নরওয়ে থেকে:
জীবনকে বদলাতে হলে নিজেকে বদলাতে হয়, যারা সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এবং জীবনে সফল হবার নিজেকে বদলান, তারা জীবন সংগ্রামে কক্ষনোই হারেন না।
আমার এক বন্ধু সেটিল ১২ বছর আগেও দক্ষিণ নরওয়ের সবচেয়ে বড় একজন ড্র্যাগ ক্রিমিনাল ছিল,, কিন্তু বিগত ৫ বছরের মধ্যে তিন বছরই সেটিল নরওয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি নির্বাচিত হয়। একজন সুপরিচিত স্পোর্টসম্যান হিসেবে সমাজে আজ সেটিলের অনেক সম্মান, অনেক পরিচিতি, অনেক স্পনসর। বিগত বছর এক জার্মান কোম্পানি সেটিলকে স্পনসর হিসাবে প্রায় ১ মিলিয়ন ক্রোনারের গাড়ি উপহার দিয়েছে কিন্তু ১২ বছর আগেও ওর অনেক রাত গিয়েছে যখন সেটিলকে প্রাণের ভয়ে এক শহর থেকে আরেক শহরে ভাগতে হতো অথবা কাউকে পিঠানোর জন্য কারো পিছনে পিস্তল নিয়ে ছুটতে হতো।
ড্র্যাগ সংক্রান্ত কারণে নিজের পরিবারে অনেক অশান্তি, বাবার মৃত্যু এবং অনেকবার জেল খাটার পর সেটিল সিদ্ধান্ত নেয় যে ও আর ক্রিমিনাল হিসাবে জীবন যাপন করবেনা, ও ভালো হয়ে যাবে এবং অন্যদের মতো স্বাভাবিক সুন্দর জীবন যাপন করবে। যেই কথা সেই কাজ, ২০০৮ সাল থেকে পরিশ্রম করতে করতে আজ সেটিল একজন সেলিব্রেটি, পারিবারিক এবং প্রফেশনাল জীবনে ও আজ সফল এবং সুখী মানুষ ।
একদিনে, এক বছরে জীবনকে বদলে ফেলা যায়না ,
জীবন বদলাতে হলে সাধনা এবং অধ্যবসায় লাগে,
লাগে সফল হবার মন মানসিকতা।