ফারসুন্ড,নরওয়ে থেকেঃ-
ফারসুন্ড দক্ষিণ নরওয়ের অন্যতম সুন্দর একটি শহর। ফারসুন্ড শহর ট্যুরিষ্টদের জন্য বিশেষ এক আকর্ষণীয় শহর, তাই গ্রীস্মকাল জুড়ে সারা পৃথীবি থেকে হাজার হাজার মানুষ ফারসুন্ড শহর বেড়াতে আসেন। গ্রীষ্মকালে যখন সারা নরওয়ে অপরূপ সাঝে সাজে তখন হাজার হাজার নরওয়েজিয়ান উত্তর নরওয়ে থেকে দক্ষিণ নরওয়ের অপূর্ব সুন্দর এ শহর দেখতে আসেন। এ শহরের প্রতিটা অংশজুড়ে প্রকৃতির অনন্য লীলাখেলা। একদিকে আছে আটলান্টিক সমুদ্রের নীল জলরাশি, অন্য দিকে পাহাড়, পর্বত আর বনাঞ্চলের মায়াবি হাতছানি।
এ শহরের নদী এবং হ্রদগুলো মাছে মাছে পরিপূর্ণ থাকায় মাছ শিকারিদের জন্য ফারসুন্ড শহর এক বিশেষ অর্থ বহন করে। পাহাড়ের উপরে স্তরে স্তরে সাজানো ফারসুনদের পরিচ্ছন্ন ঘরগুলো ঠিক যেন রূপকথার ঘরগুলোর মতো দেখতে মনে হয়। প্রতি গ্রীষ্মে ফারসুন্ড এক অপরূপ রূপ ধারণ করে যা অনায়াসে যে কারো মন কেড়ে নিতে সক্ষম। ফারসুন্ড মিউনিসিপ্যালিটির মোট আয়তন ২৬৩ বর্গ কিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা মাত্র ১০ হাজারের মতো। ফারসুন্দা শহরে জনসংখ্যা নিতান্ত কম হওয়ায় এ শহরের সবাই প্রায় সবাইকে চেনেন, এ শহরের মানুষগুলোর বেশিরভাগ স্থানীয় এবং খুবই ধনী। জনসংখ্যা কম হবার কারণে এবং শীতকালে বিষন্নতায় ভোগে তবে সরকারি সংস্তাগুলো এখানকার মানুষদের জন্য খুবই দরদী এবং সহানুভূতিশীল হবার কারণে যেকোনো কিছুর জন্য আবেদন করলে সরকার থেকে এখানে খুব সহজে সহযোগিতা মেলে। অনেক অনেক সুযোগ সুবিধা থাকবার পরও শুধুমাত্র কম জনসংখ্যার শহর হবার কারণে নরওয়েতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা সাধারণত ফারসুন্ড শহরে বসবাসে অনাগ্রহী। নরওয়েতে বসবাসকারী ৬০০০ বাংলাদেশীদের মধ্যে মাত্র একজন বাংলাদেশিরই বসবাস ফারসুন্ড শহরে আর সে বিশেষ কারণেই দক্ষিণ নরওয়ের বড় বড় শহরগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশীরা মাঝে মাঝে ওখানে বেড়াতে যাই এবং ফারসুন্ড মিউনিসিপ্যালিটির অপরূপ সুন্দর্য উপভোগ করি।