অন্যস্বর – টরন্টো ভিত্তিক একটি সংস্কৃতিক সংগঠন। মূলত কবিতা আর আবৃতির ভুবনে যার অবাধ পদচারণা। অন্যস্বর হচ্ছে অন্য থিয়েটার টরন্টোর একটি সহযোগী সংগঠন। ২০১১ সালে জনাব আহমেদ হোসেনের হাত ধরে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। অন্য থিয়েটারের নাম করনের ব্যাখ্যায় তিনি বললেন , ” অন্য ” কথাটা ব্যবহার করেছেন অন্য রকম কিছু করার জন্য, যা হবে ব্যাতিক্রম ধর্মী আর গতানুগতিকতার বাইরে। রবি ঠাকুরের ১৫০তম জন্ম বার্ষিকীতে “সুক্ষ বিচার ” নাটক দিয়ে শুরু হয়েছিল অন্য থিয়েটার টরন্টোর পদযাত্রা। অদ্যবদি সাফল্য আর সার্থকতার মধ্যে দিয়ে চলছে সেই পথচলা।
বছর ঘুরতে না ঘুরতে জনাব আহমেদ হোসেন অনুভব করলেন শুধুমাত্র নাটক নয় , এই শহরে বাংলা সাহিত্যের আরো প্রতিভাবান সম্ভাবনা ছড়িয়ে আছে। শুরু করলেন কবিতা আর আবৃতি প্রেমিকদের একটি ছাদের নিচে নিতে আসতে। এই ভাবেই জন্ম হয়েছিল ” অন্যস্বরের”, সালটি ২০১২।
গত শনিবার ৮জুন ২০১৯ সন্ধ্যায় ৪৩৩ বার্চমন্ট রোডে অবস্থিত টরন্টো দূর্গা বাড়ির অডিটরিয়ামে অন্যস্বরের এবারের আয়োজন ছিল “মৃত্তিকার পংক্তিমালা ও শিকড়ের সুর “.চা চক্রের পরে সন্ধ্যা ঠিক ৮টায় হিমাদ্রী রয় সঞ্জীব এর স্বাগত বক্তব্যের মধ্যেদিয়ে শুরু হয়েছিল একটা সুন্দর আর পরিছন্ন আয়োজন।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলোনা কোনো ছন্দপতন।
অনুষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন জনাব হিমাদ্রী রয় সঞ্জীব, নির্দেশনায় জনাব আহমেদ হোসেন আর সার্বিক তত্তাবধনে ছিলেন জনাব মনির বাবু। শহরের বিভিন্ন পেশার দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতিতে অডিটরিয়ামটি সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ ছিলো। আবৃত্তি আর গানের এক অনবদ্য আয়োজনে অন্যস্বরের শিল্পীগন মুগ্ধ করে রেখে ছিলেন উপস্থিত সকল দর্শক-শ্রোতাদের।
রাত ১০টার কাছাকাছি সময় এসে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন জনাব আহমেদ হোসেন। একটি সুন্দর ,পরিছন্ন সাংস্কৃিতিক সন্ধ্যা উপহার দেয়ার জন্য পরবাসী ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে অন্যস্বরের সকল শিল্পী আর কলা-কুশলীদের জন্য রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।