নিজাম উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধরা ধরি করে এই সাত সকালে হাসপাতালের বিশেষ এম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। টরেন্টো থেকে উত্তর দিকে ‘বেড়ি’ নামক ছোট্ট শহরের একটি এনজিও দ্বারা পরিচালিত গ্রূপ হোমস টাইপের বিল্ডিং এর অন্যান্য বাসিন্দারা অর্থাৎ যারা নিজাম উদ্দিনের মতো মানসিক বা মাদকাসক্ত তারা অনতিদূরে উৎসুক চোখে উঁকিঝুঁকি মারছে। নিজাম উদ্দিন স্ট্রেচারে শুয়েই শুনতে পেলো কেউ একজন নিচু গলায় আরেকজনকে বলছে ‘ ব্লাডি ফাকিং ওল্ড।’ অন্য সময় হলে নিজাম উদ্দিন ওই ব্যাটার নাকের বদনা ফেটে দিতো।
অফিসের ম্যানেজমেন্ট থেকে নিজাম উদ্দিনের মেয়ে নাজমাকে ফোন করা হয়েছে, নাজমা সরাসরি হাসপাতালে যেয়ে বাবার সাথে দেখা করবে।
মাত্র প্রায় এক সপ্তাহ খানিক হলো হোমলেস নিজামুদ্দিন এই আবাসন কেন্দ্রে পাকাপাকি ভাবে থাকার জন্য উঠেছিল। আট দিনের মাথায় নিজাম উদ্দিন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন। ঘটনাটি হয়েছিল গত কাল অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে। এই বিল্ডিংটি শহর হেকে কিছুটা ভিতরে বলে এমনিতেই সব সময় নীরব থাকে। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিলো। বিল্ডিং এর অধিকাংশ বাসিন্দারা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। নিজাম উদ্দিনের কিছুতেই ঘুম আসছিলো না । খুব করে রুপার কথা মনে হচ্ছিলো। কেন যে বাল্যবন্ধু বলে একরাম হারামজাদাকে বিশ্বাস করে রুপার সাথে পরিচয় করে দিয়ে নিজেই নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছিল ভাবতেই নিজের উপর ভীষণ রেগে গেলো নিজাম উদ্দিন। আহা, ওদের বিবাহিত জীবনের শুরুর দিকে কি মধুর সম্পর্কই না ছিল। তখনও ওদের কোনো সন্তানাদি হয় নি। উইকেন্ডে, নাজমাকে নিয়ে কত কত জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছে! কখনো নায়াগ্রা ফলস, সাফারি পার্ক, কখনোবা সি এন টাওয়ার আরো কত জায়গা! বাসে/ট্রামে, সাবওয়েতে পুরা টরেন্ট শহর বড় ঘুরে বেড়াতো, কোনো জিনিস না কিনলেও বড় বড় শপিং মলে এমনি এমনি ঘুরে ফিরে এটা ওটা দেখতো, ক্ষুধা লাগলে শপিং মলের ফুটকোর্টে লাঞ্চ সারতো। একদিন মলে লাঞ্চ করতে যেয়ে রুপা দেখলো পাশের চেয়ারে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা পিজা খাচ্ছে। রুপা ওনার কাছে গিয়ে বালিকাদের মতো করে চিৎকার করে উঠে বললো:
-‘ আপা, আপনি এতো সুন্দর গান করেন, আমি আপনার ভীষণ ভক্ত।’ এই বলে রুপা বন্যার পা ছুঁয়ে সালাম করতে উদ্যত হলো।
-‘না না , একি করছেন’ বলে রেজোয়ানা চৌধুরী খেতে খেতে উঠে দাঁড়িয়েছে। আসে পাশের লোকজন উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে । কি এক বিব্রতকর অবস্থা। অগত্যা রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে হাসি মাখা মুখে রুপার সাথে ছবি তুলতে হলো। বন্যা, রুপার গালে আলতো করে স্পর্শ করে বললো :
-‘ভাবি, আপনি অনেক সুন্দর।’
সেদিনের কথা মনে হতে নিজাম উদ্দিন ফিক করে হেসে দিলো। আহারে, এরকম সহজ সরল রূপবতী রুপাকে সে ধরে রাখতে পারলো না। খাটের নিচে কিছুটা কিচির মিচির শব্দ হচ্ছে সম্ভবত ইঁদুর/টিদুর হবে। এই বিল্ডিংটির পিছনের দিকে বন/জঙ্গল থাকায় ইঁদুরের বেশ উপদ্রব। নিজাম উদ্দিন এখানে এসে প্রথম রাত থেকেই টের পেয়েছিলো। তবে নিজাম উদ্দিন তেমন কোনো গা করে না। এই পৃথিবীতে শুধু সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ থাকবে তা হয় না, এই পৃথিবীর উপর তার মতো হোমলেস, মানসিক রুগী সহ প্রতিটি মানুষের যেমন অধিকার আছে তেমনি পোকামাকড়, ইঁদুর বিড়াল , স্যাপ ব্যাঙ, সবারই অধিকার আছে। আমরা সবাই কেবল নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে আরেক সপ্রদায়কে অবাঞ্চিত ঘোষণা করি। নিজাম উদ্দিন এই গভীর নিশুতি রাতে দার্শনিকের মতো যখন এসব ভাবছিলো একটি ধাড়ি ইঁদুর তার পিছে পিছে আরো ২/৩ টি ছোট ছোট ইঁদুরের বাচ্চা নিয়ে নিজাম উদিনের পা ঘেঁষে বিছানা পার হয়ে জানালার দিকে চলে গেলো। নিজিম উদ্দিনের পায়ে কিছুটা শুড়শুড়ি লাগলেও উৎসুক হয়ে ইঁদুর পরিবারের প্রস্থানের দিকে তাকিয়ে থাকলো। আহা! হয়তো কোনো নানু/দাদু ইঁদুর তার নাতিপুতি নিয়ে হয়তো ভ্রমণে বের হয়েছে। ইঁদুরের পরিবারের কথা ভাবতে ভাবতে নিজাম উদ্দিন আবার নিজ পরিবারে ফিরে আসে। এই বৃষ্টির রাতে শুয়ে শুয়ে আবারো রুপার কথা ভাবতে থাকে। এক পর্যায়ে, নিজাম উদ্দিনের নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হলো। একরামকে অনেক আস্কারা দিয়ে দিয়ে মাথায় তুলে রেখেছিলো। নিজাম উদ্দিন ভাবতে থাকে তার সহজ সরল রুপা তারই কারণে, তারই বোকামির জন্য একরামের হাত ধরে পালিয়ে গেছে।
এমনিতেই রুপার কথা মনে করে নিজাম উদ্দিনের মনটা বেশ খারাপ ছিল। ভিতরে ভিতরে মদ খাবার নেশাটা খুব চারা দিচ্ছিলো । এবার হ্যাডলির পীড়াপীড়িতে শুরুতে কিছুটা ইতস্তত করলেও হ্যাডলির রুমে যেয়ে চুটিয়ে আড্ডা দিতে দিতে গোগ্রাসে মদ খাওয়া শুরু করলো নিজাম উদ্দিন। খাবি তো খাবি একেবারে গলা পর্যন্ত। কখন যে ভোরের আলো ফুটে সকাল হয়েছে, খেয়ালি নেই। ভোর প্রায় সাড়ে সাত টার দিকে কিছুটা তাল মাতাল অবস্থায় নিজাম উদ্দিন ও হ্যাডলি হলওয়ের ভিতর দিয়ে হেটে যেয়ে বাহিরের যাওয়ার দরজার দিকে এগুচ্ছিলো সিগারেট টানার জন্য। সহসাই, স্টিফেন নামে আরেক বাসিন্দা যে পাশ কেটে হেটে যাচ্ছিলো নিজাম উদ্দিনের সাথে ধাক্কা লেগে গেলো । লোকটি প্রথম থেকেই নিজাম উদ্দিনের প্রতি কেমন যেন একটা অবজ্ঞার ভাব ছিল। ফলে, যা হবার তাই হোলো, স্টিফেনের প্রচন্ড ঘুষিতে নিজাম উদ্দিন একেবারে চিৎপটাং হয়ে মেঝেতে পরে গেলো। হ্যাডলির সহাযতায় নিজাম উদ্দিন উঠে দাঁড়িয়ে স্টিফেনকে পাল্টা ঘুষি পাকিয়ে এগিয়ে যেতেই লোকটি বিদ্যুৎ বেগে সরে যেয়ে নিজাম উদ্দিনের নাক বরাবর সজোরে আরেকটি ঘুসি মারতেই নিজাম উদ্দিনের নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে লাগলো। মুখ দিয়েও রক্ত বেরুচ্ছে। হয়তো, উপরের পাটির সামনের দিকের দুই/একটি দাঁত ভাঙ্গলেও ভাঙ্গতে পারে।
হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নাজমা ও তার স্বামী ইসতিয়াক নিজাম উদ্দিনের সাথে দেখা করতে এসেছে। নাজমা নিজাম উদ্দিনের দিকে রাগী রাগী চোখে তাকিয়ে বললো:
-‘তোমাকে এতোকরে মানা করলাম বাবা, তবুও তুমি আবার ওখানে মদ খেলে? এখন তোমার হাউজিং যদি ওঁরা ক্যানসেল করে দেযা তখন কি হবে বাবা ? তোমাকে আমাদের সাথেই বেজমেন্টে থাকতে হবে বাবা।’
নিজাম উদ্দিন কাচুমাচু মুখে অপরাধীর মতো মেঝের দিকে তাকিয়ে আছে, মেয়ের চোখের দিকে তাকানোর সাহস তার নেই।
প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিজাম উদ্দিন কে ঘন্টাখানিকের মধ্যেই ছেড়ে দিলো। দাঁতের জন্য আলাদাভাবে ডেন্টিস্টের সাথে হাসপাতাল থেকেই এপয়েন্টমেন্ট করা হয়েছে, সামনের মাসের আট তারিখে। নিজাম উদ্দিন মেয়ে ও মেয়ে জামাই এর সাথে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে আবাসন কেন্দ্রে ফিরে এলেন। স্টিফেন, হ্যাডলি কে সকালেই অফিসের ম্যানেজমেন্ট থেকে ওয়ার্নিং লেটার দেয়া হয়েছে। নিজাম উদ্দিন ফিরতেই, নিজাম উদ্দিনকে তার ওয়ার্নিং লেটার ধরিয়ে দেয়া হলো।
ওয়ার্নিং লেটার হাতে নিয়ে নিজাম উদ্দিন ফ্যাল ফ্যাল করে মেয়ে নাজমার দিকে তাকিয়ে আছে। নিজেকে কেমন যেন বোকা বোকা লাগছে। মেয়েকে ছুঁয়ে কথা দিয়েছিলো বিল্ডিংএর মদ/তদ কিছু খাবে না বা কোনোরকম ঝামেলায় জড়াবে না। আজ ওয়ার্নিং লেটার পেয়েছে। নিজাম উদ্দিন যদি এরকম আরো বারকয়েক এভাবে বিল্ডিংএর নিয়ম ভঙ্গকারী কার্যে ক্রমাগত লিপ্ত হতে থাকে ম্যানেজমেন্ট থেকে নিজাম উদ্দিনকে এন-ফাইভে নোটিস দেয়া হবে। অন্টারিওর নিয়ম অনুযায়ী একটি এন-ফাইভ নোটিস পাওয়ার পরে সাত দিন সময় থাকে যাতে নিজেকে শোধরানোর যায় । পর পর কয়েকটি এন-ফাইভ নোটিস পাওয়ার পরেও যদি ঠিক না হয় তবে টেনেন্টকে এন-ইলেভেন নোটিস দিয়ে এভিকশন/উচ্ছেদ কার্যকরী করার জন্যে মালিক কর্তৃপক্ষকে অন্টারিও টেনেন্ট বোর্ডের কাছে আবেদন করতে হয়। নিজাম উদ্দিনের এত নিয়ম ঠিক জানা নেই, তবে শুধু এতটুকু জানে তাকে অন্তত মেয়ের জন্য হলেও মদ খাওয়া ছাড়তে হবে, নচেৎ এখন থেকে ওঁরা বের করে দিবে, এবং আবার সেই রাস্তায় ঠাঁই নিতে হবে। নিজাম উদ্দিন ভাবে, রাস্তায় থাকতে নিজের জন্য কোনো অসুবিধা নেই, বরং আরো ভালোই হবে স্বাধীন ভাবে থাকা যাবে কিন্তু বিপদ হলো মেয়ে কে নিয়ে। মেয়ে তাকে কিছুতেই এভাবে রাস্তায় রাস্তায় থাকতে দিবে না।
নাজমা ও ইসতিয়াক নিজাম উদ্দিনকে তার রুমে ডেকে নিয়ে আজকের ওয়ার্নিং লেটার বিষয়ে নিজাম উদ্দিনকে বোঝাতে থাকে। ইসতিয়াক, বাবা ও মেয়ের প্রাইভেট কথাবার্তার জন্যে বুদ্ধি করে বলে:
-‘বাবা, যাওয়ার আগে তোমার লাঞ্চের জন্যে পিজ্জা ও টিম হর্টন থেকে কফি আনতে যাচ্ছি, আর কিছু লাগবে বাবা ?’
স্মিত হেসে নিজাম উদ্দিন জামাইকে উদ্দেশ্য করে বললো,:
-‘দুই প্যাকেট সিগারেট যদি আনো বাবা, তা হলে ভালো হয়।’
নাজমা মনে মনে চিন্তা করে বাবাকে শক্ত ভাবে কথা বলে কোনো লাভ হবে না। বাবাকে ইমোশনালি দুর্বল করে এখানে থাকার নিয়ম মেনে চলার কথা বুঝায়ে বলতে হবে । মেঝেতে পরে থাকা বাবার কাপড়গুলি হ্যাঙ্গারে গুছিয়ে রাখতে রাখতে নাজমা বললো :
-‘বাবা, তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে তুমি অন্তত এই বিল্ডিংয়ের ভিতর মদ ছোঁবে না। তুমি কথা রাখো নি বাবা। অথচ, তুমি আমাকে কত প্রচন্ড ভালোবাসো সেটা অন্তত আমি জানি বাবা। আমার মনে আছে বাবা, আমি একদিন আম্মুর সাথে রাগ করে আম্মুর প্রিয় একটি শাড়ি কাঁচি দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে খাটের নিচে লুকিয়ে রেখেছিলাম। পরে, আম্মু টের পেয়ে আমাকে চুলের মুঠি ধরে আমাকে চড় মারবে বলে যেই না হাত উঠিয়েছে অমনি তুমি ছোঁ মেরে আমাকে আম্মুর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে বাহিরে ছুটলে।’
-‘হ্যা মা , আমার মনে আছে। তোকে বাইরে নিয়ে যেয়ে কাছে পিঠে একটি গ্যাস ষ্টেশন থেকে কুলফি আইসক্রিম কিনে দিলাম।’
-‘আম্মুর মারের ভয়ে আমি রীতিমতো কাঁপছিলাম। তুমি আমাকে আম্মুর মার থেকে বাঁচিয়ে দেয়ায় আমার কি যে ভালো লাগলো, তার মধ্যে আবার আমার প্রিয় কুলফি আইসক্রিম। আমার স্পষ্ট মনে আছে, বাবা, আমি তোমার কোলে উঠে তোমাকে খুশিতে জড়িয়ে ধরে তোমার কপালে একটি চুমু দিলাম। এই পৃথিবীর মধ্যে আমার চেয়ে সুখী মানুষ যেন তখন কেউই ছিলোনা। অথচ, দেখো, সেই তুমি আমার কথা শুনছো না বাবা। প্লিজ বাবা এখানে আর কোনো বাজে কাজ করোনা যাতে তোমার এই থাকার জায়গা ওঁরা কেড়ে না নেয়। মাত্র একটি বছর বাবা, সামনের বছর আমি ইসতিয়াক তোমাকে আমাদের নতুন বাসায় নিয়ে যাবো।’ শেষের দিকে নাজমার গলা কিছুটা ধরে আসে।
নিজাম উদ্দিনেরও চোখ ছল ছল করে উঠে।
-‘আমি তো ওই ছাতা-মাতা খেতেই চাই না রে মা, কিন্তু কোত্থেকে যে কি হয় রে মা , আমি মাঝে মাঝে কিছুতেই নিজেকে ঠিক রাখতে পা রি না মা। আমি এখানকার ওয়ার্কার এর সাথে কথা বলেছি ওরা আমাকে AA (Addiction Anonymous) মিটিং এ যোগ দেয়ার ব্যাবস্থা করবে। এখনতো আবার কোভিড এর জন্য সব বন্ধ, তবে ওয়ার্কার বলেছে জুম না কি যেন আছে এর মাধ্যমে অফিসের কম্পিউটারে বসে ওই মিটিং এর ব্যাবস্থা করবে।
মেন্টাল হেলথ ও মাদকাসক্ত একসঙ্গে থাকলে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। একজন মেন্টাল হেলথ রুগী যে ধরণের এন্টি সাইকোটিক ঔষুধ সেবন করে তার সাথে রুগী যদি মদ, গাজা বা কোনো মাদক দ্রব্য সেবন করে তবে রুগীর জন্য তা সত্যিই বেশ বিপদজনক হয়ে উঠে। নিজাম উদ্দিন এসব তথ্য অনেক আগে থেকেই জানে, তবুও কেন যেন রুপার কথা মনে হলে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না।
মানসিক রুগীদের এমনি অনেক নিজস্ব ইস্যু থাকে যেগুলি সামাল দিতে নিজেদেরকে হিমশিম খেতে হয়, তার উপর পরিবারের নিকটজনদের কাছ থেকে পাওয়া দুঃখের স্মৃতি এই মানুষগুলিকে আরোও অসুস্থ করে তোলে। যেমনটি নিজাম উদ্দিনের বেলায় ঘটেছে। নিজাম উদ্দিনের কপাল ভালো নাজমার মতো মেয়ে পেয়েছে। নাজমা প্রানপনে চেষ্টা করতে থাকে স্নেহ, মায়া, মমতা দিয়ে তার সিজিওফ্রেনিক হোমলেস বাবাকে স্টেবল অবস্থায় রাখতে।