আমরা কালকে ছিলাম রমনা,চারুকলা,টি এস সি আর আমার ছোট্ট সবুজ দেশের মায়াবী আবেশে এটুকু বললে কমই বলা হবে । কাল ভিক্টোরিয়া, ড্যানফোর্থ এভিনিউ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ হয়ে উঠলো। কি ছিল না সেখানে, পায়ের নুপুর, গলার হার, শাড়ি, চূড়ি বেলোয়ারী। শাড়ী, লুংগী,ফুলের মালা, ডালা কুলা, হাড়ি বাটি গৃহস্থালী সব এক জায়গায়। আর খাবার! কি বলব! মুড়ি,চানাচুর,ছোলা ভূনা, সিংগারা,সমুচা, সোজা কথায় ঢাকা শহরের রাস্তায় যত খাবার পাওয়া যায় সব ছিল।
সবাই ভুলেই গিয়েছিলাম বয়সকে। ছোট বড় সব একসাথে এতো আনন্দ!! মনে হলো আমি হাটছি আর যা ইচ্ছা তাই খাচ্ছি সেই টি এস সি তে, নিজের কলেজ ক্যাম্পাসে। ঢোল বাজছে,গান চলছে,নাচ চলছে, যে যার মতো উপভোগ করছে সময়কে গল্প, আড্ডা চলছে অবিরাম।
ধারণা করা হচ্ছে ১০/১২ হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে ডজ রোড বন্ধ করে দেয়া হয়। টেস্ট অফ বাংলাদেশ স্ট্রিট Festival এর জন্য। শুধু বাংলাদেশীরাই নয় পৃথিবীর দেশের লোকজন উপভোগ করছে আমাদের সাথে, অপূর্ব। ধন্যবাদ টরোন্টো পুলিশকে, কি সুন্দর ভাবে সব ম্যানেজ করেছে, স্যালুট।
আমাদের সবার গর্ব ডলি বেগম, মেম্বার অফ কানাডিয়ান পার্লামেন্ট শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন, অত্যন্ত পরিমার্জিত, very young, promising “Dolly Love You ” সাথে টরোন্টো সিটির কমিশনার বৃৃন্দ। আর আমাদের প্রধান মন্ত্রী “জাস্টিন ট্রুডো ” এই ফেস্টিভ্যালের সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা সহ আগামীবার উপস্থিত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই অনুষ্ঠান শুরু হয় স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশিত গান ও নাচের মধ্য দিয়ে। তপন চৌধুরীর তুমি আমার প্রথম সকাল, মন শুধু মন ছুয়েছে, রিজিয়া পারভীনের মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। আর সর্বোশেষ আকর্ষন গুরু খ্যাত নগর বাউল “জেমস” এর লেস ফিতা দিয়ে শুরু হয়ে আমি তারায় তারায় রটিয়ে দিব সহ সব জনপ্রিয় গান দিয়ে শেষ হয় “টেস্ট অফ বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল। সবাই এক সাথে নেচে গেয়ে উপভোগ করেছি পুরোটা সময়। আয়োজকদের সবাই কে স্বশ্রদ্ধ স্যালুট ও ধন্যবাদ জানাই, এতো বড় অনুষ্ঠান এতো সুচারু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য।
বাংলাদেশ দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে, সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে এই উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। আর টরোন্টোতে সব চেয়ে বেশী বাংলাদেশী বাস করেন। ধারণা করা হয় কয়েক লক্ষ বাংগালী বাস করেন এখানে। আর তাদের ঘিরেই গড়ে উঠেছে মিনি বাংলাদেশ এই সূদূর প্রবাসে।