দেখা হবে সূর্যোদয়ে রাঙা প্রভাতে
ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরের ভোরে
হয়তো কোন এক তপ্ত দুপুরে-
কাকফাটা রৌদ্দুরে হেঁটে যাওয়া
ক্লান্ত অবসন্ন পথিকের
গন্তব্যে পৌঁছানোর আকাঙ্খায়
দেখা হবে।
আবার দেখা হবে আমাদের
নীলাচল, আল্পসের গিরিচূড়ায় অথবা
হিমালয়ের পাদদেশে
নীল নদ আর নায়াগ্রার জলরাশির অতল আহ্বানে।
দেখা হবে প্যারিসের পথে
বুলেভার্ড শ্বেত পাথরের তোরণের সামনে
অথবা মাদাম তুসো জাদুঘরে
দেখা হবে সভ্যতার মোড়ে মোড়ে
ব্যাবিলন, ইউরেকা’র দেশে
না হয় দেখা হবে রোমে কলোসিয়ামে
অথবা শাহপরীর দ্বীপে কিংবা সেন্টমার্টিনে
সমুদ্রছোঁয়া প্রবালতীরে।
দেখা হবে
শরতের সফেদ কাশফুলে দোল দেয়া
হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো মেঘরাজির দেশে অথবা
মেঠো পথের এঁকেবেঁকে যাওয়া দিগন্তসীমায়
নয়নতারা, হাসনাহেনা অথবা গোলাপের দেশে
দেখা হবে পদ্মা, কুমারের তীরে।
চৌত্রের রোদে ভরদুপুরে
গ্রাম্য বধূর ঢেঁকির ধুপধাপ ধুপধাপ শব্দে
অথবা বিকেলের কনে দেখা আলোতে
শাণ বাঁধানো পুকুরঘাটে
আমাদের দেখা হবে-
ভালবাসার সেই তীব্রতা নিয়ে।।