“যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও লড়ে যান যে অকুতোভয় বীর সেই সংশপ্তক।”
পৃথিবীতে কিছু কিছু জিনিস আছে যার হয়তো monitory value বা আর্থিক মূল্য একেবারে জিরো, কিন্তু আত্মিক মূল্য মিলিয়ন বা বিলিয়ন ডলারের থেকে বেশি। আমি আমার জীবনের যে পুরস্কারের কথা বলবো সেটির আর্থিক কোনো মূল্য না থাকলেও আত্মিক মূল্য অপরিসীম।
সময়টি ৩/৪ বছর আগের। প্রাইভেসী রক্ষার নিমিত্তে আমি যে ব্যাক্তির নাম এখানে দানিউব হিসাবে ব্যবহার করবো সেটি তার আমার দেওয়া একটি ছদ্দ নাম। আমার এক ক্লাইন্টের সাথে প্রায় ৪/৫ বছর কাজ করার পর তার মানসিক সমস্যা যখন স্ট্যাবল হলো এবং তার psycho-social বিষয়গুলিও যখন একে একে সমাধান হলো তখন আমি তাকে আমাদের প্রোগ্রাম থেকে ডিসচার্জ করে দেই। উল্লেখ্য তার ডিপ্রেশন সহ শারীরিক আরো কিছু
সমস্যা ছিল। তিনি ছিলেন একজন ইউরোপীয় ডিসেন্টের কানাডিয়ান। বয়স ছিল প্রায় ৩৪/৩৫ বছর।
আমি ছাড়া তার সাথে কাজ করতেন তার সাইক্রিয়াটিস্ট, ডাক্তার এবং একজন হাউসিং ওয়ার্কার। হাউসিং ওয়ার্কারটি ছিলেন একজন তার মা বয়োসী মহিলা, অন্য একটি এজেন্সির কর্মকর্তা এবং আমার খুব বন্ধু মানুষ, এই ভদ্রমহিলা আমার খুব শ্রদ্ধাভাজন এবং অমায়িক একজন মহিলা। দীর্ঘদিন কাজ করছেন সিটি ফান্ডেড একটি প্রতিষ্ঠানে। ক্লাইন্টটিকে ডিসচার্জ করার বছরখানেক এর মধ্যে তার হাউসিং ওয়ার্কার একদিন ফোন করে বললেন আমি কি ক্লাইন্টটিকে আবারো আমাদের প্রোগ্রামে এডমিট করতে পারি কি না। ডিসচার্জের সময় এক বছরের কম হওয়াতে আমি বললাম, হা নেওয়া যাবে এবং সরাসরি, অন্য কারো রেফারেল লাগবে না। উনি বললেন, একটি সাবসিডাইজড বাসা, পার্ট টাইম একটা চাকরি এবং ভলেন্টারিং নিয়ে তার সময় ভালোই কাটছিলো। কিন্তু হটাৎ করে তার শরীরে ধরা পড়লো এক বিরল ক্যান্সার লিউফমিয়া যার সমন্ধে ডাক্তারদের এখনো কোনো ভালো ধার নেই, বলতে গেলে নতুনই তাই এই বিষয়ে তেমন বেশি গবেষণাও তখন ছিল না।
ভদ্রমহিলা বললেন, তার মানসিক সমস্যা বর্তমানে স্ট্যাবল থাকলেও আমার involvement তার treatment এবং treatment coordination এর জন্য অনেক কাজে আসবে। তার যে ক্যান্সার তাতে তার বেঁচে থাকাটা আল্লাহর ইচ্ছা এবং মিরাকেল ছাড়া সম্ভব ছিল না তাই তাকে বাঁচিয়ে তোলা আমাদের মূল উদ্দেশ ছিল না। মূল উদ্দেশ্য ছিল তার মতো দরিদ্র এবং মানসিক সমস্যাজনিত একজন নাগরিকের কানাডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের সর্বোচ্চ
সেবা এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করা। এ যেন এক সংশপ্তকের যুদ্ধ !! মনে পড়ে যায় শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস সংশপ্তকের একটি লাইন, “যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও লড়ে যান যে অকুতোভয় বীর সেই সংশপ্তক।”
যেহেতু তার ক্যান্সারটি ছিল rare তাই ডাক্তাররা ঠিক বলতে পারছিলেননা তিনি কতদিন বাঁচবেন। উপসর্গের মধ্যে ছিল গায়ে চুলকাতে চুলকাতে ঘা হয়ে যাওয়া এবং সেটি বাড়তে বাড়তে পচন ধরা। যাহোক, আমি তাকে সঙ্গে সঙ্গে এডমিট করে নিলাম। তার treatment এবং কেয়ারের জন্য টরোন্টোর ক্যান্সার treatment এর বিখ্যাত হাসপাতাল Princess Margaret Cancer Centre এর ডাক্তার, নার্স, সাইক্রিয়াটিস্ট, সোশ্যাল ওয়ার্কার,
ODSP ওয়ার্কার এবং ওই হাউসিং ওয়ার্কার ভদ্র মহিলাকে নিয়ে এক বিশাল কেয়ার treatment বা care টীম তৈরী করা হলো। উদ্দেশ্য, সে যেন গরিব হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় treatment থেকে বঞ্চিত না হয় এবং তাকে world class treatment এর ব্যবস্থা করা। শুরু হলো তার treatment.
কিছুদিন treatment চলার পরে ডাক্তাররা এটুকু নিশ্চিত হলেন যে তাকে আর বাঁচানো যাবে না, এবং তিনি মারা যাবেন, কিন্তু ঠিক কতদিনের মধ্যে সেটি আন্দাজ করতে পারছেন না। তবে এই সময় তারা বললেন পেশেন্টকে জানাতে হবে যে সে আর বাঁচবে না। টিম মিটিংয়ের আয়োজন করা হলো। সবাই মিলে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হলো আমি যেহেতু ক্লায়েন্টকে সব থেকে বেশিদিন থেকে চিনি এবং আমার সাথে তার সব থেকে বেশি rapport
আছে তাই তার মৃত্যু যে আসন্ন এই খবরটি ক্লাইন্টকে জানানোর দায়িত্ব পড়লো আমার কাছে। হয়তো ডাক্তারদের কাছে এটি খুব একটা কঠিন বিষয় না কারণ তাদেরকে হয়তো প্রায়ই এমন খবর তাদের পেশেন্টদের বা তাদের আত্মীয়কে দিতে হয়, কিন্তু আমার জন্য এই জাতীয় কাজ খুব কমন না, এবং কাজটি কিন্তু খুব কঠিন। একজন জলজ্যান্ত মানুষকে কিভাবে বলবেন, তোমার দিন শেষ। যাহোক একদিন তাকে নিয়ে Tim Hortonএ বসে বেশ কিছুক্ষন আলাপের পরে তাকে বললাম। সে কিছুক্ষন চুপ করে থেকে শুধু বললো, “that’s it” এবং তার দুচোখ দিয়ে খুব চিকন দুটি পানির রেখা বেয়ে মুখের নিচের দিকে পড়লো।
হটাৎ করেই সে আমাকে স্তম্ভিত করে বলে উঠলো, “Let’s move on my friend”. তারপর আমরা তার দৈনন্দিন জীবনের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা শুরু করলাম। এর পর সে আস্তে আস্তে আমাদেরকে বললো সে কোথায় কবর চায়, তার জিনিস পত্র কাকে কাকে দিবে ইত্যাদি। সে কিন্তু মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও তার রুমকে ডেকোরেট করার জন্য জিনিসপত্র কিনেছে মহা আনন্দে। সে যে একটি বছর বেঁচে ছিল সেই একটি বছর আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়ে
গেছে যে মৃত্যুকে কিভাবে আলিঙ্গন করতে হয় এবং কিভাবে “Life must go on”. এই এক বছরে সে চার্চে ভলেন্টারিং, ফান্ড রাইজিং মেরাথনে অংশগ্রহণ, ক্যাম্পিংয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন এক্টিভিটিসে অংশগ্রহণ করেছে।
যদিও সে ক্যাথলিক ছিল, কিন্তু প্রায়ই সে আমার কাছে আমাদের বেহেস্ত, দোজখ ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাইতো। আমি আর তার হাউসিং ওয়ার্কার যখন বলতাম মৃত্যুর পরে কেয়ামতের দিনে আল্লাহ তালা সবাইকে আবার জাগিয়ে তুলবেন, এবং কেউ বেহেস্তে, কেউবা দোজখে যাবে। তাই আমাদের মরার পরে তার সাথে আবার আমাদের দেখা হবে। সে তখন বলতো “Common, there will be so many people, how do I recognize you guys?” আমরা অনেক হাসতাম। এই সময়ে সে কিন্তু প্রায়ই আমাদের দুজনকে বলতো, “I don’t know whether I see you there, I would be so happy if I can die in your presence!!” অর্থ্যাৎ আমরা তার মৃত্যুকালে তার পাশে থাকলে সে খুশি হবে, কারণ তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব সব ছাড়িয়ে তার মতে আমরা দুজন তার সবথেকে কাছের লোক যারা কিনা তার মৃত প্রায় confidence এবং hopeকে জাগিয়ে তুলেছে। আমরা বলতাম, দানিউব সেটি হবে মিরাকেল, কারণ আমি আমার মা, বাবা এবং ছোট বোনে, কারোর মৃত্যুকালে তাদের কাছে থাকতে পারিনি, তাই তোমার মৃত্যুকালে তোমার কাছে থাকাটাও অলীক।
যাহোক আস্তে আস্তে তার অবস্থা যখন শেষের দিকে, তখন সে একদিন হাসপাতালে গেলো। সেখান থেকে আমাদেরকে টেক্সট করে জানালো তাকে হয়তো বেশ কিছুদিন থাকতে হবে, কিন্তু তখনো সে জানতো না সে আর কোনোদিন তার বাসায় ফিরে আসবে না। তার শরীর আস্তে আস্তে শেষের দিকে ধাবিত হস্ছিলো। ডাক্তাররা তখন আমাদের বললেন তাকে তারা প্যালেলেটিভ কেয়ার শাখায় পাঠাবেন যখন ওখানে বেড খালি হবে। ওখানে যাওয়া হলো মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা। ওই শাখার সব রুগীই মৃত্যু পথযাত্রী। আমরা সবাই মৃত্যু পথযাত্রী, তবে ওই শাখার লোকজনের বেঁচে থাকার সময় মাত্র কয়েকদিনের। এই সময়ে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নিলেন তাকে জানিয়ে দিবেন যে সে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই মারা যাবেন এবং তার আর বাড়ি ফেরা হবে না। পৃতিবীতে তার দিন শেষের পথে। এই সময়ে ডাক্তার নার্সদের টিম এবং তার কিছু আত্মীয়স্বজন একসাথে হয়েছে সে তখন বললো তার জীবনের এই শেষ case কনফারেন্সে সে আমাদের দুজকে চায়। আমার মনে আছে আমি remotely টেলিফোনের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলাম। বিষয়টি আমার কাছে খুবই সম্মানজনক মনে হয়েছে। একজনকে মৃত্যুপথযাত্রী লোক কোনো কারণেই মিথ্যা বলতে পারে না, তাই সে যখন আমাদেরকে তার এতো কাছের লোক হিসাবে গণ্য করেছে, তখনই আমি মনে করি আমার কাজের সার্থকতা।
যাহোক, কয়েকদিনের মধ্যে তাকে প্যালেলেটিভ কেয়ার শাখায় পাঠানো হলো। তার খাওয়া দাওয়া আস্তে আস্তে কমে গেলো। বিছানধরা হয়ে গেলো। আমি এই সময়ে তার হুশ থাকা অবস্থায় তাকে দেখেত গেলাম। তাকে তার প্রিয় গ্রীন টি উইথ ওয়ান সুগার নিয়ে দিলাম তখন সে বললো পৃথিবীতে হয়তো এটি তার শেষ খাওয়া। উল্লেখ সেটিই তার শেষ খাওয়া ছিল। এরপর সে সেলাইন নিয়ে কোনোরকমে বেঁচেছে। আমি যখন চলে আসছিলাম তখন সে জিজ্ঞেস
করলো, “Are you coming again?” আমি বললাম “Yes, as long as he keeps breathing I would come to see him, no matter he hears me or sees me.” ও খুব খুশি হলো।
এর দুদিন পরে আমার তাকে দেখতে যাওয়ার কথা। ওর হাউসিং ওয়ার্কার আমাকে বললো সেও আমার সাথে তাকে দেখতে যেতে চায় এবং যাওয়ার আগে আমার সাথে তার মৃত্যুর পরে সৎকারের ব্যবস্থা নিয়ে আলাপ করতে চায়। আমি বললাম ঠিক আছে। তার সাথে হাসপাতালের পাশে একটি Tim Hortonএ বসে সব আলাপ সারলাম। এই সময়ে সে বললো, সে তার স্বামীকে নিয়ে উইকেন্ডে দানিউবকে দেখতে এসেছিলো, ওর অবস্থা খুব খারাপ, প্রায় যায় যায়। একেবারে কমায়। হয়তো এইমুর্হুর্তে সে মরেও যেতে পারে। উনি বললেন “lets go” .আমরা রেগুলার এলিভেটর দিয়ে যেতে গিয়ে একটু ভিড় দেখে অন্য পাশের একটি ছোট এলিভেটর দিয়ে গেলাম। ওর রুমে দেখলাম ও অসাড় হয়ে বিছানার উপরে পড়ে আছে। শুধু মাত্র যন্ত্রপাতিতে বোঝা যাচ্ছে ওর জানটা এখনও আছে,
তাছাড়া কোনো সাড়াশব্দ নেই।
আমার মনে আছে, সেদিন রোজার দিন ছিল।জুন মাস। বাইরে ঝকঝকে রোদের আলো, জানালা দিয়ে আসছিলো। এই সময়ে আমি তার এক পাশে আর তার হাউসিং ওয়ার্কার অন্য পাশে গিয়ে তার হাতটা ধরলাম। ডাক্তার এসে বললো তার কমায় যাওয়ার আগে সে আমাদের কথা জিজ্ঞেস করেছিল। ডাক্তার এও বললেন যে তার শ্রবণ শক্তি হয়তো এখনো সচল আছে তাই আমরা চাইলে তাকে আমাদের কথা বলতে পারি। আমি তখন তার হাত ধরে বললাম, দানিউব আমরা তোমাকে দেখতে এসেছি, আগামী দিন তোমাকে দেখতে পাবো কি না জানিনা তবে তুমি জেনে রাখো তুমি একজন ভালো লোক ছিলে এবং আমাদের অফিসের সবাই তোমার জন্য দোয়া করছে। তুমি যতদিন আছো ততদিন আমরা আসবো, এবং তোমাকে তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী কবরের ব্যাবস্থা করা হবে। ঠিক আমার বাক্যটি শেষ করার সাথে সাথে আমি আমার হাতে কিছু অনুভব করলাম, এবং তার চোখের কোনায় খুব ছোট একফোঁটা পানি দেখলাম যেটি জানালা থেকে সূর্যের আলো পড়ে চিক চিক করছিলো। এই সময় তার হাউসিং ওয়ার্কার বললো “Mukul he is gone?”. আমি বললাম কি? তার পাতো এখনো warm . ঠিক এই সময় ডাক্তার এসেই বললেন সে চলে গেছে, এববং তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার প্রিয় দুজন মানুষের হাতের উপরেই মারা গেছে। ডাক্তার বললেন “It’s a great gift for you guys”. It was indeed!!! সত্যিই এটি একটি মহামূল্যবান উপহার হয়ে থাকলো আমার জীবনে।
তার হাউসিং ওয়ার্কার বললো সে আমার হাত ধরতে চায়। আমার হাতটা ধরে আমার ঘাড়ে মাথা রেখে কেঁদে ফেললেন। ভদ্রমহিলা তাকে ছেলের মতোই জানতেন। এসময় আমিও চোখের পানি আটকাতে পারি নাই। এই প্রথম ক্লায়েন্টের জন্য চোখের পানি পড়লো। কিছুক্ষনের মধ্যেই রুমে ছেড়ে এসে তারা সৎকারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ এবং তার আত্মীস্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের খবর দিয়ে যখন গাড়ি স্টার্ট দিয়ে অফিসের দিকে যাবো
তখনই কাকতলীয়ভাবে গাড়িতে রাখা usbতে বেজে উঠলো, “এইতো জীবন, চিতাতেই সব শেষ”.ওই পোর্টে প্রায় ১০০০ এর মতো গান আছে, কিন্তু হটাৎ করেই randomly ওই গানটিই বেজে উঠলো।
গার্ডেনারের উপরদিয়ে অফিসের দিকে যেতে যেতে মনে কষ্ট থাকেলও একটা তৃপ্তি ভর করলো মনে। আমরা তাকে বাঁচাতে না পারলেও তার মৃত্যুপূর্ব কিছুদিন তাকে একটি কোয়ালিটি লাইফ দিতে সহযোগিতা করতে পেরেছি। এইতো, আমাদের পেশায় কাঙ্খিত ফলাফল সব সময় পাওয়া সম্ভব নয়, তবে চেষ্টার সবটুকু করা হলো কি না সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজিতে একটি কথা আছে, “focus on the process, not the product”. যেমন রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “পথের প্রান্তে মোর তীর্থ নয়, পথের দুধারে আছে মোর দেবালয়”.
লোকটির জীবনের শেষ মুহূর্তে পাশে থেকে অনেক কিছুই শিখেছি, শিখেছি জীবনের কঠিন সত্য জানার পরেও সেটিকে মেনে নিয়ে কিভাবে জীবনকে সুন্দর করে কাটানো যায়।
আজকের এই মহামারীকালীন সময়ে তার এই শিক্ষাটি খুবই প্রয়োজনীয়।
শেষ হলো আমার জীবনের একটি অন্যতম উপহারের গল্প।
সবাই ভালো থাকেন। আল্লাহ সবার মঙ্গোল করুন।