে পরলে বের হয়ে আসা খুব শক্ত।।।।।

 শুধুই যে নারীর চোখেই মায়া আছে এ কথাটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।  নারী পুরষ উভয় এরই আছে এই মায়া।  তবে সবাই যে এ মায়ায় পড়ে এটা ঠিক না।

মায়া খুবই কঠিন জিনিস।  সব কিছুর উপভোগ করতে ঐ চোখের তৃপ্তি প্রযোয্য।

তাই হঠাৎ করে কিছু হারিয়ে গেলে আপনি শুধু চোখের তৃপ্তিহীনতায় ভুগতে থাকবেন।  হয়ত প্রকাশ করবেন, হয়ত প্রকাশ করবেন না। হয়ত মানতেও রাজি হবেন না কিন্তু এটাই সত্যি।

চোখই কথা বলে খুশি হলে, দুঃখ পেলে,  অভিমান করলে।  কিন্তু সেটাও বুঝার অনুভূতি লাগে।

চোখকে না বুঝলে পৃথিবীর মানুষ তো দূরে থাক,,,,,  পৃথিবীকেই অনুধাবন করা কঠিন*****

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন