[সন্মানিত পাঠকবর্গ, আপনারা দীর্ঘদিন ধরে আমার সাথে আছেন। ধারাবাহিকটির একে একে ২৫ টি পর্ব আপনাদের পরামর্শ, আন্তরিকতা ও সহায়তায় শেষ হলো। আশা করি আগামীতেও লেখা পাঠ করে মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন। আমি আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আগামী পর্বের অপেক্ষায় থাকুন। আমার জন্য দোয়া করবেন।]

দৈনিক সমাচার পত্রিকায় প্রকাশিত আমার লেখাসমূহ তারিখের ক্রমানুসারে পাঠকের নিকট তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সাথে সাথে কিছু আলোচনাও করছি। এর আগে ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর পর্বে, ক্রমিক নম্বর ০১ থেকে ২৮ পর্যন্ত মোট ২৮ টি লেখা উপস্থাপন করেছি। এখন, এ ২৫ নম্বর পর্বে, ক্রমিক নম্বর ২৯ থেকে শুরু করে ৩৯ নম্বর পর্যন্ত মোট ১১টি লেখা তারিখের ক্রমানুসারে উপস্থাপন করছি। এ পর্বে মোট ০৫ টি ছড়া ও ০৬ টি কবিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

২৯. ‘টোকাই’ শিরোনামে আমার লেখা একটি ছড়া দৈনিক সমাচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২০ মে ১৯৯৬। এই ছড়াটি পরবর্তী সময়ে আমার ছড়ার বই ‘তিড়িং বিড়িং ভোঁদড় নাচে’ ছড়ার বইয়ের ২০ পৃষ্ঠার অন্তর্ভুক্ত হয়। ছড়াটি এরকম –

টোকাই রামুর মজা ভারি
পথের পাশেই আছে নুড়ি
পথের কলি পথেই থাকে
হরতালেতে ওদের ডাকে।
মিটিং মিছিল পথসভায়
বিয়ে-বাড়ি সবখানে যায়।
পুলিশ জ্বালায় অহরহ
জীবন ওদের দুর্বিষহ।

৩০. ‘জাতীয় কবি’ শিরোনামে আমার লেখা একটি ছড়া দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ১০ জুন ১৯৯৬।

এই ছড়াটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘ তিড়িং বিড়িং ভোঁদড় নাচে’ ছড়ার বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। ‘জাতীয় কবি’ ছড়াটির অংশ বিশেষ তুলে ধরছি –

নাম তার ‘দুখু’ মিয়া
পরে নজরুল
কাজী দা’ বলেন কেউ
ইয়া বড় চুল।

ভবঘুরে নজরুল
ঝাঁকড়া চুলের সেই ছবি
মায়াভরা মুখটি তাহার
এখন মোদের জাতীয় কবি।

৩১. ‘তোমাকে’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ০১ জুন ১৯৯৬। কবিতাটির অংশবিশেষ তুলে ধরছি –

তোমাকে হারিয়েছি বলে
কোন দুঃখ নেই আর
পেয়েছি বলেই তো হারিয়েছি,

৩২. ‘হুলো মামার বিয়ে’ শিরোনামে আমার লেখা একটি ছড়া দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ১৭ জুন ১৯৯৬।

এই ছড়াটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘তিড়িং বিড়িং ভোঁদড় নাচে’ ছড়ার বইয়ের ১০ নম্বর পৃষ্ঠার অন্তর্ভুক্ত হয়। ‘হুলো মামার বিয়ে’ একটি ছোট ছড়া। ছড়াটি এরকম –

শুন শুন শুন তোমরা
হুলো মামার বিয়ে
কাঠবিড়ালি ঢোলক বাজায়
পাগড়ি মাথায় দিয়ে।
বরযাত্রী সব ইদুরগুলো
খাচ্ছে নেচে গেয়ে
দেখতে এলো বাঘদাশেরা
গদা হাতে নিয়ে।

৩৩. ‘কবিতা এখন’ শিরোণামের একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকায় ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২২ জুন ১৯৯৬। ‘কবিতা এখন’ কবিতাটি তিনটি ছোট ছোট অংশে বিভক্ত। কবিতাটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরছি –

১।।
ফুলদানিতে সাজাই ফুল
এই কি আমার পাপ?
তোমরা তো সব গুণীজন
দাওনা করে মাফ!

২।।
মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ
এই তো মনীষিরা বলে,
অনেকের বিশ্বাসঘাতকতায় দেখি
হৃদয়টা আজও জ্বলে!

৩।।
যাকে আমি ভালোবাসি অস্হিমজ্জাসহ
সে-ই বুঝে ভুল,
সাধে কী আর বাড়ছে প্রেসার
উঠছে মাথার চুল!

৩৪. ‘কবি কী একা একা থাকে’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২৬ জুন ১৯৯৬। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অপেক্ষায় আছি’-র অন্তর্ভুক্ত হয়। কবিতার অংশ বিশেষ উদ্বৃত করছি।

কবি কি একা থাকে কভু, থাকে না।
সে হারিয়ে যেতে পারে, চিত্ত হারায় না।

৩৫. ‘সবার সেরা’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২৮ জুন ১৯৯৬। এই কবিতাটির অংশ বিশেষ এখানে তুলে ধরছি।

সবার সেরা নেতা তিনি
নবী এলেন জগতে
দুর হলো অন্ধকার
বিশ্ব ভরে আলোতে।

সেই জৌলুসের রৌশনীতে
দূনিয়া মাতোয়ারা
ছুটছে মানুষ মদীনাতে
হয়ে আত্মহারা।
কোথায় নবী রওজা কোথায়
খুসবু নিতে চায়
সেই সুবাসের খুসবু শুধু
আছে মদীনায়।

৩৬. ‘চাঁদে হবে ঘর’ শিরোনামে আমার লেখা একটি ছড়া দৈনিক সমাচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ সোমবার ০১ জুলাই ১৯৯৬, ১৭ আষাঢ় ১৪০৩ বঙ্গাব্দ। এই ছড়াটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘তিড়িং বিড়িং ভোঁদড় নাচে’ ছড়ার বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। ছড়াটির অংশ বিশেষ তুলে ধরছি।

চাঁদের বুড়ি থুথ্থুরি
বয়স হবে লক্ষ কুড়ি
তারে নিয়ে যত ভাবি
খুঁজে না পাই কোন চাবি।
চাঁদের বুড়ি বসেই আছে
কেমনে যাব তাহার কাছে?
কইব কথা তাহার সনে
জানবো কী তার আছে মনে।

খুঁজে পেতে কোন কিছুর অভাব হবেনা,
চাঁদেই হবে ঘর মোদের নেইকো ভাবনা।

৩৭. ‘মধ্য বয়স’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অপেক্ষায় আছি’-এর ৩১ পৃষ্ঠার অন্তর্ভুক্ত হয়। কবিতার কিছু অংশ এখানে তুলে ধরছি –

ওরা তো জানেনা সব, দেখে শুধু জীবনের অংশ /
কোথা হতে এসেছি আমি, জানেনা তো বংশ।

স্মরণ করিয়ে দিলে ভাবনাও আসে বটে / কী আর হয়েছে বয়স? / আরও কত কাল দেখি জীবনের তটে।
অমর উৎসাহে আকাশের নীলে দেখি ঐকতান / জীবনের উল্লাস দেখি গ্রহে – নক্ষত্রে, তারায় তারায় / আমি যোদ্ধা বিজয়ী বীর, কার সাধ্য রুখে আমায়?

৩৮. ‘যে’ শিরোণামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ০২ নভেম্বর ১৯৯৬। ‘যে’ কবিতাটি পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরছি ।

যে আমাকে ছুঁয়ে আছে
তাকে বলি মুগ্ধ শিহরণ!
শব্দের শিল্প মেলায় অদ্ভুত বিচিত্র চিন্তারা সব ছুঁয়ে যায়
আমার শুদ্ধতম উচ্চারণে,
যে আমি বাংলার ঐতিহ্যে অমরাবতী দেখি
যে আমি দ্বিধাহীন সংলাপে বিভোর,
সে আমার হৃদয়ের মধ্যিখানে
হঠাৎ দেখি কারো ছায়া, সংকুচিত হই।

আমার সত্ত্বা আজ ঐতিহ্যের অহংকারে
অনিন্দ্য সুন্দর ভালোবাসা হয়ে গেছে।
মিলনে বিচ্ছেদে যেন একই গতি পাই
নজরুল সুকান্ত যেন সহপাঠী তাই।

৩৯. ‘গুনাই বিবি’ শিরোনামে আমার লেখা একটি ছড়া দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ১৩ নভেম্বর ১৯৯৬। এই ছড়াটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘তিড়িং বিড়িং ভোঁদড় নাচে’ ছড়ার বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। ‘গুনাই বিবি’ ছড়াটি এরকম –

গুনাই বিবির বাপের বাড়ি
ঐ যে গুনাইঘর
সেই গ্রামে এখনও তার
ছোট্ট বাড়ি-ঘর।

বাপের বাড়ি যায়না গুনাই
স্বামীর ঘরও নাই
ঢাকার শহর কাজ করে সে
বাবা মা তার নাই।

মা বাবা তার মারা গেছে
স্বামী গেছে ছাইড়া
একটা মাত্র মাইয়া ছিল
আল্লাহ নিছে কাইড়া।

(চলবে)

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন