পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং ভালোবাসা দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর কারো জন্য হৃদয়েরর হাহাকার নেই। অপেক্ষা করে না কেউ অন্য কারো জন্য। প্রাইমারি স্কুলের বন্ধুর সাথে দেখা হলে আর নষ্টালজিয়ায় ভুগি না এখন। এক কাপা চা খাইয়ে বলি, ব্যস্ত আছিরে, খুব ভালো থাকিস।
অথচ, মাঘের শেষে এখনো দিগন্তজোড়া মাঠে সবুজ কলাইয়ের ক্ষেত আছে। নীলের ভেতর বেগুনি ছোপে কি সুন্দর অজস্র ফুলে মনোহর কলাই বন। ফাল্গুনের পাগলা বাতাস মাঠ গড়িয়ে ফিক করে চলে যায় পাশ দিয়ে। অথচ কিশোরীর কঁচি মুখ দেখে হৃদয়ে প্রেমের রেখা আর জেগে ওঠে না।
গাঁয়ের মুরব্বি এক সময় ঘরের বউ আনত স্বাস্থ্যবতী দেখে। দিন পাল্টে গেল, আকাশ সংস্কৃতি উন্মুক্ত হল, মেয়েরা দিনে দিনে মেদহীন হয়ে ঝিঙে গাছের মাচার শুকনো ডালের মতো হয়ে গেল। আহারে ছেলেগুলো আর স্বাস্থ্যবতীর বুকে মুখ লুকিয়ে ওম খুঁজে পায়না! স্লিম স্লিম বলে কেমন হাহাকার!
খুব ইচ্ছা করে আবার ফিরে যাই সেই আবেগের দিনগুলোতে যখন গ্রাম্য কিশোরীর মুখ একঝলক দেখার জন্য বিকেল হলেই তাদের বাগানের একটু দূরে, বিলের মাঝে অপেক্ষা করতাম। খুব ইচ্ছে করে চতুর্দশীয়াকে আবার চিঠি লিখি কাঁপাকাঁপা হাতে, “আই লাভ ইু”।
ছবি সৌজন্যে:-Design Trends