নরওয়ে থেকে:-
আবদ্ধ এ ঘরে বসে বসে আর ভালো লাগেনা ,, হটাৎ করে কেন জানি জিলাপি খেতে ইচ্ছে করছে। আমাদের এ শহরে জিলাপি কিনতে পাওয়া যায়না ,, জিলাপির স্বাধ নিতে হলে ৪ ঘন্টা গাড়ী চালিয়ে নরওয়ের রাজধানী অসলো শহরে যেতে হয় কিংবা নিজে নিজের ঘরে বানিয়ে নিতে হয়।
২০১৬ সালে এমনি এক দিনে বাহিরে প্রচন্ড স্নো পড়ছে, কনকনে ঠান্ডা। প্রতি বৎসর যখন শীতকাল আসে প্রথম দিকের কয়েকদিন স্নো পড়তে দেখলে ভালোই লাগে , কিন্তু যখন তা একটানা কয়েকদিন পড়তে থাকে তখন সবকিছু কেমন জানি একঘেয়ে,নিরেট, প্রাণহীন মনে হয়।
কাস্টমার আসছে যাচ্ছে,-
আমি, এনাম ভাই আর কাজের অন্য লোকেরা অর্ডার নিচ্ছি, খাবার বানাচ্ছি এবং রেস্টুরেন্টের জানালার বাহিরে স্নো পড়া দেখতে দেখতে ঘন্টায় ঘন্টায় ক্লান্ত হচ্ছি। এনাম ভাইকে বললাম কি করা যায় বলুনতো ?? উনি বললেন জিলাপি খাবেন ? আমারতো চুখ ছানাবড়া ,, উনি বাসায় গেলেন, গিয়ে কি জানি নিয়ে আসলেন। তারপর কাজের ফাঁকে ফাঁকে এনাম ভাই মধ্যরাত পর্যন্ত জিলাপি বানালেন,, সে কি আনন্দ সারা রাতজুড়ে, সবার মাঝে কেমন জানি পার্টি পার্টি আমেজ।
আজকে এ অবেলায় এনাম ভাইকে মনে পড়ছে। মাস খানেক আগে উনি দেশে ফরিদপুর বেড়াতে গেছেন। উনি থাকলে সবাই মিলে আজকে রাতটাও জিলাপি উৎসবে ভরিয়ে তোলা যেত ।
প্রিয় এনাম ভাই,, উই মিস ইউ।