Kristiansand, Norway .
৪ মাস হয় পুরান ঢাকা থেকে নরওয়ের টেলিমার্কঃ শহরের পার্শবর্তী ছোট্ট একটা গ্রামের এক উনিভার্সিটিতে ( Sør øst universitetet ) মাস্টার্সের ছাত্র হিসাবে রনির আগমন, যে গ্রামে রনির উনিভার্সিটি অবস্থিত সে গ্রামের লোক সংখ্যা মাত্র ৬০০০। সন্ধ্যার পর পরই যে গ্রামে নেমে আসে নিঝুম রাত্রির আবেশ।
গত চার মাস ধরে কাম কাজহীনভাবে জন মানবহীন গ্রামে থাকতে থাকতে রনির মানসিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যয়ের যখন শেষ পর্যায়ে ছিল, ঠিক সে মুহূর্তে Facebook এর কল্যাণে ওর আমার সাথে যোগযোগ। ওর মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে গত দু দিন আগে আমি ওকে আমার ওখানে নিয়ে আসি। এখন ও আমার কাছেই থাকবে, কাজ করবে এবং প্রয়োজনীয় দিনগুলোতে উনিভার্সিটিতে যাবে আসবে। নরওয়ে অত্যন্ত ব্যায়বহুল দেশ হওয়ায় কাম কাজহীনভাবে নরওয়েতে বসবাস করা প্রায় অসম্ভব । তাই আগামীতে আপনারা যারা নরওয়েতে পড়ালেখা করতে আসবেন কিংবা আসতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই কোন শহরে আসছেন ? সেখানে পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ পাবার সম্ভাবনা কেমন ?? এবং ওই শহরে কোনো বাংলাদেশী থাকেন কিনা এবং থাকলে উনাদের সাথে প্রয়োজনে যোগাযোগ কিভাবে করবেন তা জেনে শুনে আসবেন।
বিশ্বের ধনী কোনো দেশে গেলেই যে সাথে সাথে আপনার থাকা খাবার সব কিছু সহজে ঠিক হয়ে যাবে কিংবা সহজেই কোনো একটা কাজ পেয়ে যাবেন তা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। তাই পড়ালেখা কিংবা অন্নান্য কোনো ব্যাপারে দেশের বাহিরে গেলে ওই দেশ সমন্ধে ভালো করে জেনে শুনে যাবেন। বিশ্বের ভিবিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব বাংলাদেশী ভাই বোনদের জন্য শুভ কামনা রইলো।